ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫ ০৫:৩৮ পিএম
ন্যায্য দাম পেতে কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে সহায়তা দেবে সরকার: বাণিজ্য উপদেষ্টা
এ বছর চামড়ার দাম যতক্ষণ নায্য না হবে, ততক্ষণ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে সরকার সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ও কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির আহ্বায়ক শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার (২১ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোরবানির চামড়ার ওপর এতিমের হক রয়েছে। এর সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে আমরা উচ্চ পর্যায়ের কমিটির বৈঠক করেছি। যেখানে বড় সিদ্ধান্ত হলো, মাদ্রাসা ও এতিম খানায় ৩০ হাজার টন লবন দেবে সরকার। প্রতিষ্ঠানগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত চামড়ার নায্য দাম না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ব্যবস্থাপনা ও চামরা সংরক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একটি নির্দেশনামূলক ভিডিও তৈরি করবো। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সেগুলো ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, আগে সারা দেশে একসঙ্গে কাঁচা চামড়া আসতো। চামড়া পচে যাবে সে কারণে দাম না পেয়েও বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এবার সেটা হবে না।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২২ মে) আবারও বৈঠকে হবে। তখন চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হবে। এ বছর চামড়ার দাম গত বছর থেকে বেশি হবে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বৈঠকে আমরা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নির্ধারিত পশুর হাটের বাইরে পশু কেনা-বেচা যেন না হয়। হাসিল ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনার বিষয়ে কথা হয়েছে। এছাড়া সরবরাহ ও চাহিদা নিয়ে বিষদ আলোচনা করেছি আমরা।
তিনি বলেন, দাম না পেলে আমরা প্রয়োজন হলে সরাসরি কাঁচা চামড়া রফতানি করবো। এ সময় স্থানীয় পর্যায়ে উপযুক্ত দাম পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, সুষ্ঠু বাজার, পরিবহন ও দামে সঠিক বাস্তবায়ন হবে এবার। প্রাণির প্রতি যেন কোন নৃশংসতা না হয় এবং কোনও ধরনের ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার করে প্রাণিকে মোটাতাজা না করা হয় সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ বলেন, পরিবহণকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি কমিয়ে আনতে পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করবে। এছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরা জনগণকে সার্বিক সহায়তায় সচেষ্ট থাকবে। কেন্দ্রীয় সেল গঠন করা হবে এবং হটলাইন নম্বর ও ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ জানালেও পুলিশ এবং সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ সময় তিনি ৯৯৯ ও হটলাইন নম্বরে ফোন করার সুফল সম্পর্কে জনগণকে জানাতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
ভোরের আকাশ/জাআ