পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সরকারি জমিতে আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদারের ভবণ উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মুহাম্মাদ আলী তিনি পত্তাশী বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন।প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পত্তাশী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার পত্তাশী বাজারে সরকারি রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ করেন। তিনি আওয়ামী লীগ আমলে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে রাস্তার ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ এলাকাবাসীর। এ বিষয় আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমিতে ভবন নির্মাণ করেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষের ইন্দনে প্রশাসন ভবন ভেঙে ফেলেছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান বিন মুহাম্মাদ আলী বলেন, রাজস্ব খাতের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন। বাজারে লোক চলাচল স্বাভাবিক ও যানবাহন ব্যবহার নির্বিঘ্ন করতে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:২৬ পিএম
র্যাগিং বন্ধে কঠোর অবস্থানে গোবিপ্রবি প্রশাসন
দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই র্যাগিং একটি নিন্দনীয় প্রথা হিসেবে বিদ্যমান। নতুন শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে হয়রানি করার এ ধরনের কার্যক্রম শুধু তাদের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করে না, অনেক সময় তা ভয়াবহ পরিণতিরও দিকে ঠেলে দেয়। ইতঃমধ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা বিপর্যস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।এই প্রেক্ষাপটে র্যাগিং প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) প্রশাসন। শুধু নিয়মকানুন নয়, প্রয়োজনে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। র্যাগিংকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে কমিটি গঠন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও নিয়মিত টহলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।এ বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব বলেন, “র্যাগিং বন্ধ করার জন্য আমাদের একটি কমিটি আছে। অতিদ্রুতই আমরা কমিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেবো। ইউজিসি থেকে মাদক এবং শৃঙ্খলা বিষয়ক একটি সেমিনার আয়োজনের নির্দেশনা আছে। আমরা উক্ত সেমিনারে র্যাগিং এর বিষয়টি সংযুক্ত করব যেহেতু এটি আইন-শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে।”সহকারী প্রক্টর জনাব আরিফুল ইসলাম বলেন, “ক্লাস টাইমে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি নিয়মিত টহল দিচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের র্যাগিং ও মাদকের অপকারিতা সম্পর্কে কাউন্সিলিং করছি। যদি কোনো শিক্ষার্থী র্যাগিং এর সাথে জড়িত অবস্থায় ধরা পড়ে তাহলে আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করব। এই শাস্তির মধ্যে দিয়ে যাতে অন্য শিক্ষার্থীরা সচেতন হয় আমরা সেই ব্যবস্থাও গ্রহণ করব।”তিনি আরও বলেন, “র্যাগিং এর ভুক্তভোগী কোনো শিক্ষার্থী যদি যথাযথ প্রমাণসহ আমাদের সাথে যোগাযোগ করে তাহলে আমরা অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।”ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৯ আগস্ট ২০২৫ ১০:২৩ পিএম
কক্সবাজার প্রশাসনে জিরো টলারেন্স
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মব ভায়োলেন্স ও চাঁদাবাজিসহ যেকোনো ধরনের অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিরো টলারেন্স অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক।রোববার (১৩ জুলাই) জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কঠোর নজরদারি রয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভাপতির বক্তব্যের শুরুতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে কক্সবাজারসহ সারাদেশের বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহত বীরযোদ্ধাদের সুস্থতা কামনা করেন। এ ছাড়া জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি তিনি সম্মান জানান তিনি।গত মঙ্গলবার কক্সবাজার সাগরে গোসল করতে নেমে নেমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক বলেন, নিখোঁজ শিক্ষার্থীর উদ্ধার অভিযানে বিমানবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর কাজ করছে।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো শাহিদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদুল হক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব সানজিদা বেগম, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী, জেলা জামায়াতের আমির নূর আহমেদ আনোয়ারী, শহর জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল ফারুক, প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান, ছাত্র প্রতিনিধি সাহেদুল ওয়াহিদ সাহেদসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন।সভায় জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা, মাদক পাচার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, পলিথিন নিষিদ্ধ ও পণ্যের পাটজাত মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, সৈকতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও বিপজ্জনক স্থান চিহ্নিতকরণ, ভূমি সংক্রান্ত নির্ধারিত অতিরিক্ত কর আদায়, যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসন, যাত্রীবাহী পরিবহণ সংশ্লিষ্টদের হয়রানি রোধে করণীয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ জুলাই ২০২৫ ০৯:৩০ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার ভবন গুড়িয়ে দিলেন প্রশাসন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ দুটি স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের বেদখল হয়ে থাকা ২৫ শতাংশ ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মসজিদ রোড এলাকায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার নুসরাত জাবীন এই অভিযান পরিচালনা করেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরের মসজিদ রোড এলাকায় জেলা প্রশাসন চেম্বারসহ স্থানীয়দের প্রায় ২৫ শতক জায়গা বন্দোবস্ত দেন। বিষয়টি চলামান মামলায় হেরে যায় জেলা প্রশাসন। উচ্চ আদালত জায়গাটি প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেন।বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মসজিদ রোড এলাকায় উপস্থিত হন। এসময় চেম্বার অব কমার্সের ভবনে থাকা দোকানদারদের মালামাল সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেন। ব্যবসায়ীরা মালামাল সরিয়ে নিলে জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।মামলার রায় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসন অর্পিত সম্পত্তির ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ জায়গা জেলা চেম্বারসহ বিভিন্ন জনের কাছে বন্দোবস্ত দেন। লীলাময় ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি ২০১২ সালের জুলাই মাসে জায়গাটির মালিকানা দাবি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জেলা চেম্বার অব কমার্স। জায়গাটি অর্পিত সম্পত্তি হওয়ায় ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ লীলাময় ভট্টাচার্যের পক্ষে রায় দেন। সরকার পক্ষ এই অর্পিত সম্পত্তির আপীল রায় ডিক্রির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতে রিভিউ দায়ের করেন। পরে মামলার বাদি রিভিউর বিরুদ্ধে একটি আবেদন করেন। উচ্চ আদাললের আপীল ট্রাইব্যুনাল ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালের অর্পিত সম্পত্তির অপীল মোকদ্দমার রায় ডিক্রি বাস্তবায়নের জন্য এক আদেশ দেন।ভূমি মন্ত্রণালয়ের (আইন অধিশাখা-৪) ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিলের পরিপত্র দ্বারা অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন আইন ২০০১ এর ২২ (৩) ধারা বিধান বিদ্যামান থাকায় এবং ভূমি মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন স্মারকে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পন ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইবুনালের রায় বাস্তবায়নের নির্দেশনা রয়েছে। আপীল ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে প্রতিকার চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই উচ্চ আদালত রিট দায়েরের জন্য কোনো প্রস্তাব প্রেরণের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করে। ২০১৬ সালের অর্পিত আপীল রায়ের কার্যকারিতার উপর সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ নেই। অর্পিত আপীল ট্রাইব্যুনাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত দেয়া ডিক্রি বাস্তবায়নের আদেশ বিদ্যমান থাকায় মামলার রায়-ডিক্রি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আইনত আর কোনো বাধা নেই বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি মতামত দেন।তবে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে উচ্ছেদের কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি। চেম্বারও কিছু বলেনি।জায়গার মালিক নির্মল ভট্টাচার্য বলেন, এটি আমাদের পূর্ব পুরুষের জায়গা ছিল। বিভিন্ন কারণে এটি অর্পিত সম্পত্তিতে রূপান্তরিত হয়। সরকারের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পনের আইন করার পর আমরা ২০১২ সালে মামলা করি এবং ২০১৮ সালে রায়। ২০১৯ সালে উচ্ছেদের নোটিশ আসে। উচ্চ আদালতে দুই-একটি রিট হওয়ার পর রায় আমাদের পক্ষে আসে। জেলা প্রশাসন প্রত্যেক লীজকে সরে যেতে নোটিশ দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার নুসরাত জাবীন বলেন, 'আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে চেম্বারসহ দুটি স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।'ভোরের আকাশ/জাআ