কুমিল্লার বুড়িচংয়ের রামপুর এলাকার এক বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার রামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে পুলিশ বাসা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন- জাহেদা আক্তার (৩৫) এবং তার কন্যা মিশু আক্তার (১৪)। তারা বুড়িচং উপজেলার রামপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুল হক বলেন, বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার পর তা পরিশোধে অক্ষম হয়ে মীর হোসেন পরিবারসহ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে যান। পরে বুড়িচংয়ের রামপুর গ্রামে আবুল খায়েরের বাড়িতে তারা ভাড়া বসবাস শুরু করেন। চলমান আর্থিক সংকট ও দাম্পত্য কলহের জেরে সোমবার (২৮ জুলাই) রাতের কোনো এক সময় মা ও মেয়ে বিষপান করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই মীর হোসেন পালিয়ে যান। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ থানায় আনা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।ওসি মো. আজিজুল হক বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। একইসঙ্গে ঘটনার পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে কি না, সেটিও আমরা তদন্ত করে দেখছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৯ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৫ এএম
কৃষকবেশে দুই ধর্ষককে ধরল পুলিশ, একজন পলাতক
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় নারকীয় ধর্ষণের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা ধর্ষণের পর আত্মগোপনের চেষ্টা করলেও পুলিশের কৌশলী অভিযানে ধরা পড়ে যায়।এর আগে গত শনিবার (২১ জুন) ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার ধর্ষণের শিকার নারী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়।ভিকটিম নারী সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আলিরগাঁও ইউনিয়নের বারহাল গ্রামের বাসিন্দা।অভিযুক্তদের একজন মুমিন (৩০), তাঁর সাবেক স্বামী; সে জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ফান্দু গ্রামের মৃত আব্দুল কালাম মিয়ার পুত্র। অপরজন বদরুল ইসলাম (৩০), একই ইউনিয়নের করগ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। অভিযুক্তদের মধ্যে আরও একজন পলাতক রয়েছে, যার সন্ধানে অভিযান চলছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম ও তাঁর ১২ বছর বয়সী ছেলে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দরবস্ত বাজারে চিকিৎসা নিতে গেলে সাবেক স্বামী মুমিন ‘জরুরি কথা আছে’ বলে তাঁদের ছেলেকে একটি মিশুক গাড়িতে তুলে নানা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে ভিকটিমকে অন্য একটি অপরিচিত আরেওটি মিশুকে করে দরবস্ত ইউনিয়নের খড়িকাপুঞ্জি গ্রামের একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যায়, যেখানে পূর্ব থেকেই অপর দুই অভিযুক্তরা অবস্থান করছিল।সেখানে দুপুর দেড়টা থেকে শুরু করে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনজন অভিযুক্ত পালাক্রমে তাঁকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে ফেলে যায়। গভীর রাতে ভিকটিম তামাবিল মহাসড়কে এসে একটি মিশুকযান নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন এবং রবিবার জৈন্তাপুর মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের সহায়তা নেন।থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ অভিযানে নামে। কৃষকবেশ ধারণ করে দরবস্ত বাজারে অভিযান চালিয়ে মুমিন ও বদরুলকে আটক করা হয়। পরে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। আটক দুইজনকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।এদিকে পলাতক অপর অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।ভোরের আকাশ/জাআ
২৩ জুন ২০২৫ ০৪:৩১ পিএম
হাসপাতাল থেকে পালালেন ছাত্রলীগ নেতা, ৪ পুলিশ ক্লোজড
বরিশালে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের হাতে ধরা পড়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের চার সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা হলেন- বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন স্টিমারঘাট (নানিবুড়ি) ফাঁড়ির টিএসআই রেজাউল করিম রেজা, এটিএস মাহবুব আলম, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর ও হাবিবুর রহমান।বুধবার (১৪ মে) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় রবিন নামের ওই ছাত্রলীগ নেতা। রবিন বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা।বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নগরীর আমতলার মোড় এলাকায় জনতা খালেদ খান রবিনকে আটক করে এবং মারধর করে পুলিশে সোপার্দ করে। আহতাবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) নিয়ে যায়। সেখান থেকেই তিনি কৌশলে পালিয়ে যান।কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ