শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর সঙ্গে দুজনের বেশি প্রবেশ নয়
ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ড্রাইভওয়ে ও ক্যানোপি এলাকায় যাত্রীদের সঙ্গে দুজনের বেশি প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।যা আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে এক বার্তায় কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে।বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র স্কোয়ার্ডন লিডার মো. মাহমুদুল হাসান মাসুম জানান, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও এরাইভাল ক্যানোপি এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন।এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, বিমানবন্দর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সর্বোপরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।তিনি বলেন, সম্মানিত যাত্রীদের বিদায় ও স্বাগত জানাতে আসা ব্যক্তিদের সুশৃঙ্খলভাবে চলাচলের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সকলের সহযোগিতা কাম্য।বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আদেশক্রমে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বছরে এক কোটি ২৫ লাখ যাত্রী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকেন। প্রতিদিন ১৪০-১৫০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি লাগেজ বহনকারী ট্রলি টাগের ধাক্কায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে।বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩৮৯ ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৬টার দিকে অবতরণ করে। যাত্রী নামিয়ে পার্কিং বে-তে অবস্থান করছিল উড়োজাহাজটি। এ সময় লাগেজ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি খাঁচা ট্রলি তীব্র বাতাসে পাশের দিক থেকে ছুটে এসে বোয়িং এয়ারক্রাফটটির গায়ে আঘাত হানে। এতে বাহ্যিকভাবে প্লেনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ঘটনার সময় উড়োজাহাজের ভেতরে কোনো যাত্রী ছিল না বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এ বি এম রওশন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ট্রলিটি চলন্ত অবস্থায় ছিল না; তীব্র বাতাসের কারণে সেটি স্থানচ্যুত হয়ে উড়োজাহাজে ধাক্কা দেয়।তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে বোয়িং প্লেনটির গায়ে ট্রলিটি ধাক্কা লাগায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে এ সময় কোনো যাত্রী ভেতরে ছিলেন না। আমাদের প্রকৌশলীদের একটি দল তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নিরূপণের কাজ করছে।”বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লাগেজ ট্রলি বা ‘খাঁচা ট্রলি’ দিয়ে যাত্রীদের মালামাল পরিবহন করা হয়। বিমান ওঠানামার সময় এমন ট্রলি যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা না হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।ভোরের আকাশ//হ.র
০১ জুলাই ২০২৫ ১১:৩৪ পিএম
শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন থেকে ভিআইপি ও ভিভিআইপি যাত্রীদের লাগেজ স্ক্রিনিংয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে।এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক) বিভাগের সব সদস্যকে সচেতনামূলক ব্রিফিং ও নির্দেশনা প্রদান করা হবে, যাতে তাদের সতর্কতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে। সিসিটিভি মনিটরিং টিমকেও নজরদারি আরও কার্যকর করতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।নিরাপত্তা জোরদারে অতিরিক্ত পদক্ষেপ হিসেবে এখন থেকে উচ্চ ঝুঁকির ব্যাগেজ মেটাল ডিটেক্টর ও এক্স-রে মেশিনে স্ক্যানের পরও অবশ্যই ম্যানুয়ালভাবে পরীক্ষা করা হবে।এছাড়া, আগ্নেয়াস্ত্র বহনের ক্ষেত্রে আগাম অনুমতির বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে এবং সেই অনুমতির তথ্য সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করা হবে। কোনো নিরাপত্তা ভঙ্গের ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং দ্রুত প্রতিরোধমূলক নির্দেশনা জারি করা হবে।সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যাত্রী ও কর্মীদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।ভোরের আকাশ/জাআ