মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আবুল কাশেম (৬২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আবুল কাশেম গাংনী উপজেলার পলাশী পড়া গ্রামের আবু থান্ডারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকাল চারটার দিকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এর আগে সকাল ১১ টার দিকে সে মোটরসাইকেল যোগে মাঠে যাওয়ার সময় রাস্তার উপর জমে থাকা কাঁদায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে ২৫ কেজি ওজনের একটি পাঙ্গাস মাছ ধরা পড়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) বিকালে জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের উজানে স্থানীয় জেলের জালে বিশাল আকৃতির মাছটি ধরা পড়ে।জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকজন জেলে বুধবার দুপুর থেকে দলবেঁধে পদ্মায় পাঙ্গাস মাছ ধরার জাল ফেলেন। বিকালে নদী থেকে জাল তুলতেই বিশাল আকৃতির মাছটি ধরা পড়ে। আড়তে মাছটি বিক্রির ওজন দেওয়া হয়। বিশাল আকৃতির পাঙ্গাসের ওজন হয় ২৫ কেজি। ২৫ কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়ার মোহন মন্ডলের আড়তে তোলা হয়। সেখানে ১৬৭০ টাকা কেজি দরে ৪১ হাজার ৭৫০ টাকায় মাছটি বিক্রি হয়।দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের শাকিল সোহান মৎস্য আড়তের মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহন শেখ ৪১ হাজার ৭৫০ টাকা দিয়ে মাছটি ক্রয় করে। ক্রয়কৃত মাছটি ১৭০০ টাকা কেজি দরে ৪২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন।মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান শেখ বলেন, ২০২৫ সালের পদ্মার সবচেয়ে বড় পাঙ্গাস মাছটি নিলামে আড়তে বিক্রি হয়েছে। মাছটি আমি ক্রয় করেছি। সামান্য লাভে মাছটি মৌলভীবাজার জেলার এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছি।ভোরের আকাশ/জাআ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ইব্রাহিম বাবুর পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে পথসভা শেষে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ্, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ একটি দল শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়। এ সময় নিহতের পিতা নুর ইসলাম, মাতা হাজেরা বেগম, স্ত্রী সাহিনা বেগম ও একমাত্র ৩ বছরের শিশু কন্যা আয়েশা খাতুনের পাশে বসে ঘটনার বর্ণনা শোনেন তারা। পরে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ও আমাদের সংগঠন দেখবো। আপনারা এই পরিবারের পাশে থাকবেন। এরপর এনসিপি প্রতিনিধি দলটি নিহত ইব্রাহিম বাবুর কবর জিয়ারত করে ও কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। পরে সীমান্তের দিকে যান এনসিপির নেতারা। এ সময় ইব্রাহিমের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না বলে স্লোগান দেন তারা।ভোরের আকাশ/জাআ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ দুটি স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের বেদখল হয়ে থাকা ২৫ শতাংশ ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মসজিদ রোড এলাকায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার নুসরাত জাবীন এই অভিযান পরিচালনা করেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের মসজিদ রোড এলাকায় জেলা প্রশাসন চেম্বারসহ স্থানীয়দের প্রায় ২৫ শতক জায়গা বন্দোবস্ত দেন। বিষয়টি চলামান মামলায় হেরে যায় জেলা প্রশাসন। উচ্চ আদালত জায়গাটি প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেন।বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মসজিদ রোড এলাকায় উপস্থিত হন। এসময় চেম্বার অব কমার্সের ভবনে থাকা দোকানদারদের মালামাল সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। ব্যবসায়ীরা মালামাল সরিয়ে নিলে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।মামলার রায় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসন অর্পিত সম্পত্তির ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ জায়গা জেলা চেম্বারসহ বিভিন্ন জনের কাছে বন্দোবস্ত দেন। লীলাময় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি ২০১২ সালের জুলাই মাসে জায়গাটির মালিকানা দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জেলা চেম্বার অব কমার্স। জায়গাটি অর্পিত সম্পত্তি হওয়ায় ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ লীলাময় ভট্টাচার্যের পক্ষে রায় দেন। সরকার পক্ষ এই অর্পিত সম্পত্তির আপীল রায় ডিক্রির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিভিউ দায়ের করেন। পরে মামলার বাদি রিভিউর বিরুদ্ধে একটি আবেদন করেন। উচ্চ আদাললের আপীল ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালের অর্পিত সম্পত্তির অপীল মোকদ্দমার রায় ডিক্রি বাস্তবায়নের জন্য এক আদেশ দেন।ভূমি মন্ত্রণালয়ের (আইন অধিশাখা-৪) ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিলের পরিপত্র দ্বারা অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ২০০১ এর ২২ (৩) ধারা বিধান বিদ্যামান থাকায় এবং ভূমি মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন স্মারকে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইবুনালের রায় বাস্তবায়নের নির্দেশনা রয়েছে। আপীল ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে প্রতিকার চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই উচ্চ আদালত রিট দায়েরের জন্য কোনো প্রস্তাব প্রেরণের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করে। ২০১৬ সালের অর্পিত আপীল রায়ের কার্যকারিতার উপর সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ নেই। অর্পিত আপীল ট্রাইব্যুনাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত দেয়া ডিক্রি বাস্তবায়নের আদেশ বিদ্যমান থাকায় মামলার রায়-ডিক্রি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আইনত আর কোনো বাধা নেই বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি মতামত দেন।তবে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে উচ্ছেদের কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। চেম্বারও কিছু বলেনি।জায়গার মালিক নির্মল ভট্টাচার্য বলেন, এটি আমাদের পূর্ব পুরুষের জায়গা ছিল। বিভিন্ন কারণে এটি অর্পিত সম্পত্তিতে রূপান্তরিত হয়। সরকারের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পনের আইন করার পর আমরা ২০১২ সালে মামলা করি এবং ২০১৮ সালে রায়। ২০১৯ সালে উচ্ছেদের নোটিশ আসে। উচ্চ আদালতে দুই-একটি রিট হওয়ার পর রায় আমাদের পক্ষে আসে। জেলা প্রশাসন প্রত্যেক লীজকে সরে যেতে নোটিশ দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার নুসরাত জাবীন বলেন, 'আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে চেম্বারসহ দুটি স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।'ভোরের আকাশ/জাআ
মানিকগঞ্জে শ্রম আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে শহরের ডলি প্লাজা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হোসেন। তিনি শ্রম আইনের বিভিন্ন দিক ও তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডলি প্লাজা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খন্দকার মিরাজ হোসেন, সহ-সভাপতি জুয়েল আহমেদ, সহ-সম্পাদক সিপন রায় ও মো. ইউসুফসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা।সভায় দৈনিক ও সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা, শ্রমিকদের সাপ্তাহিক ছুটি, অতিরিক্ত কাজের জন্য অতিরিক্ত ভাতা, এবং কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।উপ-মহাপরিদর্শক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘শ্রম আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ছাড়া এটি সম্ভব নয়।’সভা শেষে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স গ্রহণে উৎসাহিত করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ