ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রধান পার্থক্য
ডেঙ্গু:হঠাৎ উচ্চ জ্বর, ৪–৫ দিন পর লালচে র্যাশরক্তের প্লাটিলেট কমে যাওয়া, রক্তক্ষরণশক সিনড্রোম ও মৃত্যুঝুঁকির সম্ভাবনা বেশিশরীরে ব্যথা থাকে, কিন্তু তীব্র নয়বমি, খেতে না পারা সাধারণএক্সপান্ডেড ডেঙ্গু হলে লিভার, হার্ট, কিডনিসহ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেচিকুনগুনিয়া:জ্বর শুরু হয় ধীরে, থেমে থেমে আসে (১০২–১০৪ ডিগ্রি)শরীরের প্রায় সব জয়েন্টে তীব্র ব্যথা, হাঁটাচলা কষ্টকরহাত-পা ফুলে যাওয়াতীব্র মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথার্যাশ সাধারণত দেখা দেয় নাপ্লাটিলেট কমে না, রক্তক্ষরণ হয় নামৃত্যুঝুঁকি নেই, তবে দীর্ঘদিন ব্যথা ভোগঅনেকের চামড়া উঠে বা কালো হতে পারেবিশেষজ্ঞ ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, “ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি থাকলেও চিকুনগুনিয়ায় তা নেই। তবে জয়েন্ট পেইন এত তীব্র যে রোগী হাঁটাচলাও করতে পারেন না। তাই অনেকে চিকুনগুনিয়াকে ‘ল্যাংড়া জ্বর’ বলেও অভিহিত করেন।”কখন টেস্ট করালে ধরা পড়ে?ডেঙ্গু: জ্বরের ২–৩ দিনের মধ্যে টেস্ট করলে শনাক্ত হয়। পরে করলে ফল নাও মিলতে পারে।চিকুনগুনিয়া: জ্বরের ৫–৭ দিন পর টেস্ট করলে কার্যকর ফল পাওয়া যায়।চিকুনগুনিয়া শনাক্ত হয় আইসিটি, আরটি-পিসিআর বা সেরোলজি টেস্ট দ্বারা। ডেঙ্গু শনাক্ত হয় সাধারণ রক্ত পরীক্ষায়।খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, “চিকুনগুনিয়ায় জয়েন্ট পেইন এত তীব্র হয় যে আমরা প্রায়ই শুধু উপসর্গ দেখে অনুমান করি। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য টেস্ট জরুরি।”চিকিৎসার পার্থক্যডেঙ্গু: সহায়ক চিকিৎসা, প্যারাসিটামল জ্বর কমাতে, প্রচুর পানি, ডাবের পানি, শরবত, জুস, স্যুপ, দুধ খেতে বলা হয়। প্লাটিলেট কমলে রক্ত দেওয়া হয়।চিকুনগুনিয়া: তীব্র ব্যথা কমাতে পেইনকিলার, তরল খাবার, ফল এবং ফিজিওথেরাপি।সতর্কবার্তা:ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি থাকলেও চিকুনগুনিয়া দীর্ঘ ভোগান্তির কারণ। চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক টেস্টের মাধ্যমে সনাক্ত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যাতে সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া যায় এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।সূত্র: বিবিসি বাংলাভোরের আকাশ // হ.র