ছবি : ভোরের আকাশ
বাংলাদেশের গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে চোখের রোগ একটি সাধারণ সমস্যা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা জটিলতা তৈরি হলেও দারিদ্র্য, সচেতনতার অভাব এবং চিকিৎসা সেবার সীমাবদ্ধতার কারণে অনেকেই সময়মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারেন না।
রোববার (২৭ জুলাই) ফরিদপুর সদর উপজেলার চৌরঙ্গীমোড়, ব্র্যাক অফিস চত্বরে আয়োজন করা হয় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প।
“দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার পথ—গ্রামীণ চক্ষু সেবার উদ্যোগ” শিরোনামে আয়োজিত এই ক্যাম্পের মূল লক্ষ্য ছিল গ্রামীণ দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগণের মাঝে দৃষ্টিশক্তির উন্নয়ন সাধন, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি ও জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করা।ক্যাম্পে ৪০ বছরের বেশি বয়সী দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। পাশাপাশি নারী, বিধবা, প্রবীণ এবং কৃষি ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট এমন ব্যক্তিদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় যারা দৈনন্দিন কাজে চোখের ওপর নির্ভরশীল। চিকিৎসা ক্যাম্পে বিনা মূল্যে চোখের পরীক্ষা, প্রয়োজন অনুযায়ী চশমা বিতরণ, চোখের রোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীদের রেফার করার ব্যবস্থাও রাখা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইয়াসির আরাফাত (সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার), মলয় কুমার সরকার (সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার), মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (জোনাল ম্যানেজার, এইচআরডি), মোহাম্মদ ফারুক-ই আজম (জোনাল ম্যানেজার, মাইক্রোফাইন্যান্স), মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান (জোনাল ম্যানেজার, মনিটরিং), মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম (রিজিওনাল ম্যানেজার), মোহাম্মদ জামির আলী (ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটর), অখিল কুমার সরকার (এরিয়া ম্যানেজার), অলোক কুমার বিশ্বাস (ব্রাঞ্চ ম্যানেজার), রফিকুল ইসলাম (রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর) ও সুভাষ কুমার সরকার (সিনিয়র অফিসার, অ্যাডমিন)।
বক্তব্যে মলয় কুমার সরকার, ফারুক-ই আজম ও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ব্র্যাক চায়—সব শ্রেণির মানুষ যেন সহজেই প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা পেতে পারে। এই ক্যাম্প তারই একটি বাস্তব উদাহরণ।”
ব্র্যাক ও মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রামের কর্মকর্তা, স্টার এসএসএল, লিড জেনারেশন টিম এবং স্থানীয় কর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যাম্পটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এ প্রোগ্রামে প্রায় ৪০০ রোগী দেখা হয় এবং ২৮০ টি চশমা গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কুটিচন্দ্রখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলো, আশা মনি (১১) ও একই এলাকার আবু-বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে সুমাইয়া (১১)। নিহত আশামনি ও সুমাইয়া উত্তর কুটিচন্দ্রখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। স্থানীয়রা জানান, সোমবার শেষ বিকালে পরিবারের অজান্তে দুই শিক্ষার্থী বাড়ি থেকে বাহির হন। অনেক খোজাখুজি করে তাদের সন্ধান না পেয়ে বাড়ী থেকে ২০০ গজ দুরে একটি পুকুরে তাদের মরদেহ ভাসতে দেখেন পরিবারের লোকজন। পরে স্থানীয়রা ওই পুকুর থেকে দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। দুই শিক্ষার্থী পুকুরের শাপলা ফুল তুলে গিয়েছেন বলে পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা ধারণা করেছেন।ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম রাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের ঝুঁকিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নারিকেল তলা মোড়ে ভুয়া ডিবি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয়রা। জানা গেছে, আটক রংপুরের বাসিন্দা মোস্তাফিজার রহমান ও স্থানীয় খলিলুর রহমান মিলে এক মহিলার কাছ থেকে চাকরির সুবাদে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। এসময় তারা মহিলার কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ারও চেষ্টা চালান। ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের আটক করে। পরে তাদের ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল হেলাল মাহমুদ বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোরের আকাশ/জাআ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, দেশে সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে। ঐকমত্য কমিশন বলেছে, জুলাই সনদ হবে। আমরাও বলেছি, জুলাই সনদ হতেই হবে এবং সেটা ৫ আগস্টের মধ্যেই।সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।তিনি বলেন, জুলাই সনদের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা ঐক্যবদ্ধ চাই। নির্বাচন কমিশনসহ দুদক ও পিএসসি তার নিরপেক্ষ নিয়োগের জন্য সাংবিধানিক কমিটি তৈরি করতে হবে।এনসিপি আহবায়ক বলেন, নিরপেক্ষ প্রশাসন, নিরপেক্ষ পুলিশ ও নিরপেক্ষ আদালত আমরা প্রত্যাশা করি। এ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলো আমাদের প্রয়োজন। ইনশাআল্লাহ ৫ আগস্টের মধ্যেই জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করতে পারব। আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় এনসিপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনারা জনগণের পাশে দাঁড়ান, জনগণের সমস্যা সমাধান করুন। আপনারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন।সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সামান্তা শারমীন, শহীদ সাগরের পিতা আসাদুজ্জামান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদিল, যুগ্ম সদস্য সচিব ও ময়মনসিংহ জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী জাবেদ রাসিন, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল বাসারসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।এর আগে বিকেল ৩টার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জামালপুর থেকে ময়মনসিংহে আসেন। পরে স্থানীয় একটি হোটেলে ময়মনসিংহে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তাদের খোঁজখবর নেন। সেখান থেকে নেতারা নগরীর ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড মহিলা কলেজের সামনে শহীদ সাগর চত্বরে শ্রদ্ধা জানাতে যান। পরে সেখান থেকে একটি পদযাত্রা বের হয়ে সি কে ঘোষ রোড, রামবাবু রোড, নতুন বাজার ও জিলা স্কুল মোড় হয়ে টাউন হল প্রাঙ্গণে সমাবেশে যোগ দেন।ভোরের আকাশ/জাআ
‘জুলাই পূর্ণজাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫’ উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উদ্যোগে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার চর-মাদ্রাজ ইউনিয়নেরর ২০৯ নং পূর্ব মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী ক্যাম্পে এ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে নৌবাহিনীর একটি প্রশিক্ষিত চিকিৎসক দল।দিনব্যাপী এ আয়োজনে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী, পুরুষ, শিশু ও প্রবীণসহ প্রায় ৪৩০ জন রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। চিকিৎসাসেবার মধ্যে ছিল সাধারণ চিকিৎসা ছাড়াও চক্ষু, চর্ম, হৃদরোগ, শিশু ও ডায়াবেটিস রোগের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এছাড়া অনেক রোগীর মাঝে প্রয়োজনীয় ওষুধও বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী জানান, ‘অর্থের অভাবে অনেক সময় চিকিৎসকের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না। এখানে এসে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে আমরা দারুণভাবে উপকৃত হয়েছি।’ তাঁরা নৌবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।চিকিৎসা কার্যক্রমের সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।২০৯ নং পূর্ব মিয়াজানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াজেদ বলেন, ‘নৌবাহিনীর এ ধরনের উদ্যোগ শুধু চিকিৎসা নয়, এটি একটি মানবিক প্রয়াস—যা মানুষের মনে আস্থা ও ভালোবাসা তৈরি করে।চিকিৎসাসেবা শেষে স্থানীয়দের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌবাহিনী একটি পরামর্শমূলক সেশনও পরিচালনা করে। এতে অংশগ্রহণকারীরা স্বাস্থ্যবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা পান।উল্লেখ্য, ‘জুলাই পূর্ণজাগরণ’ উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসেবামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। চরফ্যাশনে এই চিকিৎসা সেবা তারই অংশ।ভোরের আকাশ/জাআ