নাসিরনগরে লাশবাহী গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ মে) ভোরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নাসিরনগর উপজেলা সদরের কামারগাঁও এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে আব্বাস মিয়া (৩২) ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল গ্রামের আজদু মিয়ার ছেলে সেন্টু মিয়া (৩৬)। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম জানান, ডাকাতির ঘটনাটি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে দু'জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার আহছানিয়া মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ছবদর আলী (৭০) বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেলে রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে তার মরদেহ নাসিরনগর উপজেলায় গ্রামের বাড়ি মুকবুলপুরে (পূর্বভাগ ইউনিয়ন) আনা হচ্ছিল।
পথিমধ্যে তিলপাড়া এলাকায় রাস্তার মাঝখানে গাছ ফেলে অ্যাম্বুলেন্স গতিরোধ করে একদল ডাকাত। তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে, মরদেহের পাশে থাকা স্বজনদের ওপর হামলা চালায়; আহত হন নারীসহ ৯ জন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় অর্ধলক্ষাধিক টাকা ও ১০টি মোবাইল ফোন সেট। ঐ সময় মরদেহে আঘাত করার অভিযোগও উঠে। তবে মরদেহে আঘাতের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা মিলেনি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৪২ গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী, স্কুলের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা টায়ারে আগুন ও গাছের গুড়ি ফেলে ঘন্টাব্যাপি চনপাড়া-নগরপাড়া সড়ক অবরোধ করে রাখে।শনিবারের (২৪ মে) এ কর্মসূচিতে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী অংশ নেয়।বক্তারা বলেন, রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৪২ গ্রাম বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। এখানে বিদ্যুৎ থাকে না বলেই চলে। সপ্তাহের ছুটির দিনেও নানা অজুহাতে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। ফলে মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লোডশেডিং না কমালে ও ডিজিএমের অপসারণ করা না হলে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাওসহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান।মনববন্ধন পূর্বক আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট গোলজার হোসেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুন মিয়া, আনোয়ার হোসেন আনু, নাসির আহম্মেদ, আব্দুস সাত্তার, নুর হোসেন, আক্তার হোসেন, সালাউদ্দিন ফালা প্রমুখ। ভোরের আকাশ/এসআই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পুকুরে ডুবে তাছকিয়া বেগম (৩) ও তারা নূর (৩) নামের ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এরা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন।শনিবার (২৪ মে) দুপুরে উপজেলার কুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।মৃতরা হলো-তাছকিয়া কুন্ডা গ্রামের মাফিকুল মিয়ার মেয়ে। আর তারা নূর ধানতলিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে।পুলিশ ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৪ মে) দুপুরে তাছকিয়া ও নূর বাড়ির উঠানে খেলা করছিলেন। এ সময় সবার অগোচরে শিশুরা বাড়ির পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদেরকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করে।নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আলম জানান, মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুদের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই
মিয়ানমারের রাখাইনে মানবিক সহায়তার নামে করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে লীজ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র উদ্যোগে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত।শনিবার (২৪ মে) বিকাল সাড়ে পাচঁ টায় সিপিবি ঝিনাইদহ কমিটির আয়োজনে শহরের এইচএসএস সড়ক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পায়রা চত্ত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড রবিউল আলম খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড স্বপন বাগচী, বাংলাদেশের বিপ্লবী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল এনাম পল্লব, বাসদ জেলা আহ্বায়ক অ্যাড. আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি কাজী ফারুক, যুব ইউনিয়ন জেলা সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ চাষা, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মিটুল। সমাবেশ পরিচালনা করে পার্টির জেলা সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড আবু তোয়াব অপু।বক্তৃতায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের স্বার্থ বিরোধী করিডোর, বন্দর লীজ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। আর এক মুহূর্তও দেরি নয়, ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা, সুষ্ঠু,অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন, মব সন্ত্রাস বন্ধ, জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ২০২৪’ এর গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচারের কাজ দৃশ্যমান করুন।মুক্তিযুদ্ধ, দেশের ইতিহাস , ঐতিহ্যের উপরে সব ধরনের আঘাত বন্ধ মোকাবিলা করুন। বিরাজনীতিকরণের প্রচেষ্টা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিপিবি নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, সরকার দেশের স্বার্থবিরোধী এই পথ থেকে সরে না আসলে দেশবাসীকে নিয়ে চট্টগ্রাম অভিমুখে লংমার্চ, প্রয়োজনে ঘেরাও অবরোধ-হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে। বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী প্রক্সি ওয়ার কোনোভাবেই জড়িত হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, কোন কোন মহল নানা ধরণের ইস্যু সামনে এনে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়। যা দেশের গণতন্ত্রের পথ চলাকে সংকটে ফেলবে। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কাল বিলম্ব না করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের দাবী জানান।উল্লেখিত দাবিতে ২৩ ও ২৪ মে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল ২৩ মে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সমাবেশ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৪ মে সিপিবি’র বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ, মতবিনিময় সভা, পদযাত্রা, পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসআই
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছে খামারি ও কৃষকরা। এবার খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় কোরবানি উপযোগী পশু ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৮টি প্রস্তুত করা হয়েছে। আর চাহিদার পরিমান দাড়িয়েছে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৮৯টি। হিসাব অনুযায়ী এবারে খুলনা বিভাগে কোরবানির পশুর সংখ্যা চাহিদার চেয়ে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৮৮৯টি বেশি প্রস্তুত করা হয়েছে। এ কারণে কোরবানির পশুর সংকট হওয়ার কোনো সম্ভবনা দেখছে না খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর।তবে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পশু আমদানি বন্ধ করা না গেলে খামারী ও চাষীদের লোকসান গুনতে হবে বলে আশংকা করছেন চাষী-খামারীরা।খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. নুরুল্লাহ মো. আহসান জানান, বিভাগের ১০ জেলায় এ বছর ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৮৯টি পশু কোরবানির সম্ভাবনা রয়েছে। খামারি ও ব্যক্তি চাষী পর্যায়ে ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৮টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় ৪ লাখ ১৮ হাজার ৮৪৮টি, বলদ ৪৫ হাজার ৯১৮টি, গাভী ৭৩ হাজার ৬৬৫টি, মহিষ ৬ হাজার ৩১৭টি, ছাগল ৮ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৩টি, ভেড়া ৫১ হাজার ১৩২টি ও অন্যান্য ৯৫টি।তিনি আরও জানান, প্রস্তুতকৃত পশুর মধ্যে খুলনায় প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার ৩১টি, বাগেরহাটে প্রায় ৮৫ হাজার ৪৮টি, সাতক্ষীরায় প্রায় ১ লাখ ৬০১টি, যশোরে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৭৪টি, ঝিনাইদহে জেলায় ২ লাখ ৬৩ হাজার ১২৯টি, মাগুরায় ৮১ হাজার ৪৭৩টি, নড়াইলে ৫৪ হাজার ৫৮৫টি, কুষ্টিয়ায় ২ লাখ ৯৪৮টি, চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৬টি, মেহেরপুরে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭৫৩টি গবাদি পশু রয়েছে।বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২৪ সালে বিভাগের ১০ জেলায় প্রায় ১০ লাখ ৫ হাজার ৭৭০টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। খামারি ও ব্যক্তি চাষী পর্যায়ে ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৫৬৫টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে ষাঁড় ৪ লাখ ৯ হাজার ৯৬৫টি, বলদ ৫৮ হাজার ২৮৯টি, গাভী ৬৮ হাজার ৭৯০টি, মহিষ ৫ হাজার ৬৫৪টি, ছাগল ৭ লাখ ৬০ হাজার ৪৯৫টি, ভেড়া ৪৯ হাজার ৫২৫টি ও পশু অন্যান্য ৮৪৭টি। উৎপাদিত পশুর মধ্যে খুলনায় প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৭৮টি, বাগেরহাটে প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার ৪১৩টি, সাতক্ষীরায় প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার ৬৫৯টি, যশোরে প্রায় ১ লাখ ৬ হাজার ৬১৭টি, ঝিনাইদহ জেলায় ২ লাখ ১৮ হাজার ৪৩১টি, মাগুরায় ৭৮ হাজার ৫৯১টি, নড়াইলে ৫২ হাজার ৫৪৭টি, কুষ্টিয়ায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৯টি, চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪০২টি, মেহেরপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮৩৮টি গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছিল। এদিকে, খুলনায় কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও খামারিরা। পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বিভিন্ন খামারে প্রস্তুত করা হচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু। চাষী ও খামারীদের যেন কোন ফুসরত নেই। ডুমুরিয়ার বিসমিল্লাহ অ্যাগ্রো, বটিয়াঘাটার পূরবী অ্যাগ্রোসহ কয়েকটি ফার্মের মালিকরা জানান, গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং অন্যান্য উপকরণেরও দাম বেড়েছে। এতে পশু পালনে খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চাসী ও খামারীদের মধ্যে অনাগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খুলনার সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গায় চোরাপথে ভারতীয় গরুর আমদানি ঠেকানো না গেলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। ভোরের আকাশ/এসআই