ছবি : ভোরের আকাশ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জিয়া পরিষদের উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেল ৫ টায় ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির কার্যালয়ে এ পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার জিয়া পরিষদ কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ্ব প্রফেসর মোঃ নওশের ওয়ান, সদস্য সচিব মোঃ মহসিন রেজা, সদস্য মোঃ সাজেদুর রহমান সাজু, সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান, সদস্য মোঃ সামেদুল ইসলাম, সদস্য মোঃ গোলাম মর্তুজা স্টার, সদস্য মোঃ শাহিনুর ইসলাম জিয়া পরিষদ ফুলবাড়ী পৌর শাখার আহ্বায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব মোঃ মাহাবুর রহমান, সদস্য মোঃ আব্দুল হাফিজ সরকার, সদস্য মোঃ মোনায়েম হোসেন, সদস্য মোঃ সাইদুর রহমান মাষ্টার, সদস্য মোঃ নুরুল ইসলাম মাষ্টার, সদস্য মোঃ একরামুল হক সহ জিয়া পরিষদ ফুলবাড়ী উপজেলা ও পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মৃত্যুর ১৪ বছর পর পিরোজপুরের কাউখালীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম এবং গুপ্ত হত্যার শিকার ব্যবসায়ী নাজমুল হক মুরাদের সঠিক পরিচয় নির্ধারণ করতে কবর থেকে দ্বিতীয়বার লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে।সোমবার (২৮ জুলাই) সকালে পিরোজপুরের কাউখালীর পার সাতুরিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুম কমিশনের সদস্য মানবাধিকার কর্মী নূর খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বজল মোল্লা।ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কার্যালয় থেকে অনুরোধের প্রেক্ষিতে পিরোজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান গত ১৫ জুলাই (মঙ্গলবার) এ আদেশ দেন।জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ পালনে কাউখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত দেবনাথ, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসতিয়াক আহমেদ, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান, মামলার বাদি মুরাদের ভাই মিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে মরদেহের নমুনা সংগ্রহ করেন।জানা গেছে, একটি হত্যা মামলার আসামি কাউখালীর ব্যবসায়ী মুরাদ, রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠী গ্রামের মিজান জোমাদ্দার ও ফোরকানকে ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার উত্তরা থেকে র্যাব পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়। এরপরে তাদের কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। ১০ দিন পরে ২৭ এপ্রিল ঢাকার তুরাগ তীরে বালুর নিচ থেকে বস্তাবন্দি তিন যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে তিন জনের পরিবার তাদের লাশ শনাক্ত করে প্রত্যেকের বাড়িতে দাফন করে।এদিকে, তারা কাউখালীতে আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন খান মাসুদ হত্যা মামলায় গুপ্ত হত্যায় নিহত দু'জন আসামি থাকায় মামলার বাদি নিহত দুই আসামির ডিএনএ টেস্টের আবেদন করলে, স্বরাষ্ট্র মস্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালতের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট এ কে এম এনামুল হক ২০১১ সালের জুন মাসে মুরাদ ও মিজানের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন।২০১১ সালের ৪ জুলাই কাউখালীর পার সাতুরিয়া গ্রামে নাজমুল হক মুরাদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে লাশের দাতসহ বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। পরে ডিএনএ টেস্টে কাউখালীতে দাফন করা লাশ মুরাদের নয় বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি আ. রাজ্জাক। মামলায় মিজান ও মুরাদকে জীবিত দেখিয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বছর পর ছোট ভাই নাজমুল হক মুরাদের সঠিক সন্ধান এবং তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি নিকট আবেদন করেন তার মেঝো ভাই মিরাজুল হক লিপু। পরে চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল গুম সংক্রান্ত কমিশনের দু'জন সদস্য কাউখালীতে আসেন। তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘটনার বিবরণ শুনে মুরাদের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেন।ভোরের আকাশ/জাআ
ঠাকুরগাঁওয়ে হারভেস্টপ্লাসের বাস্তবায়নে রিয়েক্টস-ইন প্রজেক্টর আওতায় জিংক গম ও জিংক ধান শীর্ষক একটি "স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রাম" অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে ইএসডিও'র আয়োজনে ও পরিচালনায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের 'গড়েয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে' স্কুল সেনসিটাইজেশন প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গড়েয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জিয়াউর রহমান। এছাড়াও আরো বক্তব্য দেন, ইএসডিও'র রিয়েক্টস- ইন প্রজেক্টের প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম, পিসি মোঃ কামরুল ইসলাম ও স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।এসময় অনুষ্ঠানে ১০০ জন ছাত্রী ও ১১ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই খুন, ধর্ষন, ডাকাতি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এ ধরণের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই সফলতা অর্জন করেছে।এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং র্যাব-৮ বরিশাল, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-৯, সিপিসি-৩, হবিগঞ্জ ক্যাম্প এর একটি যৌথ আভিযানিক দল (২৭ জুলাই) আনুমানিক দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানাধীন বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার হবিগঞ্জের মাধবপুরে চতুর্থ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী (১২) ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আকাশ মিয়া (২৪), পিতা- মোঃ নুর মিয়া, সাং- হবিবপুর, থানা- মাধবপুর, জেলা- হবিগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।মামলার বিবরণে জানা যায় যে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ সকাল ৮ টায় ভিকটিম শিশু প্রতিবেশী ‘হবিগঞ্জের মাধবপুর থানাধীন হাবিবপুর গ্রামে’ অভিযুক্তের বসতঘরের সামনে গেলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিকটিমকে জোর পূর্বক মুখ চেপে ধরে বসত ঘরে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি প্রদান করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত বিভিন্ন তারিখ ও সময় ভিকটিমকে তার বসত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। ভিকটিম অভিযুক্তের ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। গত ২৬/০৫/২০২৫ ইং তারিখে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে ভিকটিমকে ‘তানিয়া ডায়াগনস্টিক এন্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, মাধবপুরে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডাক্তার জানায় ভিকটিম ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। তখন ভিকটিম তার পরিবারের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। উল্লিখিত ঘটনায়, ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এমতাবস্থায়, র্যাব ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৮ ও র্যাব-৯ এর একটি যৌথ অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষণের অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানায় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নৈশ পাহারা কার্যক্রম তদারকি করেন। সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এ কার্যক্রম করেন তিনি। তিনি নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে উপস্থিত যাত্রী, পথচারী এবং সেবা প্রত্যাশীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং চলাচলের ক্ষেত্রে তাদের সমস্যা ও স্বস্তির দিকগুলো সম্পর্কে অবহিত হন।এসময় বিএমপি কমিশনার পথচারী ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে যাত্রাপথে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করেন এবং পুলিশি সহায়তা গ্রহণে উৎসাহিত করেন। পাশাপাশি চেকপোস্টসমূহের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরলসভাবে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে মাদক ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএমপি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনায় বিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ নিয়মিতভাবে প্রতিটি থানা এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করে থাকেন।এ কার্যক্রমে কমিশনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর/উত্তর) সুশান্ত সরকার, পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।ভোরের আকাশ/জাআ