গাইবান্ধায় যাত্রীবাহী বাসচাপায় নিহত ১, আহত ২
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস চাপায় রইচ উদ্দিন (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের চারমাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রইচ উদ্দিন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার বুজরুক বোয়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চেইন মাস্টারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে পৌর শহরের চারমাথা মোড়ে দায়িত্ব পালনের সময় হঠাৎ ঢাকাগামী দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী বাস রইচ উদ্দিনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ সময় আহত হন আরও দুই জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসটি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বরগুনায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ রবিবার (১৫ জুন) রাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায় তিন বছরের শিশু সাফওয়ান আবদুল্লাহ। এ নিয়ে জেলায় ডেঙ্গুজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে।সাফওয়ান বরগুনা নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষিকা সাজিয়া আফরিন ও উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের সন্তান। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা মল্লিকবাড়ি এলাকায়।বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাসকিয়া সিদ্দিকা জানান, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সাফওয়ানের অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটে। তার বুকে ও পেটে পানি জমে যাওয়ায় শারীরিক জটিলতা বাড়ে।প্রথমে তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে ঢাকায় নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু ঘটে।ডা. তাসকিয়া সিদ্দিকা বলেন, “শিশুটিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হঠাৎ করেই তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান রাতেই বরিশালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। আজ সকালে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে সে মৃত্যুবরণ করে।”বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মৃত্যুর হারও উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা।ভোরের আকাশ//হ.র
রাজশাহীতে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ১৯ দিনে ১৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা প্রায় ২৬ শতাংশ। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবাই নিজ নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।সবশেষ রোববার (১৫ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) পিসিআর ল্যাবে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএমএম রাজিউল করিম জানান, "রাজশাহীতে সংক্রমণ শুরু হয়েছে ঈদের আগে থেকে। পরিস্থিতি বুঝতে আরও অন্তত ৭ দিন পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি, যা স্বস্তিদায়ক খবর।"তিনি আরও বলেন, "এখনই রাজশাহীর পরিস্থিতিকে হটজোন বলা যাবে না। কারণ আক্রান্তের সংখ্যা এখনো মেডিকেলের পরীক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে আমরা জনগণকে সচেতন করছি, স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিচ্ছি।"এদিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রস্তুতি নিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৫ শয্যার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে বিশেষ টিম।রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, “করোনা মোকাবিলায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।”প্রসঙ্গত, চলতি বছর এখনো পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।ভোরের আকাশ//হ.র
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গি এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রোববার (১৫ জুন) ভোর ৬টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হঠাৎ এই মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।মিছিলে নেতৃত্ব দেন দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম। তাদের সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিলের একটি ভিডিও ছাত্রলীগ নেতা রাজিদুল ইসলামের নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা হয়েছে।রাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর ও দৌলতপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। দৌলতপুর থানার একটি মামলায় শফিকুল ইসলাম শফিকও এজাহারভুক্ত আসামি।পুলিশ জানিয়েছে, মামলার আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ইতোমধ্যে মানিকগঞ্জের নবগ্রাম এলাকাতেও রাজিদুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল হয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রকাশ্যে মিছিল করলেন এজাহারভুক্ত এই ছাত্রলীগ নেতা।এছাড়া ঢাকার মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জের দুটি মিছিলেও তাকে সামনে দেখা গেছে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতারা।মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এ জিন্নাহ কবির বলেন, “পুলিশের ভেতরে আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। তারা পলাতকদের ধরছে না।”বিএনপির এই নেতার দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী—যারা বিভিন্ন নাশকতা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি—তারা দিব্যি বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন, প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।তিনি বলেন, “আমরা একাধিকবার পুলিশকে জানিয়েছি, তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। পুলিশ যেন চোখ বুজে আছে। কারণ, এরা সবাই আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত। স্বাভাবিকভাবেই তারা দলীয় আনুগত্যে পরিচালিত হচ্ছে।”নিষিদ্ধ সংগঠনের পলাতক নেতাকর্মীদের মিছিল করার সুযোগ দেওয়ার দায়-দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনের এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তাদের অবস্থান সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেলেই দ্রুত অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে।”ভোরের আকাশ/এসএইচ
গাজীপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চাপুলিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম শাহরিয়ার রহমান হ্যাভেন (৩৪) ।রোববার (১৫ জুন) সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত শাহরিয়ার রহমান হ্যাভেন চাপুলিয়া এলাকার হুমায়ূন কবিরের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহরিয়ার রহমান হ্যাভেনের পরিবারের সঙ্গে জমি জমা নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি থেকে নিয়ে যায় এবং চুরির অপবাদ দিয়ে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এক পর্যায়ে ভোরে মারা যান হ্যাভেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রোববার সকাল ৭ টার দিকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।জিএমপির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, হ্যাভেনের বিরুদ্ধে থানায় চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। সকালে তার হাত পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পাসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে, স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ