অনেক শিক্ষকের বেতন মাত্র পাঁচ হাজার টাকা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, দেশের অনেক কলেজে এখনো শিক্ষকরা অনিশ্চয়তার মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কেউ এমপিওভুক্ত নন, আবার অনেকের কোনো প্রশিক্ষণও নেই। তবুও তারা দীর্ঘ ১৮-১৯ বছর ধরে মাসে মাত্র পাঁচ, সাত কিংবা দশ হাজার টাকা বেতনে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন।শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর খামারবাড়িতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।ভিসি আমানুল্লাহ জানান, নানা প্রচেষ্টা ও দেনদরবারের পর প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষকের এমপিও ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।তিনি বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। শিক্ষা খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উভয়ের মানোন্নয়ন জরুরি।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে নতুনত্ব আনার প্রসঙ্গ টেনে উপাচার্য বলেন, সিলেবাস সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং চলতি সেমিস্টার থেকেই রিভাইজড সিলেবাস কার্যকর হয়েছে। ইংরেজি ও আইসিটিকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ নিয়ে কোনো বিরোধিতা হয়নি। সারাদেশের শিক্ষার্থীরাই পরিবর্তন মেনে নিয়েছেন। মানুষ সবসময় ভালো পরিবর্তন চায়।অনার্স-মাস্টার্স খোলার বিষয়টিতে এলোমেলো পরিস্থিতির সমালোচনা করে ভিসি বলেন, আমাকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছে যে আমি নাকি বলেছি ল্যাব করার মতো শিক্ষক নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলো অনেকে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, অথচ একদিনও ল্যাবে ঢোকেননি।এটা কি শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য কাম্য? খাতা মূল্যায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ চালু করার পর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করছে। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায় এতদিন খাতা কীভাবে দেখা হচ্ছিল?ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৬ আগস্ট ২০২৫ ০৭:৫০ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাধ্যতামূলক গোষ্ঠী স্বাস্থ্য বিমা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য চালু হচ্ছে দুই বছরের বাধ্যতামূলক গোষ্ঠী স্বাস্থ্য বীমা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রোটেকটিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের গোষ্ঠী স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচির আওতায় এ চুক্তি নবায়ন করেছে।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য চালু হচ্ছে বাধ্যতামূলক গোষ্ঠী স্বাস্থ্য বিমা। যার প্রিমিয়াম মাসিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে স্বামী/স্ত্রী জনপ্রতি ৪৩৮ টাকা।বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চুক্তির মেয়াদ চলতি বছরের ১৫ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।নিয়ম অনুযায়ী, প্রেষণে বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এ বিমা প্রযোজ্য। পাশাপাশি পোষ্যদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী, পিতা-মাতা (৭০ বছর বয়স পর্যন্ত) ও সন্তান (২৫ বছর বয়স পর্যন্ত) সুবিধা পাবেন।এদিকে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির জন্য আগামী ১৭ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট তারিখের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর, জন্মতারিখ ও ছবি পিএএমএস সফটওয়্যারে যুক্ত করে এর প্রিন্ট কপি কল্যাণ শাখা, অর্থ ও হিসাব দফতরে জমা দিতে হবে।এছাড়া সন্তান জনপ্রতি ৩৯৬ টাকা, পিতা-মাতা জনপ্রতি ৪৩৮ টাকা। স্ত্রীর ক্ষেত্রে ১ জুলাই ২০২৫-এর পূর্বে অন্তঃসত্ত্বা হলে মাতৃত্ব বিমা সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। একই তারিখ থেকে বকেয়াসহ প্রিমিয়াম কর্তন শুরু হবে।ভোরের আকাশ/তা.কা
১৬ আগস্ট ২০২৫ ০২:৩৮ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সারাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) অনুষ্ঠেয় সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টার দিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে জানানো হয়েছে- ঢাকা মহানগরীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আহত ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন। এ কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।আরও বলা হয়- স্থগিতকৃত পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে। পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী অন্যান্য পরীক্ষার তারিখ ও সময় অপরিবর্তিত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
২২ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৯ এএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠেয় ২০২৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স দ্বিতীয় বর্ষের বৃহস্পতিবারের (১৭ জুলাই) পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।এতে জানানো হয়েছে, অনিবার্য কারণবশত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৭ জুলাই অনুষ্ঠেয় ২০২৩ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত এ পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানানো হবে। উল্লেখ্য, গত ৩ জুন প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী অন্যান্য সব পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি অপরিবর্তিত থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৭ জুলাই ২০২৫ ১২:৩১ পিএম
অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতের খবর সঠিক নয়: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘প্রজ্ঞাপন’ গুজব ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।রোববার (২২ জুন) বিষয়টি নিয়ে কলেজ পরিদর্শকের দপ্তর থেকে জানানো হয়, সোশ্যাল মিডিয়া ও কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত স্মারক নম্বর- ০৭(১৫৩৭) জাতী:বি:/ক:প:/৭০৯০ প্রকাশিত কোনো আদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জারি করেনি।এতে উল্লেখ করা হয়, এই প্রজ্ঞাপনটি ভুয়া বা ফেইক। এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেয়নি এবং এর দায়ভার কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়। এটি একটি স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহলের অপপ্রচারের অংশ।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তারা যেন এই ভুয়া তথ্য অনুসরণ না করেন এবং গুজবে বিভ্রান্ত না হন।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুয়া স্মারক তৈরি ও প্রচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।প্রসঙ্গত, ২২ জুন থেকে একটি ‘প্রজ্ঞাপন’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে দাবি করা হয়— সকল বেসরকারি কলেজে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এ নিয়ে অনেক কলেজের শিক্ষকমহলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৩ জুন ২০২৫ ০৭:৩৮ পিএম
চাকরি ফেরত পাচ্ছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৮৮ জন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এক যুগের বেশি সময় আগে চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মীচারীকে পুনর্বহালের রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ এ-সংক্রান্ত আপিল মঞ্জুর করে গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন।চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০০৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ওই ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পেয়েছিলেন। এমএলএসএস থেকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার সমমর্যাদার বিভিন্ন পদে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।উচ্চ আদালতের রায়ের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১২ সালে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। ওই ৯৮৮ জনের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে ২০১৬ সালের ১৯ মে আপিল বিভাগ রায় দেন। এই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে গত বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আপিল বিভাগে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১ ডিসেম্বর আপিল করার অনুমতি পায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই আপিল মঞ্জুর করে গতকাল রায় দেওয়া হয়।আদালতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন, মো. আসাদুজ্জামান ও মো. রুহুল কুদ্দুস শুনানিতে ছিলেন। অপর পক্ষে (চাকরিচ্যুতদের) ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খায়ের এজাজ মাস্উদ। রায়ের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায় অনুযায়ী চাকরিচ্যুত ৯৮৮ জনের মধ্যে যারা জীবিত আছেন, তারা প্রত্যেকেই চাকরিতে পুনর্বহাল হবেন।চাকরিচ্যুতি থেকে পুনর্বহালের দিন পর্যন্ত- এই সময়টাকে অসাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য হবে। এই সময়ে তারা তাদের জ্যেষ্ঠতা পাবেন। অর্থাৎ জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ন হবে না। চাকরিচ্যুতদের ভোগান্তি ও মানবতার দিক বিবেচনা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে তাদের সুবিধাদির বিষয় নির্ধারণ করার জন্য ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’আপিল বিভাগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আপিল মঞ্জুর করেছেন জানিয়ে অপর পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খায়ের এজাজ মাস্উদ বলেন, ‘আপিল বিভাগের দেওয়া (১৯ মে ২০১৬) রায় বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের যে রায়ে তাদের (কর্মকর্তা-কর্মচারী) চাকরি গিয়েছিল, সেটিও বাতিল করা হয়েছে। ওই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে বলা হয়েছে।’আইনজীবীদের তথ্য অনুসারে, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৩ সালের ১৭ নভেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পান। ওই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বী মিয়া হাইকোর্টে রিট করেন। চূড়ান্ত শুনানির পর ২০০৬ সালের ২২ আগস্ট আদালত রিট (রুল ডিসচার্জ) খারিজ করে রায় দেন।পরে হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চে ওই রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক। শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ওই জনবলকে কোনো রকম বিলম্ব ছাড়াই অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় রায়ের বিরুদ্ধে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপিল বিভাগে পৃথক আপিল অনুমতির আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন। এর শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ১ ডিসেম্বরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের উভয় রায় বাতিল ঘোষণা করে পুনরায় রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।পুনরায় শুনানি নিয়ে ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনাসহ রুল যথাযথ ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ২০০৪ সালে কয়েকটি পত্রিকায় দেওয়া বিজ্ঞপ্তির আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা আহ্বান করে ২০১২ সালের এপ্রিলে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে।হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে লিভ টু আপিল করেন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা। শুনানি নিয়ে ২০১৬ সালের ১৯ মে আপিল বিভাগ পর্যবেক্ষণসহ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করেন। হাইকোর্টের (২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দেওয়া) রায় বহাল থাকে।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং গত বছর পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করে। রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ লিভ মঞ্জুর (আপিল করার অনুমতি) করেন। এর ধারাবাহিকতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চলতি বছর আপিল করে। এই আপিল মঞ্জুর করে গতকাল রায় দিলেন আপিল বিভাগ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৮ মে ২০২৫ ০৮:৫৭ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৮ শতাংশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২৩ সালের ডিগ্রি পাস ও সার্টিফিকেট কোর্স ১ম বর্ষ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফল দেখতে পারছেন। এবারের পাসের হার ৮৮ দশমিক ৮০ শতাংশ।বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর।প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবার সারাদেশের ৬৭৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৯১৮টি কলেজের মোট ২ লাখ ৬৭ হাজার ৯১৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন এরমধ্যে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৮৮ দশমিক ৮০ শতাংশ।গ্রুপভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বিএ বিভাগে অংশগ্রহণ করেছেন ৬৬ হাজার ৮৩৫ জন। আর পাস করেছে ৬০ হাজার ৫৪৯ জন। এ বিভাগে পাসের হার ৯০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।বিএসএস বিভাগে অংশগ্রহণ করে ৬৮ হাজার ৯৬৫ জন, পাস করেছে ৬২ হাজার ৬৫৩ জন। পাসের হার ৯০ দমশিক ৮৪ শতাংশ। বিকম/বিবিএস বিভাগে অংশগ্রহণ করে ২৫ হাজার ৬২৮ জন। পাস করেছে ২১ হাজার ৪৬৮ জন। পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। বিএসসি বিভাগে অংশগ্রহণ করে ৬ হাজার ১৫৩ জন। পাস করেছে ৪ হাজার১৪৫ জন। পাসের হার ৬৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। বি. মিউজিক ও বি.স্পোর্টস বিভাগে পরীক্ষার্থী ছিল যথাক্রমে ১৫ জন ও ৭ জন। পাস করেছে সবাই। দুই বিভাগেই পাসের হার ১০০ শতাংশ। সার্টিফিকেট কোর্স (মানোন্নয়ন) অংশগ্রহণ করে ৫১ জন। এখানেও পাসের হার ১০০ শতাংশ।এছাড়া, মানোন্নয়ন (সাধারণ) পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ২৫৯ জন। পাস করেছে ৭৪ হাজার ২২ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।শিক্ষার্থীরা, ফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট www.nu.ac.bd/results অথবা result.nu.ac.bd ঠিকানায় দেখতে পারবেন।ভোরের আকাশ/জাআ