মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত বৈঠক নিয়ে আলোচনার সময় বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ছয়টি মার্কিন কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে চীন।সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিনটি কোম্পানিকে ‘অনির্ভরযোগ্য সত্তার তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা কার্যত তাদেরকে বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য থেকে নিষিদ্ধ করে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “কোম্পানিগুলো তাইওয়ানের সাথে সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় জড়িত হয়েছে, যা চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন স্বার্থকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করছে।”মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘কোম্পানিগুলো তাইওয়ানের সাথে তথাকথিত সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় জড়িত হয়েছে, যা চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করছে।’চীনের ‘অনির্ভরযোগ্য সত্তার তালিকায়’ যুক্ত করা কোম্পানিগুলো হলো– মনুষ্যবিহীন যানবাহন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সারনিক টেকনোলজিস, স্যাটেলাইট প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যারকম এবং সাবসি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম ওশানিয়ারিং ইন্টারন্যাশনাল।পৃথকভাবে, আরও তিনটি মার্কিন কোম্পানিকে চীনের রফতানি নিয়ন্ত্রণ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।এর ফলে তারা সামরিক এবং বেসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই ‘দ্বৈত ব্যবহারের’ পণ্যের চীনা চালান গ্রহণ করতে পারবে না।কোম্পানিগুলো হলো– সামরিক জাহাজ নির্মাতা হান্টিংটন ইঙ্গলস ইন্ডাস্ট্রিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফ্যাসিলিটিস ম্যানেজার প্লানেট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ এবং ইন্টেলিজেন্স ফার্ম গ্লোবাল ডাইমেনশনস।এই তিন কোম্পানি ‘চীনের জাতীয় নিরাপত্তা এবং স্বার্থকে বিপন্ন করছে’ বলে জানিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোরের আকাশ/হ.র
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৪০ এএম
নতুন করে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা ডিএমপির
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় নতুন করে সভা-সমাবেশের করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের সম্মুখে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।এছাড়া বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুনরায় অনুরোধ করা হলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:১৮ পিএম
নেপালে সামাজিক মাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
নেপাল সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অবশেষে প্রত্যাহার করেছে।সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দেশের বিভিন্ন শহরে তরুণদের বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।গত সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুর সংসদ ভবনের সামনে হাজারো তরুণ ফেসবুক, এক্স (টুইটার), ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। বিক্ষোভকারীরা তাদের প্ল্যাকার্ডে লিখেছেন, “এবার যথেষ্ট হয়েছে” এবং ‘দুর্নীতি বন্ধ করো’।সেখানে উপস্থিত তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুঙ বলেন, জেনারেশন জেড-এর দাবির প্রতি সাড়া দিতে জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।নিষেধাজ্ঞার আগে সরকার ভুয়া খবর, হিংসাত্মক বক্তব্য ও অনলাইন প্রতারণা নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। তবে রাজধানীসহ দেশের বাইরের শহরগুলোতেও তরুণরা সরকারী কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামেন। এই আন্দোলনে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:২২ পিএম
ঢাকায় সভা-সমাবেশ নিয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞা ডিএমপির
আবারও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় সভা-সমাবেশ করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় (সংলগ্ন এলাকাসহ) এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং ও মিন্টু রোড ক্রসিংয়ের মধ্যবর্তী এলাকা) যে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।এর আগেও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ও সচিবালয় এলাকাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একাধিকবার সভা-সমাবেশ না করার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:৩৬ পিএম
ভোটের দিন ও প্রচারে ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ইসির
নির্বাচনের দিন ও প্রচারের সময় কোনো প্রকার ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্বাচন কমিশনের সংশোধিত আরপিওতে এ বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন প্রস্তাবের সঙ্গে সমন্বয়ে রেখে মঙ্গলবার নতুন আচরণ বিধিমালা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নারীদের সাইবার বুলিং রোধ করা; বিদেশে কোনো প্রার্থীর পক্ষে সশরীরে প্রচারণা না চালানো; কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিথ্যাচার বা অপপ্রচার চালালেও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এবার ভোটের প্রচারে থাকছে না পোস্টারের ব্যবহার। আর একজন প্রার্থী এক সংসদীয় আসনে ২০টির বেশি বিলবোর্ড ব্যবহার করতে পারবে না; বিলবোর্ডের আয়তন হবে সর্বোচ্চ ১৬ ফুট।বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, আচরণবিধিতে যেসব প্রস্তাবনা ছিল তা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে রাখা হয়েছে।তিনি বলেন, কোড অব কন্ডাক্টের মধ্যে যেটা এড করা হয়েছিল তা আইনের ভেতরে আনা হয়েছে। আচরণ বিধি লঙ্ঘনে প্রার্থীর ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। দলের ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা নতুন করে রাখা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এআই ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হয়েছে আচরণবিধিতে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো প্রার্থী ও প্রতিষ্ঠান ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে পারবে। তবে ভোটার স্লিপে প্রার্থীর নাম, ছবি, পদের নাম ও প্রতীক উল্লেখ করতে পারবে না। নির্বাচনি প্রচার ও ভোটগ্রহণের সময়ে কোনো ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বিলবোর্ড বিষয়ে ইসি বলেছে, যেগুলো ডিজিটাল বিলবোর্ড সেগুলোতে আলোর ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া আলোকসজ্জার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীর প্রচারে বিলবোর্ডের ব্যবহার অতীতে ছিল না; এবার যুক্ত করা হয়েছে। পোস্টার ব্যবহার বন্ধে সংস্কার কমিশনেরও একটা প্রস্তাব ছিল। আর ব্যানার ও ফেস্টুনের ব্যবহার নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদেরও যোগ করা হয়েছে। ফলে তারা প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামতে পারবেন না।প্রচারে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রচার সামগ্রীতে পলিথিন, রেকসিনের ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রচারের সময় শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলে রাখতে হবে। প্রচারণার সময় থাকছে তিন সপ্তাহ। আচরণবিধি মেনে চলার ব্যাপারে দলের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামাও নেবে ইসি। আচরণবিধির ‘গুরুতর’ অপরাধের ক্ষেত্রে আরপিওতে প্রার্থীতা বাতিলের বিধান রয়েছে। আগে আচরণবিধিতে আরপিও অনুচ্ছেদটি ছিল না, এটি এবার যুক্ত করা হয়েছে। গণমাধ্যমের সংলাপ ও সব প্রার্থীর এক মঞ্চে ইশতেহার ঘোষণার সুযোগ রাখা হয়েছে। কমন প্লাটফর্মে রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট আসনে, সব প্রার্থীকে নিয়ে একটি প্লাটফর্ম থেকে একদিনে তাদের ইশতেহার বা ঘোষণাপত্রগুলো পাঠ করার ব্যবস্থা করবেন।এছাড়া বিধিমালা লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রার্তীতা বাতিলের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। নির্বাচনী অপরাধে আরপিও ৯১ ধারা অনুযায়ী প্রার্থীতা বাতিল করে থাকে ইসি। এ বিষয়টি আচরণ বিধিমালায় স্পষ্ট করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:১৩ পিএম
স্ত্রীসহ জিএম কাদেরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের এবং তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শেরীফার বিরুদ্ধে দলের মনোনয়ন বাণিজ্যসহ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ আছে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে।এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে তাদের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২৭ পিএম
ঢাবির হলে বহিরাগত-অতিথি অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে আজ থেকে বৈধ শিক্ষার্থী ব্যতীত কোনও বহিরাগত বা কোনও অতিথি থাকায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাবি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কমিশন। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ উপলক্ষে এই নির্দেশটি জারি করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চীফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়ে জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অদ্য ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে বৈধ শিক্ষার্থী ব্যতিত কোনো বহিরাগত বা অতিথি অবস্থান করতে পারবে না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:১৩ পিএম
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরাইলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির কারণে এমন পদক্ষেপ নিলো ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপে স্বাগত জানিয়েছেন।ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর আগে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আইসিসি। ওই সিদ্ধান্তের পর বিশ্বের কয়েকটি দেশ পরোয়ানাটি কার্যকর করার অঙ্গীকার জানালেও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই আদালতের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে।বুধবার (২০ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অনুমোদনে আইসিসির আরও দুই বিচারক এবং দুই আইনজীবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।এ বিষয়ে রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত একটি জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার এই ঘোষণার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আইসিসি। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি নিষেধাজ্ঞা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারিক প্রতিষ্ঠানের ওপর সরাসরি আঘাত। এটি বিশ্বজুড়ে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকারদের প্রতি অবমাননা। আইসিসি কোনো হুমকি, চাপ বা নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে তার কাজ চালিয়ে যাবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২১ আগস্ট ২০২৫ ০৩:০৫ পিএম
ভারতে স্বাধীনতা দিবসে মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, দেশজুড়ে তোলপাড়
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে মাংসের দোকান ও কসাইখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ ঘিরে দেশটিতে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক ও তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ তুলেছে—এটি মানুষের খাদ্যাভ্যাসের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ।১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস ও ১৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানাসহ বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক পৌর কর্তৃপক্ষ মাংস বিক্রি ও কসাইখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে।দিল্লি পৌরসভা জানিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীতে সব মাংসের দোকান বন্ধ থাকবে।মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজীনগর, থানের কল্যাণ-দোম্বিভ্যালি এবং গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন (জিএইচএমসি) একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এই নির্দেশনার কড়া সমালোচনা করেছেন হায়দরাবাদের এমপি ও এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘মাংস খাওয়া আর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মধ্যে সম্পর্ক কী? তেলেঙ্গানার ৯৯ শতাংশ মানুষ মাংস খান। এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা মানুষের স্বাধীনতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, জীবিকা, সংস্কৃতি, পুষ্টি ও ধর্ম পালনের অধিকার লঙ্ঘন করে।’মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বড় শহরে নানা ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। আবেগের কারণে এক দিনের জন্য মানুষ মেনে নিতে পারে, তবে জাতীয় দিবসগুলোতে এমন নিষেধাজ্ঞা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।’শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা আদিত্য ঠাকরে বলেন, ‘পৌর কমিশনারের কাজ রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধান করা, কে কী খাবেন তা ঠিক করা নয়।’ এসময় তিনি কমিশনারকে বরখাস্তেরও দাবি জানান।তবে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি-শিবসেনা-এনসিপি জোট সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন দেয়নি। মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা অংশের মুখপাত্র অরুণ সাওয়ান্তের অভিযোগ, বিরোধীরা সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।ভোরের আকাশ/জাআ
১৩ আগস্ট ২০২৫ ০৩:৫৫ পিএম
ভারতের ৬ কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ইরানি তেল কেনাবেচায় জড়িত থাকায় অভিযোগে ভারতের ছয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণাধীন যেকোনো স্থানে এসব কোম্পানির সম্পদ ও স্বার্থ ‘ব্লক’ বা জব্দ থাকবে।বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনাবেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়টি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দাবি, এসব লেনদেন মার্কিন নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬ অনুযায়ী নিষিদ্ধ। কারণ ইরান সরকার এ আয়ের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত উসকে দিচ্ছে, সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগাচ্ছে এবং নিজ দেশের জনগণকে দমন করছে।স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ইরানি শাসকগোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা উসকে দিতে তাদের তেল বিক্রি থেকে উপার্জিত রাজস্ব ব্যবহার করছে। আজকের এ পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা সে অর্থপ্রবাহ বন্ধের চেষ্টা করছি, যা তারা বিদেশে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন এবং দেশের জনগণের ওপর দমন-পীড়নে ব্যবহার করে।এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বিশ্বের আরও ২০টি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারতের ছয়টি কোম্পানির নাম এসেছে। নিষেধাজ্ঞায় থাকা ছয় ভারতীয় কোম্পানি হচ্ছে— অ্যালকেমিক্যাল সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড, গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেড, জুপিটার ডাই কেম প্রাইভেট লিমিটেড, রমনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কোম্পানি, পারসিস্টেন্ট পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড এবং কাঞ্চন পলিমার।সবগুলো প্রতিষ্ঠানই নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬-এর ধারা ৩ (এ) (৩)-এর অধীনে ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্যের উল্লেখযোগ্য লেনদেনে সচেতনভাবে জড়িত থাকার কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে।এ নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বা মার্কিন নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণাধীন যেকোনো স্থানে এসব কোম্পানির সম্পদ ও স্বার্থ ‘ব্লক’ বা জব্দ থাকবে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারে এসব নিষিদ্ধ কোম্পানির মালিকানায় রয়েছে, তারাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা দেশের ভেতর দিয়ে (বা হয়ে) এসব নিষিদ্ধ কোম্পানির সম্পদ বা স্বার্থসম্পন্ন যেকোনো লেনদেন নিষিদ্ধ। এছাড়া এদেরকে অর্থ, পণ্য বা সেবা দেয়াও নিষিদ্ধ, আবার এসব কোম্পানির পক্ষ থেকে সেসব গ্রহণ করাও নিষিদ্ধ।ভোরের আকাশ/জাআ
৩১ জুলাই ২০২৫ ০৫:৫৫ পিএম
জনবহুল এলাকায় ত্রুটিপূর্ণ বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের সব জনবহুল এলাকায় ত্রুটিপূর্ণ বিমান এবং যুদ্ধ বিমান উড্ডয়নের নিষেধাজ্ঞা প্রদানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস এ রিট দায়ের করেন।বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুপুর ১টায় রিট আবেদনটি শুনানির সময় নির্ধারণ করেছেন। এ সময় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।রিটে বিমানবাহিনীর অধীনে ত্রুটিপূর্ণ বিমানের সংখ্যা কত এবং এদের রক্ষণাবেক্ষণের কি কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে, তা জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।এ ছাড়া মাইলস্টোন স্কুলের আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ, মাইলস্টোন স্কুলের আগুনের পোড়ে যাওয়া নিহত শিক্ষার্থীদের ৫ কোটি টাকা এবং আহত শিক্ষার্থীদের ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ