ফেনীবাসীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া এবং জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ফেনী সদর উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের জরুরি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।শনিবার (৩০ আগস্ট) ফেনী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আয়োজিত মাসিক সমন্বয় সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্য সহকারীরা তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরেন।সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেনী সদর উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির গুরুত্ব তুলে ধরে এর সফল বাস্তবায়নের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে লক্ষ্য জনগোষ্ঠীর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার ওপর বিশেষভাবে জোর দেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই কর্মসূচির সাফল্য তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্রিয় ভূমিকার ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।অনুষ্ঠানে ফেনী সদর উপজেলার অধীন ১২টি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্য সহকারীগণ উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রের অগ্রগতি, সমস্যা এবং সম্ভাবনার কথা মাসিক প্রতিবেদনে তুলে ধরেন। তৃণমূলের স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজের পর্যালোচনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ গুলো মোকাবেলা করার উপায় নিয়েও সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এই মাসিক সমন্বয় সভা স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং কর্মীদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদানের একটি নিয়মিত অংশ। এর মাধ্যমে সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক সব কর্মসূচি সফলভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া সহজ হয়।ভোরের আকাশ/মো.আ.
৩১ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৫৪ এএম
টাইফয়েড টিকাদানের নতুন সূচি ঘোষণা, নিবন্ধন যেভাবে
সারাদেশে ১ সেপ্টেম্বর থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলনের কারণে কর্মসূচি পিছিয়ে ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে।শনিবার (১৬ আগস্ট) সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ব্যবস্থাপক আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, সারা দেশে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সি প্রায় ৫ কোটি শিশু ও কিশোর-কিশোরী বিনা মূল্যে এই টিকা পাবে। টিকাদান কর্মসূচি মোট ১৮ কর্মদিবস চলবে। প্রথম ১০ দিন বিদ্যালয়ভিত্তিক ক্যাম্পে এবং পরবর্তী ৮ দিন টিকাদান কেন্দ্রে সেবা প্রদান করা হবে।তিনি আরও বলেন, এই টিকা এক ডোজের ইনজেকশনে দেওয়া হবে, যা ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। টিকাগুলো গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স সরবরাহ করেছে এবং ভারতের তৈরি। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী শতভাগ পরীক্ষিত।নিবন্ধন যেভাবে: রেজিস্ট্রেশন করতে হলে https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে জন্ম তারিখ ও ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন নম্বর (সব তথ্য ইংরেজিতে) দিতে হবে। এরপর লিঙ্গ নির্বাচন, ক্যাপচা পূরণ করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে মা-বাবার মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে) ও বর্তমান ঠিকানা দিয়ে তথ্য জমা দিতে হবে। এরপর মোবাইলে পাওয়া ওটিপি কোড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে।টিকাদান কেন্দ্র নির্বাচন: রেজিস্ট্রেশনের সময় টাইফয়েড টিকা নির্বাচন করে ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক’ বা ‘বহির্ভূত’ অপশন বেছে নিতে হবে। স্কুলভিত্তিক হলে প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, শ্রেণি, থানা, ওয়ার্ড ও জোন পূরণ করে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে। বহির্ভূত ক্ষেত্রে নিকটস্থ কেন্দ্র বেছে নিতে হবে।ভ্যাকসিন কার্ড ও সার্টিফিকেট: রেজিস্ট্রেশন শেষে অনলাইনে ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিতে হবে। নির্ধারিত দিনে এই কার্ড নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। টিকা নেওয়ার পর অনলাইনে সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে, যা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করা যাবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ