শিবচর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৫ ১২:১১ পিএম
রাত পোহালেই ঈদ, যানবাহনে বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ যাত্রীদের
রাত পোহালেই ঈদ,তবে যাএীদের বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ রয়েছে। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঈদকে সামনে রেখে ঘরে ফিরছে শহরের কর্মব্যস্ত দক্ষিণ-পশ্বিমঞ্চলের মানুষেরা। ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু পাড় হয়ে ব্যস্ততম এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ও যাত্রীদের তেমন চাপ দেখছি না।যেমনটা ঈদ মৌসুমে দেখার কথা ছিল।
তবে বৃহস্পতিবার শেষ বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত যাএীদের চাপ ছিল। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকেই মাদারীপুরের শিবচরে ব্যস্ততম এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
প্রতি বছরের তুলনায় এবারও ঈদকে সামনে রেখে পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ কাটাতে শহরের কর্মস্থল ছেড়ে গ্রামে ছুটে আসছে নানা পেশার সাধারণ মানুষেরা। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহৎ কোরবানির ঈদ। এই ঈদ ধর্মীয় হিসাবে দ্বিতীয় ঈদ হলেও টানা তিনদিন হয়ে থাতে।তাই ধর্মপ্রাণ মুসলানেরা সবচেয়ে বড় খুশির দিনগুলো উপভোগ করে থাকে। শুধু তাই নয় ঈদ উপলক্ষে ছুটি ও পাচ্ছে ১০ দিনের মত। দীর্ঘ দিনের ছুটি পেয়ে সবাই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে শহর ছেড়ে গ্রামে আসছে অধিকাংশ মানুষ।
ঢাকা থেকে যানবাহনে এসে উপজেলার কুতুবপুর সিমানা,পাঁচ্চর বাস স্টান্ড,শেখপুর,উপজেলা পৌর বাস টার্মিনাল,সূর্যনগরসহ বিভিন্ন এক্সপ্রেসওয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে থামছে গাড়ী নামছে অসংখ্য যাত্রীরা। বাস গাড়ীতে সিট না পাওয়ায় বিকল্প যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে আসছে অনেকেই। তবে মোটরসাইকেলে করেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভিআইপি ভাবে যাত্রী টানতে দেখা যায় বাইকারদের। পাশাপাশি পরিবার নিয়ে ফিরতে দেখা যায় ব্যক্তিগত অসংখ্য বাইক।
একাধিক পরিবহন থেকে নামা যাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তারা অনেকেই বলেন,পথে তেমন কোন যানজট ছিল না,পদ্মাসেতু থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে বাড়ী পৌছাবো। এতে ঈদের চেয়েও আনন্দ লাগছে। গুলিস্তান থেকে শিবচরে আনন্দ পরিবহনে আসলাম। এবার যেহেতু বড় ছুটি পেয়েছি। তাই খুব আনন্দে পরিবারের সাথে ঈদ কাটাতে বাড়ীতে যাচ্ছি। যাত্রীদের চাপ না থাকলেও আগের তুলনায় ভাড়াটা দ্বিগুনের ও বেশি নিচ্ছে। তবুও মনে কষ্ট নেই। পরিবারের সথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে বাড়ীতে যাচ্ছি। যাত্রাবাড়ী থেকে পাঁচ্চরের বাস ভাড়া ছিল ১৫০ টাকা থেকে ২ শত টাকা। ঈদের দোহাই দিয়ে সেখানে এখন ৩ শত থেকে ৪ শত টাকা ভাড়া নিচ্ছে।
বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে পাঁচ্চর বাস স্টেশনের কাউন্টার ম্যান মিলন ফকির জানান, দূরপাল্লার যানবাহনে যাত্রীদের চাপ কম মনে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় ছিল। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের। দূরপাল্লার যানবাহন ভাড়া ৩০ থেকে ৪০% বাড়তি দেখছি।যেখানে খুলনার ভাড়া ঢাকা থেকে ৬ শত টাকা ছিল।সেখানে ঈদ উপলক্ষে ৯ শত টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ভাড়া টানছে।
বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন ভিন্ন কথা।বর্তমানে রোড় খরচ বেশি, পেটুল, ডিজেল অকটেলসহ যানবাহন চালিত তেলের এর দাম ও কম নয়। টোল প্লাজায় সরকারি নির্ধারিত ফি দিতে হয়।সারাদিনে আপ-ডাউন ২থেকে ৩টি টিপ মারতে হিমসিম খাচ্ছি। তাই নিজেদের খরচ পোষাতে গাড়ীর মালিকরা ভাড়া বাড়িয়েছে।
শিবচর থানা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানতে পারি, ঈদকে সামনে রেখে এক্সপ্রেসওয়েতে যে কোন দুর্ঘটনা নিয়ন্তনের জন্য আমাদের হাইওয়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। তবে দূরপাল্লার গাড়ীগুলো দ্রুত গতিতে চলার কারনে, যাত্রীদের যানজটের ভোগান্তি তেমন দেখা যায় না।
ভোরের আকাশ/এসএইচ