ছবি-ভোরের আকাশ
পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করেছে মানিকগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তপাঠ গণগ্রন্থাগার। রোববার (২৯ জুন) সকালে সরুপাই আলহাজ্ব আবদুল হালিম দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় ১৯০ জন শিক্ষার্থীর হাতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি শিক্ষক ও অতিথিদের অংশগ্রহণে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে কয়েকটি গাছ রোপণ করা হয়।
“একটি হলেও বৃক্ষরোপণ করবো জনে জনে, সবুজ দেশের সুস্থ বাতাস লাগুক সবার প্রাণে” এবং “দেশের বায়ু, দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করবো খাঁটি”—এই দুই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তপাঠ গণগ্রন্থাগারের সভাপতি আমিনুর রহমান। মাদ্রাসা সুপার মো. ইউসুফ আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা আরিফ হোসেন খান তৌফিক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম, মো. নুরুজ্জামান, বাবুল হোসেন, গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা মতিয়ার রহমান, মো. উজ্জ্বল মিয়া, মো. মাজেদ মিয়া, মো. সাইজুদ্দিন, মো. শরীফ মিয়া এবং নারী শিক্ষকদের মধ্যে মোছা. আফরোজা খানম, মোছা. শামীমা তালুকদার ও মোছা. তানজিলা আক্তার।
বক্তারা পরিবেশ রক্ষায় গাছের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, শিক্ষার্থীদের শৈশব থেকেই বৃক্ষরোপণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে করে তারা ভবিষ্যতে পরিবেশ সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী গাছের চারা গ্রহণ করে তা বাড়িতে রোপণের অঙ্গীকার করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গাইবান্ধার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন ক্রমাগতই ভেঙ্গে পড়েছে। জেলায় প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরি, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা। সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঘটছে পাল্টাপাল্টি হামলা ও হত্যার ঘটনা। সাথে কিছুতেই কমছে না জেলা জুড়ে মাদকের আগ্রাসনসহ নানা অপরাধ। শুধু রাতে নয়, দিনে দুপুরেও হচ্ছে চুরি ও ছিনতাই। নিয়মিত চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকান্ড সংঘটিত হলেও অপরাধীরা গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে স্থানীয়দের। তারা মনে করেছেন প্রশাসনের নিয়মিত তদারকির অভাব ও মাদকের সহজলভ্যতায় এসব অপরাধ কার্মকান্ড বেড়েই চলছে। গাইবান্ধা জেলা পুলিশের তথ্যমতে গেল জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের ২৯ জুন পর্যন্ত জেলার ৭ উপজেলায় দুটি ছিনতাই জনিত হত্যাকান্ডসহ শুধু হত্যাকান্ডের ঘটনাই ঘটেছে ২৯টি। এছাড়া ৮টি ছিনতাই ও ২ টি ডাকাতি, ৩৮টি চুরি ও ৪২টি ধর্ষনসহ ৯৫টি নারী নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের যথাযোগ্য ভূমিকার অভাবে সর্বত্রই বাড়ছে বিভিন্ন অপরাধ। এতে জানমালের নিরাপত্তাসহ স্বাভাবিক চলাফেড়া নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। জেলা জুড়ে মাদকের বিস্তার বাড়ায় এসব অপরাধের ঘটনা বাড়ছে। সেই সাথে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার ও চোর, ছিনতাইকারীসহ অপরাধীরা গ্রেফতার না হওয়ায় অনেকে থানায় অভিযোগ করতেই যাননা বলে জানান তারা।গাইবান্ধা শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম (৩৮) বলেন, শহর জুড়ে এমন অপরাধ কর্মকান্ড আর কখনো ঘটেছে বলে আমার জানা নাই। সাধারণ মানুষ সন্ধ্যার পর বের হতে হয় জীবনের ভয় নিয়ে। পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা আগের মতো মাঠে কাজ করছে না। তারা অফিসের মধ্য সীমাবদ্ধ থাকছে যে কারনে মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে।গাইবান্ধা শহরের পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা সনজু মিয়া বলেন, প্রশাসনের ভুমিকা না থাকায় আজ জেলা জুড়ে প্রায় প্রতিদিন লাশ পড়ছে। যে যার মতো আইন হাতে তুলে নিচ্ছে। দ্রুত প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। পুলিশের সাথে সাধারন মানুষের দূরুত্ব বেড়ে গেছে এটিও কমাতে হবে।এবিষয়ে গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) শরিফুল আলম বলেন, কয়েকটি ঘটনার পর পুলিশী নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে ও অপরাধ কর্মকান্ড বন্ধে সাধারন মানুষের নিরাপত্তায় জেলা জুড়ে নতুন করে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।তিনি আরো বলেন, জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত চুরি, ছিনতাই ও মাদকদ্রবসহ বিভিন্ন অপরাধের ঘটনার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন থানায় ৯শ ৯৬টি মামলা দায়ের হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একটি বিল থেকে আরিফুল মন্ডল (১৬) নামে এক অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ।রবিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের চাকোলিয়ার বিল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে ওই ইউনিয়নের কাশিমবাজার নামক স্থান থেকে যুবকের অটোটিও ব্যাটারী বিহীন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত আরিফুল মন্ডল উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের পশ্চিম শিবরাম বাবুর দিঘীরপাড় গ্রামের শহিদুল মন্ডলের ছেলে।নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে আরিফুল মন্ডল অটো নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে রবিবার সকালে সর্বানন্দ ইউনিয়নের চাকলিয়ার বিলের মধ্যে একটি অজ্ঞাত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।এদিকে অজ্ঞাত লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে আরিফুলের স্বজনার ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ শনাক্ত করে। পরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বলেন, চাকলিয়ার বিলে অজ্ঞাত যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী আমাকে খবর দেয়। পরে আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেসময় থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।সুন্দরগঞ্জ থানার (ওসি তদন্ত) সেলিম রেজা বলেন, চাকলিয়ার বিল থেকে আরিফুল মন্ডল নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/আজাসা
কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার কোডেক এর স্ট্রমি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ক্লাইমেট চেইঞ্জ এডাপ্টেশন প্রজেক্ট বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পানির ট্যাংকি বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (২৯জুন) বিকাল ৩টায় উপজেলা শ্যামপাড়া কোডেক অফিস চত্বরে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মো. সাব্বির তালুকদার টেকনিক্যাল অফিসার, মো. মনির হসেন সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার আলোচনা শেষে ৫০টি পরিবারের মধ্যে এ পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রজেক্ট ম্যানেজার আ.ন.ম ওয়াহিদ। তিনি বলেন, কোডেক ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে উপকূলে মানুষের কাজ করে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন প্রকল্পের মাধ্যমে আপনাদের নিরাপদ পানি চাহিদা পূরনের আমরা আপনাদের পাশে আছি।আরও উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম কর্মী ও ক্লাইমেট চেইঞ্জ এডাপ্টেশন প্রজেক্টের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা ভোগী পরিবারের সদস্যরা এবং ক্লাইমেট চেইঞ্জ এডাপ্টেশন প্রজেক্টের কর্মকর্তাবৃন্দ। ভোরের আকাশ/আজাসা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ছয় বছরের শিশু ধর্ষণকারীকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেছে স্থানীয় জনতা। শনিবার (২৯) জুন দিবাগত রাত ১২ দিকে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া এ গ্রামে ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিল মিয়া (৫০) একই গ্রামের মৃত কাসেম আলীর ছেলে।বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার বিকালে পলুপাড়া গ্রামের হাবিল মিয়া নামের ওই ব্যক্তি একই গ্রামের ৬ বছরের একটি শিশুকে ফুঁসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে পরদিন শনিবার গোবিন্দগঞ্জ থানায় এজাহার দাখিল করা হয়।ওই দিন দিবাগত মধ্যরাতে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক হাবিল মিয়াকে আটক করে গণপিটুনি দেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত হাবিল এলাকাবাসীর পিটুনিতে নিহত হয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।ভোরের আকাশ/আজাসা