স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫ ০৮:০৭ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
রোহিঙ্গা সংকট মেকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় টেকসই সমাধানের পথ খুঁজতে কক্সবাজারে আয়োজিত তিনদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৪টা থেকে উখিয়ার ইনানীতে সেনাবাহিনীর হোটেল বে-ওয়াচ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে এ সম্মেলন।
সম্মেলনের প্রথম দিন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শত নারী-পুরুষকে নিয়ে আনা হয়েছে সেখানে। আগত অতিথিরা এ রোহিঙ্গাদের মতামত গ্রহণ করছেন। মূলত স্বদেশ ফেরতে ‘রোহিঙ্গা ভাবনা’ নিয়ে শোনা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ভাবনা।
সম্মেলনের অভ্যন্তরে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ অনুমতি না থাকলেও দায়িত্বশীল একটি সূত্রে বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। যেখানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমানসহ দেশি-বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত রয়েছেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিষয় নিশ্চিত করে জানান, এদিন বিকেলে বিদেশি এবং বাংলাদেশের উপদেষ্টাদের উপস্থিতিতে ক্যাম্পে প্রতিনিধিত্বকারী একশত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নিয়ে সম্মেলন শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে শোনা হচ্ছে তারা আসলে কী চায়। তারা আসলে কীভাবে নিজ দেশে ফেরত যাবে। এ আলোচনাটি মূলত তাদের মনোবল বৃদ্ধি করা ও প্রত্যাবাসনে তাদের ভাবনা শোনা হচ্ছে। সেখানে অংশীজনরা কীভাবে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করতে পারেন, এটি হচ্ছে প্রথম দিনের আলোচনার বিষয়। সন্ধ্যায় বিদেশি অতিথিদের জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সৌজন্যে রোহিঙ্গাদের কালচারাল অনুষ্ঠান। যেখানে তাদের ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরবেন।
তিনি বলেন, সোমবার পরদিন প্রধান উপদেষ্টা তিন দিনের সম্মেলনের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। সেখানে দেশি বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন। বিকেলে চারটি বিষয়ভিত্তিক সেশনে প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশি বিদেশি ডেলিগেটরা উপস্থিত থাকবেন। প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনের কর্মকর্তাগণ, বিদেশ থেকে আসা অতিথিরা এ সেশনে অংশগ্রহণ করবেন। মঙ্গলবার অতিথিরা এখানে আসবেন তাদের ক্যাম্প পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়া হবে। তারা যেখানে যেখানে যেতে চান ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের আমরা কীভাবে রেখেছি তা দেখবেন। রোহিঙ্গাদের জন্য যেসব সার্ভিস চালু রাখা হয়েছে সেগলো পর্যবেক্ষণ করবেন। রোহিঙ্গাদের সাথেও আলোচনা করবেন।
তিনি বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য এবং রোহিঙ্গাদের চাওয়া একটি তাদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়া যাতে কোনো হানাহানি বা কোনো বিপত্তির কারণ না হয়।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, ‘আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ১০৭ দেশের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেই সম্মেলনের প্রস্তুতি স্বরূপ কক্সবাজারের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে ৪০টি দেশের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
ভোরের আকাশ/জাআ