সংগৃহীত ছবি
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) পথসভা শুরু হয়েছে। মঞ্চে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিচ্ছেন। বিভিন্ন উপজেলা থেকে কর্মী সমর্থকরা সভাস্থলে এসে জড়ো হয়েছেন। তবে এখনো কেন্দ্রীয় নেতারা ফরিদপুরে এসে পৌঁছাননি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সভা মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় পথসভা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু গতকাল গোপালগঞ্জে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় তা আড়াই ঘণ্টা পিছিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা করা হয়েছে।
এদিকে, এনসিপির পথসভাকে ঘিরে সমাবেশস্থলে আসছে দলটির নেতাকর্মীরা। মঞ্চে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিচ্ছেন। দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে।
সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মঞ্চে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন। তাদের মধ্যে দুই-একজন উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন।
ফরিদপুর এনসিপির জ্যেষ্ঠ আহ্বায়ক এস এম জাহিদ বলেন, সকাল ১০টার বদলে দুপুর ১টার দিকে শুরু হবে পথসভা। কেন্দ্রীয় নেতারা এখনো ফরিদপুরে এসে পৌঁছাননি। স্থানীয়রা এসেছেন, তারা বক্তব্য দিচ্ছেন।
সভার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে নাগরিক কমিটির এ সদস্য বলেন, গোপালগঞ্জের মতো হামলা বা কোনো হাঙ্গামার আশঙ্কা করছি না। ফরিদপুরের মানুষ অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও ভদ্র। অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে সভা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, নিরাপত্তার ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সমাবেশ স্থল ও আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে চার শতাধিক পুলিশ সদস্য।
এছাড়া সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, আনসার ও র্যাবের সদস্যরা টহল দেবে। ফরিদপুরের পুলিশ প্রশাসনের জনবল দিয়েই এ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এর জন্য বাড়তি কোনো জনবল অন্য জেলা থেকে আনা হয়নি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হলো ‘জুলাই স্মরণ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী’—যেখানে জীবন্ত হয়ে উঠলো ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভয়াবহ স্মৃতি।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আহত আন্দোলনকারীরা ও জুলাই যোদ্ধারা।অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন ও গীতা পাঠের মাধ্যমে আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।পিবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, “জুলাইয়ের এই গণঅভ্যুত্থান ছিল শিক্ষার্থীদের ৩৬ দিনের ত্যাগ ও সাহসের গল্প। আমরা সেই গল্পগুলো শুনবো তাদের মুখ থেকেই যারা সরাসরি এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।”উপাচার্য আরও বলেন, “রংপুরে আবু সাঈদের মৃত্যুর মাধ্যমে যে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়, তাতে জীবন হারান প্রায় ১৪০০ মানুষ। এমনকি বাসার জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা নারী ও শিশু হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে প্রাণ হারান—স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এমন ঘটনা অকল্পনীয়।”আলোচনায় অংশ নেন জুলাই আন্দোলনে আহত এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। পদ্মা সরকারি কলেজের ছাত্র মো. ছাকিন আহমেদ যিনি আন্দোলনে গুলিতে চোখ হারান, পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্র ফাহাদ সিকাদার এবং পিবিপ্রবি শিক্ষার্থী নাফিস আহনাফ, রিয়াজুস শামস ও মো. রিফাত হোসেন আন্দোলনের স্মৃতি তুলে ধরেন। তারা জানান, কীভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল এবং সেসময় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কীভাবে ভয়াবহ রূপ নেয়।তারা সকলেই আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ করে বিচার দাবি করেন এবং দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান, পিবিপ্রবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আকতার হোসেন, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ পান্না লাল রায়, পিরোজপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শেখ রফিকুল ইসলাম এবং জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ-আল-মাসুদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।অনুষ্ঠানের শেষপর্বে জুলাই আন্দোলন ও কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়, যা উপস্থিত সবাইকে গভীরভাবে আলোড়িত করে।ভোরের আকাশ/জাআ
গোপালগঞ্জে কারফিউর সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত কারফিউ বহাল থাকবে। দুই ঘণ্টা শিথিলের পর বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ কারফিউ।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কারফিউর সময় বাড়ানোর নোটিশ জারি করেন। চলমান বৃহস্পতিবার কারফিউ সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল।নোটিশ থেকে জানা যায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গোপালগঞ্জ জেলায় ১৭ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৮ জুলাই দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হলো। তবে ১৮ জুলাই দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পিরোজপুরের জেলা জজ আদালতের সামনে শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় এক পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত কনস্টেবল মাসুদ রেজাকে বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে জনতাসমক্ষে অশোভন আচরণের পরপরই পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।জানা গেছে, বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপি আয়োজিত একটি পদযাত্রা কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিও দেখে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কনস্টেবল মাসুদ রেজা শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা তার এই আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ঘিরে ফেলেন এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।এ সময় জামায়াতে ইসলামীর পিরোজপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেন। তিনি বলেন, “শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়ে। আমরা দ্রুত সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি এবং বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানাই। প্রশাসনের ভেতরে থাকা এমন অনুচিত আচরণকারীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।”পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত সদস্যের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি রবিউল ইসলাম।ভোরের আকাশ/জাআ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন মহেশখালী ও মহেশখালী থানা পুলিশের সমন্বয়ে ফকির জোম এলাকায় মোহাম্মদ শাহ ঘোনার সংলগ্ন একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।অভিযানে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি দেশীয় অস্ত্র এবং ৭ রাউন্ড তাজা গুলিসহ ছানা উল্লাহ (৫৩) নামের একজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরও বলেন, “দেশের উপকূলীয় ও নদীতীরবর্তী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘণ্টা টহল পরিচালনা করছে। এর ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।”ভোরের আকাশ/জাআ