সাংবাদিকদের রুটি-রুজি ও জীবনের নিরাপত্তা দাবি
সাংবাদিকদের রুটি-রুজী-জীবনের নিরাপত্তা ও বিভুরঞ্জনের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং সাগর-রুণিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিতে সংবাদবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২৫ আগস্ট) বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ প্রেস ইউনিটির সমন্বয়ক শান্তা ফারজানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন প্রেস ইউনিটির উপদেষ্টা, দৈনিক জনতার সংবাদ-এর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. শাহজাহান আলী, দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার সম্পাদক অশোক ধর, সাংবাদিক মুঈদ খন্দকার, দৈনিক পূর্বাভাস-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রেস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, সাঈদা জাহান, নূরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম ও জাহিদুল ইসলাম।সংহতি প্রকাশ করেন সাংবাদিক নাহিদ হাসান, তারেক হোসেন বাপ্পী, রাজু হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, জামাল শিকদার, মুস্তফা মাহমুদ, রাজিবুল ইসলাম প্রমুখ।সংবাদবন্ধনে প্রেস ইউনিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানোর মধ্য দিয়ে অন্তত এ বিষয়টি নিশ্চিত করুন যে, জাতি হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ সাংবাদিকতাকে এখনো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ রাখতে পেরেছে। স্বাধীনতার পর থেকেই এই পেশার মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত-নিপীড়িত-নির্যাতিত এবং বঞ্চিত। কারণ, যখন যে সরকার আসে, সাংবাদিকদেরকে তারা দাস বানাতে চায়, টুটি চেপে রেখে অপরাধ-দুর্নীতি ধামা-চাপা দিতে চায়। হয়তো একারণেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদেরকে ধরার কথা বললেও সাগর-রুণির ঘাতকেরা এখনো অধরা। প্রায় ১৪ বছর হতে চললেও আমরা বারবার বিচারের পরিবর্তে তারিখ পরিবর্তনের সংবাদ করেছি ও পড়েছি ১২০ বার।তারা আরও বলেন, সর্বশেষ সিনিয়র সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ মেঘনায় পাওয়া গেলো। ভাসা ভাসা শুনছি- তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু তাঁর লাশের শরীরে চশমা তখনো ছিলো। এর আগে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার পর তার চরিত্রহণনের চেষ্টা ছিলো কোনো কোনো ক্ষমতাধরেরও।এসময় সাগর-রুনি-তুহিনসহ সাংবাদিকদের হত্যাকাণ্ডের প্রকাশিত সংবাদ-এর কপি প্রদর্শিত হয়।অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শান্তা ফারজানা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের বাক স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। অতীতের সকল সরকারের মত অন্তবর্তী সরকারও। তাই এই সরকারের সবার আগে বাক স্বাধীনতা, সুষ্ঠু সংবাদ প্রবাহ অব্যাহত রাখতে ভূমিকা রাখা উচিৎ। সেই সাথে চাকুরিচ্যুত যেন কোনো সাংবাদিককে না করা হয়, সেই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সরকারি বিশেষ ভাতা চালু করতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না করলে সরকারের অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যাবে।উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৪ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ প্রেস ইউনিটি।ভোরের আকাশ/জাআ