মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) এর সদস্যরা কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদের মোহনা থেকে আবারও দুটি মাছ ধরার ট্রলারসহ ১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে।বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার শেষে টেকনাফ ফেরার পথে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়।ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের দুই মাঝি হলেন- আব্দুল হাফেজ ও মো. আমিন। তবে জেলেদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।এ তথ্যটি নিশ্চিত করে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া ঘাট ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ‘আজকেও দুটি ট্রলারসহ ১৩ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আমি। এছাড়া মাছ ধরতে আরও কয়েকটি ট্রলারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত ভাটার কারণে জেলার মিয়ানমার সীমানা দিয়ে ফেরর পথে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এপাশে চরের কারণে ট্রলার চলাচল করতে পারছে না।ওই ট্রলারের মাঝি আব্দুল হাফেজ সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছে বলে জানান আবুল কালাম। তিনি বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার পথে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব-দক্ষিণে নাফ নদ ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে জেলেদের ধাওয়া করে আটক করে। পরে তাদেরকে আটক করে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাফেজ। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু প্রতিদিন আরাকান আর্মির সদস্যরা বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরার পথে বাংলাদেশি ট্রলারসহ জেলেদের অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গত চারদিনে পাঁচটি ট্রলারসহ ৪৬ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে বলে ট্রলার মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৬ আগস্ট ২০২৫ ১০:২০ পিএম
১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ শিকার করে ফেরার পথে নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থান থেকে ১২ জন মাঝিমাল্লা সহ ১টি মাছ ধরার ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ট্রলারটি সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ডেইল পাড়া এলাকার স্থানীয় জেলে সুলতান মাঝির বলে জানা যায়।শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির আওতাধীন শাহপরীরদ্বীপ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাক বি আর এম-৩ হতে আনুমানিক ৬ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জলসীমানা থেকে তাদের আটক করা হয়।অপহৃত জেলেরা হলেন, মো. আলি আহমদ (৩৯), মোহাম্মদ আমিন (৩৪), ফজল করিম (৫২), কেফায়েত উল্লাহ (৪০), সাইফুল ইসলাম (২৩), সাদ্দাম হোসেন (৪০), মো: রাসেল (২৩), মো: সোয়াইব (২২), আরিফ উল্লাহ (৩৫), মোহাম্মদ মোস্তাক (৩৫), নুরুল আমিন (৪৫) এবং একজন বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানা যায়।এদিকে শাহপরীরদ্বীপ জেটিঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গেলে মিয়ানমার জলসীমানা দিয়ে আসার পথে শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণে নাইক্ষ্যংদিয়া নামক স্থানে আরাকান আর্মির দুটি স্পিডবোট যোগে এসে একটি মাছ ধরার ট্রলার সহ ১২ জন মাঝিমাল্লাদের আটক করে বলে জানতে পারি, ঘাটে ফিরে আসা অন্যান্য জেলেদের মাধ্যমে। পাশাপাশি আরো জানতে পারি এই ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপ ডেইল পাড়া এলাকার বাসিন্দা সুলতান মাঝির মালিকানাধীন ট্রলার।টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। এব্যাপারে কাজ চলছে।সর্বশেষ গেল ১২ আগস্ট টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের মাঝামাঝি বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী এলাকা নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে ৫ জন জেলেকে আটক করেন আরাকান আর্মির সদস্যরা।ভোরের আকাশ/জাআ
২৩ আগস্ট ২০২৫ ০৮:২৬ পিএম
নৌকাসহ ৫ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া এক নৌকার পাঁচ জেলেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার মোহাম্মদ ইলিয়াস (৪১), তাঁর ছেলে মোহাম্মদ নুর হোসেন (১৮) ও আক্কাল আলী (২০), কালু মিয়ার ছেলে সাবের হোসেন (২২) এবং মোহাম্মদ নুর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (২৫)।সাবরাং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম জানান, মঙ্গলবার সকালে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে তাঁরা মাছ ধরতে যান। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিডবোটে এসে তাঁদের ধাওয়া করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যান। পাশের নৌকায় থাকা অন্য জেলেরা ফিরে এসে মালিককে বিষয়টি জানান।শাহপরীর দ্বীপ ক্ষুদ্র মৎস্য সমিতির সভাপতি আবদুল গনি বলেন, একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচ জেলে ইলিয়াসের মালিকানাধীন নৌকায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাঁদের মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলেদের স্বজনেরা কোস্টগার্ড ও বিজিবিকে খবর দিয়েছেন।যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।’উল্লেখ্য, এর আগে ৫ আগস্ট সকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া-সংলগ্ন নাফ নদীর জলসীমা থেকে দুই জেলেকে একইভাবে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। তাঁদের এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি।এ ছাড়া গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২১১ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এর মধ্যে বিজিবির প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌকা ফেরত আনা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১৩ আগস্ট ২০২৫ ১২:০৫ পিএম
কুয়াকাটায় জেলের জালে ধরা পড়ল বিরল প্রজাতির ‘অ্যাঞ্জেলফিশ’
পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছে সম্রাট অ্যাঞ্জেলফিশ নামের একটি বিরল প্রজাতির মাছ। কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলে আনোয়ার মাঝির জালে মাছটি ধরা পড়ে।রোববার (১০ আগস্ট) সকালে মাছটি মহিপুরে মৎস্যবন্দরে নিয়ে এলে মাছটিকে দেখতে ভিড় করেনে অনেকে। মাছটি অনেকের কাছে অ্যাকুরিয়াম ফিশ নামেও পরিচিত।রঙিন ও দৃষ্টিনন্দন সামুদ্রিক মাছ, যা মূলত উষ্ণমণ্ডলীয় প্রবালপ্রাচীরের পরিবেশে বাস করে। বৈজ্ঞানিক নাম পোমাক্যান্থাস ইম্পেরেটর। মাছটির আকার ১৬ ইঞ্চির মতো। গায়ের গাঢ় নীল পটভূমিতে হলুদ অনুভূমিক দাগ, মুখে নীল-কালো ‘মাস্ক’ প্যাটার্ন।জেলে আনোয়ার বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে ‘এফবি জারিফ তারিফ’ নামের একটি ফিলিং ট্রলারে অন্যান্য মাছের সঙ্গে মাছটি ধরা পড়ে। মহিপুর মৎস্য বন্দরের মাছটি নিয়ে এলে মাছটিকে একনজর দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় করেন।স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সোবহান শিকদার বলেন, এমন মাছ আমার জীবনে আমি দেখিনি। মাছটি দেখতে অবিকল একুরিয়ামে থাকা মাছের মতো। বাসার সবাইকে দেখানোর জন্য মাছটির কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছি আমি।স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সগির আকন বলেন, সমুদ্রে ধরা পড়েছে এমন মাছ প্রথম দেখে মাছটিকে আমি আমার বাসায় নিয়ে এসেছি। তবে এ জাতীয় মাছ আমি এই প্রথম দেখলাম। মাছটি খাওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি মাছটিকে বিক্রি না করে বাসায় এনে রেখেছি।ওয়ার্ল্ডফিশ-বাংলাদেশের গবেষণা সহকারী মো. বখতিয়ার রহমান বলেন, মাছটির বাংলা নাম অ্যাঞ্জেলফিশ। বৈজ্ঞানিক নাম (পোমাক্যান্থাস ইম্পেরেটর) এটি অত্যন্ত রঙিন একটি সামুদ্রিক মাছ। এর প্রাকৃতিক আবাসস্থল ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের প্রবাল প্রধান অঞ্চল। মাছটি সর্বোচ্চ ৪০ সেন্টিমিটার (১৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত বড় হতে পারে।তিনি আরও বলেন, মাছটি সাধারণত প্রবাল প্রধান, লবণাক্ত, উষ্ণ সমুদ্র অঞ্চলে থাকে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এমন মাছ সচরাচর ধরা পড়ে না। কারণ আমাদের উপকূলীয় অংশ মূলত কাদামাটি, বালুময়, প্রবালপ্রাচীর তেমন নেই। তবে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে আন্দামান সাগর সংলগ্ন, মায়ানমার উপকূলের কাছাকাছি কিছু প্রবালপ্রধান এলাকা আছে।বখতিয়ার রহমান বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্রোতের ধরণ বদলের কারণে কিছু সামুদ্রিক প্রজাতি তাদের আবাসক্ষেত্র প্রসারিত করছে। এর কারণে হয়তো এ প্রজাতিটি বাংলাদেশের জেলেদের জালে ধরা পরছে।মাছটি প্রসঙ্গে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মাছটি বাংলা নাম অ্যাঞ্জেলফিশ। এটি একটি বিরল প্রজাতির মাছ। মাছটি উপকূলে সচরাচর দেখা যায় না। মাছটি গভীর সমুদ্রের। বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সাথে এটি জেলের জালে উঠে এসেছে। এটা জেলেদের জন্য একটি সুখবর। এসব মাছ যত বেশি ধরা পড়বে জেলেরা অর্থনৈতিকভাবে তত বেশি লাভবান হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১০ আগস্ট ২০২৫ ১২:৩৩ পিএম
গভীর সাগরে বিকল ভাসমান ট্রলারসহ ১৮ জেলে ও ট্রলার উদ্ধার
কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে চার দিন ভেসে থাকা ‘হাবিবা’ নামক একটি মাছ ধরার ট্রলার ও বিপদগ্রস্ত ১৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এক সপ্তাহ আগে ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা থেকে মাছ শিকার করতে এই ট্রলার সাগরে গিয়েছিল।বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে নৌবাহিনী যুদ্ধ জাহাজ ‘শহীদ ফরিদ’ সাগরে নিয়মিত টহলে থাকা অবস্থায় মহেশখালী দ্বীপ থেকে ২৫ মাইল পশ্চিমে একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসমান অবস্থায় খুজে পায়।এ সময় ট্রলারে অবস্থানরত জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজটিকে দেখতে পেয়ে বিপদ সংকেত প্রদর্শন করতে থাকে যা নৌবাহিনী এই ট্রলারটিকে সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় জাহাজটি ভাসতে থাকা ট্রলারের কাছে ছুটে যায়। ট্রলারটির কাছে পৌঁছানোর পর নৌ সদস্যরা মাঝিদের কাছ থেকে অবগত হন যে, তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় চার দিন ধরে তারা গভীর সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। তাদের কাছে অবশিষ্ট খাবার ও বিশুদ্ধ পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের করুণ অবস্থা পরিলক্ষিত হলে নৌ সদস্যরা জরুরিভিত্তিতে তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দেন। পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যরা জেলেসহ ট্রলারটিকে আজ দুপুরে নিরাপদে কুতুবদিয়া দ্বীপ এলাকায় নিয়ে আসে। এ সময় তাদের প্রয়োজনীয় পানি ও খাবার ছাড়াও জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ট্রলারে থাকা ১৮ জন জেলেই বর্তমানে সুস্থ আছেন। অসহায় জেলেরা তাদের জীবন রক্ষা করার জন্য এবং তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নৌবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নৌ সদস্যরা জানতে পারেন যে, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা হতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সপ্তাহ আগে সাগরে যায়। এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা, ব্লু-ইকোনমি সংরক্ষণ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত একাধিক যুদ্ধজাহাজ নিয়োজিতকরণের মাধ্যমে সমগ্র বঙ্গোপসাগরে ও উপকূলীয় এলাকায় দিনরাত টহল পরিচালনা করছে যা ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৩ জুলাই ২০২৫ ০৭:৩৪ পিএম
৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মধ্যরাতেই সাগরে যাচ্ছেন জেলেরা
মাছের বংশবিস্তার, বেড়ে ওঠা ও টেকসই আহরণের জন্য বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ বুধবার মধ্যরাতে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। বিগত বছরগুলোতে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল ৬৫ দিন। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বরগুনার তালতলী উপজেলার জেলেরা। ইতোমধ্যে সাগরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও জেলে পল্লীগুলোতে। আজ রাত ১২টার পর থেকেই মাছ ধরার জন্য ফের সাগরে যাওয়া শুরু করেছেন উপকূলের জেলেরা।মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, তালতলী উপজেলায় সরকারী ভাবে নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ৮ হাজার ৭৯৯ জন। এর ভেতরে ৫ হাজার ২শ জন জেলে সাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিবন্ধিত জেলেদের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ ভিজিএফের মাধ্যমে ৫৬ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।তালতলীর জেলে পল্লী ঘুরে দেখা যায়, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউ জাল ট্রলারে উঠাচ্ছেন, কেউবা ট্রলারে থাকাকালীন খাদ্য সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় বাজারের কাজ সেরে ফেলছেন। এসব কাজ সেরে দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে নামার আগ মূহূর্তে জেলেদের চোখে-মুখে নতুন আশা, জালে ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। ফের প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠবে উপজেলার ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে।নিদ্রা জেলে পল্লীর জেলে মো. আলতাফ হাওলাদার বলেন, 'দীর্ঘ প্রায় দু’মাস পর নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের কিছুটা উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও পাশাপাশি ঋণ নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। অনেকের ঋণ রয়েছে। কিন্তু প্রায় দু’মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় পরিশোধ সম্ভব হয়নি। এখন মাছ ধরে নিজেও চলতে হবে, ঋণও পরিশোধ করতে হবে। এবার অনেক আশায় নিয়ে আমরা সাগরে নামবো। কারণ গত বছর আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যায়নি। আশা করছি এ বছর প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে।'ট্রলার মালিক ও আড়তদার জালাল উদ্দিন বলেন, 'প্রতি মৌসুমে তারা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন লাভের আশায়। কিন্তু মৌসুমের শেষ ভাগে বিপুল টাকা বিনিয়োগে অনেকেরই অনীহা। এছাড়াও মাত্র দুমাস পরই ফের মা-ইলিশের ২২ দিনের জন্য সাগর এবং নদীতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।'তালতলী উপজেলা জেলে শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম মাতুব্বর বলেন, 'এই উপজেলার জেলেরা ৫৮ দিনের সরকারি নির্দেশনা পালন করেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় কোনো ট্রলার সাগরে যেতে দেওয়া হয়নি। তাই রাত ১২ টার পরপরই জেলেরা গভীর সাগরে মাছ শিকার করতে যাচ্ছেন।'বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন বলেন, 'সাগরে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে পালন করা হয়েছে। স্থানীয় বরফকলগুলো বন্ধ রাখায় হয়েছিলো। নিষেধাজ্ঞাকালে জেলেদের সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।'ভোরের আকাশ/জাআ
১১ জুন ২০২৫ ১০:৩২ পিএম
সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে আগামী তিন মাস পর্যটক ও বনজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।শনিবার (৩১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এজেডএম হাছানুর রহমান।জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে এই সময় সুন্দরবনে ইকো ট্যুরিজম, মাছ ও কাঁকড়া শিকার এবং মধু আহরণসহ সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।বন বিভাগের তথ্য মতে, প্রতি বছর এই তিন মাস নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকে। তবে এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন সুন্দরবন ঘেঁষা অঞ্চলের হাজারো জেলে, বোটচালক ও বনজীবী পরিবার। কারণ, জীবিকা বন্ধ থাকলেও সরকারি সহায়তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী হাবিবুল ইসলাম বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এই নিষেধাজ্ঞা জরুরি। ইতোমধ্যে পাস প্রদান বন্ধ করা হয়েছে এবং বনে অবস্থানরতদের ৩১ মের মধ্যে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তবে স্থানীয়দের দাবি, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রকৃত জেলেদের জন্য যথাযথ ও পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় বন রক্ষার এই প্রয়াশ বনজীবীদের জন্য হয়ে উঠবে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগ।ভোরের আকাশ/এসএইচ