পিরোজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫ ০৭:৩৬ পিএম
সংগৃহীত ছবি
পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি একেএমএ আউয়াল এর স্ত্রীকে জাল সনদে একটি কলেজে প্রভাষক পদে চাকুরী দেওয়ার মামলায় ওই কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে জেলা জজ মো. মজিবুর রহমান জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী আহসানুল কবীর বাদল ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাল সনদ দিয়ে ওই কলেজে প্রভাষক পদে চাকুরি বাগিয়ে নেওয়া ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল, তার স্ত্রী লায়লা পারভীন ও কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদার এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক পিরোজপুরের উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট এর দায়ের করা মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সদরে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজটিতে ২০১৩ সালে পাস কোর্স চালু হয়। কলেজটি এমপিওভুক্ত না হলেও ২০১৮ সালে সরকারীকরণ করা হয়। আসামী লায়লা পারভীনের স্বামী গভর্ণিং বডির সভাপতি এবং লায়লা পারভীন নিজে দাতা সদস্য হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদপত্র ব্যবহার করে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগ লাভ করেন।
স্বামী আউয়ালের প্রভাব এবং কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদের সহযোগিতায় ভূয়াসনদ পত্র দিয়ে লায়লা পারভীন কলেজটিতে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করে নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ৮ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন।
এ ঘটনায় দুদক ওই মামলা করে। জালসনদ সৃজন, চাকুরী দেওয়া ও সরকারী টাকা আত্মসাতে সহযোগিতা করায় লায়লা পারভীনের স্বামী একেএমএ আউয়াল ও ওই কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারকে ও আসামী করা হয়। অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ হাই কোর্ট থেকে শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিলে তার মেয়াদ সোমবার শেষ হলে শর্তানুযায়ী সে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠায়।
ভোরের আকাশ/জাআ