পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে কমিশন গঠন হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্রেড ও ইনভেস্টমেন্ট কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া, গত প্রায় দেড় দশক ধরে অকার্যকর থাকা বাংলাদেশ-পাকিস্তান জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনও কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে তিনি পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সঙ্গে বৈঠক করেন।উপদেষ্টা জানান, বৈঠকে দুই দেশ উভয়পক্ষ খোলামেলা আলোচনা করেছে। প্রধান আলোচনা ছিল খাদ্য ও কৃষি পণ্যে সহযোগিতা, আমদানি-রপ্তানি প্রসার, যেমন আনারস রপ্তানি এবং স্থানীয়ভাবে চিনি উৎপাদনে পাকিস্তানের সহায়তা। এছাড়া, পাকিস্তান হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড আমদানিতে আরোপিত এন্টি-ডাম্পিং ট্যাক্স প্রত্যাহারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের বাজারে ডিউটি ফ্রি ১ কোটি কেজি চা রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্বাক্ষর করার বিষয়েও আলোচনা চলছে।বাণিজ্য সচিবের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব। পাকিস্তান থেকে এখনো বাংলাদেশের আমদানি বেশি, রপ্তানি কম, যা সমতা আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর কামরান ধাংগাল, এবং বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রতিনিধি ও সহকারী। ভোরের আকাশ/হ.র
২১ আগস্ট ২০২৫ ১০:৫৯ পিএম
ভারতের কড়া সমালোচনায় ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য ও উৎপাদন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেছেন, ভারতকে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করতে হবে। তিনি সতর্ক করেছেন যে, এই আমদানি মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধকে অর্থায়ন করছে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত একটি মতামত প্রবন্ধে নাভারো দাবি করেন, নয়াদিল্লি ‘এখন রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।তিনি যোগ করেন, যদি ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে থাকতে হয়, তবে তাকে সে অনুযায়ী আচরণ করতে হবে।ওই প্রবন্ধে নাভারো বলেন, ভারত রাশিয়ান তেলের জন্য একটি বৈশ্বিক ক্লিয়ারিং হাউস হিসেবে কাজ করছে, যেখানে নিষিদ্ধ অপরিশোধিত তেলকে উচ্চমূল্যের রপ্তানিতে রূপান্তরিত করে মস্কোকে প্রয়োজনীয় ডলার সরবরাহ করছে ভারত।তিনি আরও সতর্ক করেন যে, নয়াদিল্লি এখন রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে, তাই ভারতের কাছে উন্নত মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি হস্তান্তর করা ঝুঁকিপূর্ণ। কঠোর ভাষায় লেখা ওই কলামে নাভারো ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে ভারতের রাশিয়ান তেল কেনা নাটকীয় বৃদ্ধির বিষয়টিকে ভারতের ‘সুযোগসন্ধানী’ আচরণ উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে ক্রেমলিনকে বিচ্ছিন্ন করার ও ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, আমেরিকান ভোক্তারা ভারতীয় পণ্য কেনে। ভারত সেই ডলার ব্যবহার করে ছাড়কৃত মূল্যে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কিনে। এর আগে ভারত এ ধরনের সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দেশটিকে অন্যায়ভাবে আলাদা করে দোষারোপ করা হচ্ছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও রাশিয়া থেকে অন্যান্য পণ্য আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করেন, বিশেষভাবে ভারতের অব্যাহত রাশিয়ান তেল আমদানিতে উল্লেখ করে। এর ফলে বিদ্যমান শুল্ক দ্বিগুণ হয়ে মোট ৫০%-এ দাঁড়িয়েছে।উল্লেখ্য, ঐতিহাসিকভাবে ভারত রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের বড় আমদানিকারক ছিল না; বরং মধ্যপ্রাচ্যের উপর নির্ভর করত। কিন্তু ২০২২ সালে পরিস্থিতি বদলায়। ডেটা অ্যানালিটিক্স প্রতিষ্ঠান কেপলার-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ভারতের মোট আমদানির নগণ্য অংশ ছিল রাশিয়ার তেল; কিন্তু এখন তা প্রায় ৩৭ শতাংশে পৌঁছেছে।ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ভারত নীতির ফলে বেইজিং ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মাসের শেষে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন।এছাড়া, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বর্তমানে ভারত সফর করছেন দুই দেশের দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কে আরও চাপ সৃষ্টি করতে আগামী আগস্ট ২৫ থেকে ২৯ পর্যন্ত বাণিজ্য আলোচকদের একটি পূর্ব নির্ধারিত ভারত সফর বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সিদ্ধান্ত প্রস্তাবিত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার অগ্রগতি বিলম্বিত করবে এবং এর ফলে আগস্ট ২৭ থেকে কার্যকর হতে যাওয়া অতিরিক্ত মার্কিন শুল্ক থেকে রেহাই পাওয়ার ভারতীয় আশা ভেস্তে গেছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
১৯ আগস্ট ২০২৫ ১২:৩৫ পিএম
পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
সম্প্রতি ঢাকার বাজারে পেঁয়াজের দাম হুহু করে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিলো। তবে আমদানি দিনক্ষণ ও পরিমাণ এখনো জানানো হয়নি।মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে প্রেস ব্রিফংয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এ কথা জানান।উপদেষ্টা বলেন, চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে এবার পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। শুধু ভারত থেকে নয়, ব্যবসায়ীরা যেখান থেকে আমদানি করতে চাইবে সেখান থেকেই আনার অনুমতি দেওয়া হবে।তিনি বলেন, কারণ আমাদের মূল উদ্দেশ্য পেঁয়াজের দাম কমানো, সরবরাহ বৃদ্ধি করা। এজন্য যেখান থেকে দাম কম পাওয়া যাবে সেখান থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।এদিকে, দেশে ভালো ফলন হওয়ায় চলতি মৌসুমে আমদানি করতে হয়নি পেঁয়াজ। দামও ছিল মোটামুটি হাতের নাগালে। গত ১৫ দিনে হঠাৎ করে কেজিপ্রতি ২০-২৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম বাড়ায় ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি।ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফলন বেশি হয় এমন জেলাগুলোর মোকাম থেকে সরবরাহ করে সারাদেশের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। এতে মৌসুম শেষের অজুহাতে মোকামগুলোতে পেঁয়াজ কমে আসার সুযোগে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালী চক্র।ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তাদের গত ১১ আগস্ট এক প্রতিবেদনে বলছে, ঢাকা মহানগরীর খুচরা বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ১ আগস্ট খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা।টিসিবির প্রতিবেদন বলছে, মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
এ বছর চামড়ার দাম যতক্ষণ নায্য না হবে, ততক্ষণ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে সরকার সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ও কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির আহ্বায়ক শেখ বশিরউদ্দীন।বুধবার (২১ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, কোরবানির চামড়ার ওপর এতিমের হক রয়েছে। এর সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে আমরা উচ্চ পর্যায়ের কমিটির বৈঠক করেছি। যেখানে বড় সিদ্ধান্ত হলো, মাদ্রাসা ও এতিম খানায় ৩০ হাজার টন লবন দেবে সরকার। প্রতিষ্ঠানগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত চামড়ার নায্য দাম না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ব্যবস্থাপনা ও চামরা সংরক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একটি নির্দেশনামূলক ভিডিও তৈরি করবো। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সেগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে।শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আগে সারা দেশে একসঙ্গে কাঁচা চামড়া আসতো। চামড়া পচে যাবে সে কারণে দাম না পেয়েও বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এবার সেটা হবে না।তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২২ মে) আবারও বৈঠকে হবে। তখন চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হবে। এ বছর চামড়ার দাম গত বছর থেকে বেশি হবে।শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বৈঠকে আমরা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নির্ধারিত পশুর হাটের বাইরে পশু কেনা-বেচা যেন না হয়। হাসিল ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনার বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া সরবরাহ ও চাহিদা নিয়ে বিষদ আলোচনা করেছি আমরা।তিনি বলেন, দাম না পেলে আমরা প্রয়োজন হলে সরাসরি কাঁচা চামড়া রফতানি করবো। এ সময় স্থানীয় পর্যায়ে উপযুক্ত দাম পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, সুষ্ঠু বাজার, পরিবহন ও দামে সঠিক বাস্তবায়ন হবে এবার। প্রাণির প্রতি যেন কোন নৃশংসতা না হয় এবং কোনও ধরনের ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার করে প্রাণিকে মোটাতাজা না করা হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ বলেন, পরিবহণকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি কমিয়ে আনতে পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করবে। এছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরা জনগণকে সার্বিক সহায়তায় সচেষ্ট থাকবে। কেন্দ্রীয় সেল গঠন করা হবে এবং হটলাইন নম্বর ও ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ জানালেও পুলিশ এবং সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ সময় তিনি ৯৯৯ ও হটলাইন নম্বরে ফোন করার সুফল সম্পর্কে জনগণকে জানাতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
২২ মে ২০২৫ ০৩:৩৮ এএম
সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাজারে পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৯২২ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৯ টাকা। নতুন এ দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।স্থানীয় বাজার থেকে ভোজ্যতেলের জোগান বাড়াতে এরইমধ্যে দুইটি তেল কোম্পানি তেল উৎপাদন শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরও ৬-৭টি তেল কোম্পানি তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় আসবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ০১:৫৯ এএম
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে কোনো সমস্যা বোধ করছি না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভারত সরকার কর্তৃক ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশ কোনো সমস্যা বোধ করছে না-বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীর উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, হঠাৎ করেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হয়েছে। বুধবার রাতে সব অংশীজন নিয়ে সভা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, কোনো সমস্যা বোধ করছি না। আমাদের নিজস্ব সক্ষমতায় যেন কোনো ঘাটতি না পড়ে, আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে যোগাযোগের যেন কোনো ঘাটতি না পড়ে, সেক্ষেত্রে আমরা সব ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা আশা করছি, এ সমস্যা কাটিয়ে উঠব।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ধরনের দাবি উঠেছে যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাল্টা ট্রান্সশিপমেন্ট বা ট্রানজিট বাতিল করা যায় কিনা, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সেটা আমার বিষয় না। আমার বিষয় হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি।ভারতকে কোনো চিঠি দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এই মুহূর্তে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছি না।বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, স্থগিতাদেশ তো সাময়িক সময়ের জন্য। এ বিষয়ে আমাদের দীর্ঘমেয়াদে করণীয় আছে, তাদের আকাঙ্ক্ষা তো শেষ হয়ে যায় নি। সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ওপর ভিত্তি করে কতটুকু করতে পারবো- সে বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করছি এবং সে অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।ভোরের আকাশ/এসএইচ