চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন (৩০) পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের মাদারবাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করে সাতকানিয়া থানা পুলিশ। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা মো. সিরাজুল ইসলামের পুত্র।পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় দায়েরকৃত একটি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন। তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।এছাড়া সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে ছবি প্রকাশ করে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় পরিবর্তনের চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা তাকে মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছি। আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”দেলোয়ার গ্রেফতারের খবরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ একে তার দীর্ঘদিনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকেই রাজনৈতিক সমীকরণের অংশ হিসেবে গ্রেফতার হয়েছে বলে মনে করছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২৬ আগস্ট ২০২৫ ০৪:০৪ পিএম
গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি কোটালীপাড়া কলেজ সংসদের সাবেক জিএস আলিউজ্জামান জামির (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।শুক্রবার গভীর রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার সদর (পশ্চিমপাড়) থেকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে।শনিবার আলিউজ্জামান জামিরকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই কোটালীপাড়া উপজেলার ওয়াবদার হাট নামক স্থানে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা জড়ো হয়ে মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ করে। এতে জনমনে আতঙ্ক ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এক শ ৫৫ জনকে জ্ঞাত ও এক হাজার পাঁচ শ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে কোটালীপাড়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে।এই মামলায় কোটালীপাড়া পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি কোটালীপাড়া কলেজ সংসদের সাবেক জিএস আলিউজ্জামান জামিরকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, আলিউজ্জামান জামির ১৬ জুলাই মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভের ঘটনায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে মামলার অজ্ঞাত আসামী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এ পর্যন্ত এই মামলায় আমরা ৫১ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৩ আগস্ট ২০২৫ ০৭:২৬ পিএম
ছাত্র হত্যার দায়ে জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার
সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র হত্যার দায়ে জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক সহকারী প্রক্টর এবং পাবলিক হেলথ ও ইনফরমেটিক্স বিভাগের বহিস্কৃত সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভোর রাতে সাভারের পুলিশ টাউন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোররাত ৩টার দিকে সাভারের পুলিশ টাউন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির।গ্রেপ্তার মাহমুদুর রহমান জনি (৩৬) কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার হারুয়া গ্ৰামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের (জাবি) শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির বলেন, গ্রেপ্তার মাহমুদুর রহমান জনি সাভার মডেল থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি। তাকে এই মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।এছাড়া জনির সঙ্গে ছাত্রলীগের একাধিক নেত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং অশালীন চ্যাটিংয়ের ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসলে বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় জনির বিরুদ্ধে গঠিত হয় স্ট্রাকচার্ড কমিটি।এরপর ২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় মাহমুদুর রহমান জনিকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।ভোরের আকাশ/জাআ
২৩ আগস্ট ২০২৫ ০৩:৩৩ পিএম
খুলনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সাবেক নেতা গ্রেপ্তার
খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ সাকিবকে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আলীর ক্লাব সংলগ্ন হোটেল তাজমহল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাকিব সোনাডাঙ্গা গির্জা রোডের বাসিন্দা শেখ আ. জব্বারের ছেলে।সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আব্দুল হাই গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর রাজনীতির পট পরিবর্তনের পর থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ সাকিব আত্মগোপনে ছিলেন। এসময় সে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় তার শুক্রবার রাতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আলীর ক্লাব সংলগ্ন হোটেল তাজমহলে অভিযান চালিয়ে রাত দেড়টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় নাশকতা মামলা দায়ের চলমান। এ মামলায় তাকে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৯ আগস্ট ২০২৫ ১২:৩৬ পিএম
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেফতার
ভারতে ঢোকার সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে বিস্ফোরকসহ ৭ মামলার পলাতক আসামী মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুস ছামাদ আযাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামের আকিব আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মৌলভিবাজার সদর থানায় বিস্ফোরকসহ ৭ টি মামলা রয়েছে।বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে ভারতে ঢোকার উদ্দেশ্য বেনাপোল ইমিগ্রেশনে প্রবেশের পর সে গ্রেফতার হয়।ইমিগ্রেশন তথ্য বলছে, ভারতে ঢোকার সময় ইমিগ্রেশন ভবন থেকে ১৬ জন আ.লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যারা ৫ আগষ্টের পর হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার আসামী হয়েছিল।বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি ইলিয়াজ হেসেন মুন্সী জানান, আব্দুস ছামাদ আযাদ ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করলে তার চলাফেরা সন্দেহ জনক মনে হয়।এসময় সে কোন রাজনীতির সাথে জড়িত আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে অস্বিকার করে। পরে তার পাসপোর্ট পরীক্ষা, নিরীক্ষা করে দেখা যায় সে একাধিক মামলায় কালো তালিকার আসামী। পরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বেনাপোল পোর্টথানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তীতে আসামীকে মৌলভীবাজার থানা পুলিশের হাতে তুলে দিবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৩ জুলাই ২০২৫ ১১:২০ এএম
এনসিপির গাড়িবহরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-আ.লীগের হামলা
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রার সমাবেশ শেষে দলটির নেতা-কর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার পর গোপালগঞ্জ সদরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।এর আগে আজ দুপুর দেড়টার দিকে শহরের পৌর পার্কে সমাবেশ মঞ্চে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেখানে চেয়ার ভাঙচুর করে।তারও আগে সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কংশুর এলাকায় (ইউএনও) গাড়ি বহরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটান ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।এ ছাড়া সদর উপজেলার উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে টহলরত পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সমাবেশের মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুরসহ উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়।বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে শহরের পৌরপার্ক এলাকায় আয়োজিত সমাবেশস্থলে হামলা চালিয়ে ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং চেয়ার ভাঙচুর করে তারা। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার দলের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এই কর্মসূচিকে ‘১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।এছাড়া সকালে সদর উপজেলার গান্ধীয়াশুর এলাকায় ঘোনাপাড়া-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কে গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সে সময় তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি বহরেও হামলা চালানো হয়।ইউএনও এম রকিবুল হাসান বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রা ও পথসভা করার কথা রয়েছে। তাদের কর্মসূচি বানচালের জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থকেরা পথে পথে অবরোধ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ কাজে বাধা দিতে গেলে প্রথমে পুলিশের ওপর হামলা করে, পরে আমার গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুর চালায় তারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৬ জুলাই ২০২৫ ০২:২৪ পিএম
মানিকগঞ্জে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গি এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রোববার (১৫ জুন) ভোর ৬টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হঠাৎ এই মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।মিছিলে নেতৃত্ব দেন দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম। তাদের সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিলের একটি ভিডিও ছাত্রলীগ নেতা রাজিদুল ইসলামের নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা হয়েছে।রাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর ও দৌলতপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। দৌলতপুর থানার একটি মামলায় শফিকুল ইসলাম শফিকও এজাহারভুক্ত আসামি।পুলিশ জানিয়েছে, মামলার আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ইতোমধ্যে মানিকগঞ্জের নবগ্রাম এলাকাতেও রাজিদুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল হয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রকাশ্যে মিছিল করলেন এজাহারভুক্ত এই ছাত্রলীগ নেতা।এছাড়া ঢাকার মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জের দুটি মিছিলেও তাকে সামনে দেখা গেছে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতারা।মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এ জিন্নাহ কবির বলেন, “পুলিশের ভেতরে আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। তারা পলাতকদের ধরছে না।”বিএনপির এই নেতার দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী—যারা বিভিন্ন নাশকতা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি—তারা দিব্যি বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন, প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।তিনি বলেন, “আমরা একাধিকবার পুলিশকে জানিয়েছি, তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। পুলিশ যেন চোখ বুজে আছে। কারণ, এরা সবাই আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত। স্বাভাবিকভাবেই তারা দলীয় আনুগত্যে পরিচালিত হচ্ছে।”নিষিদ্ধ সংগঠনের পলাতক নেতাকর্মীদের মিছিল করার সুযোগ দেওয়ার দায়-দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনের এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তাদের অবস্থান সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেলেই দ্রুত অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে।”ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৫ জুন ২০২৫ ১০:৫১ পিএম
নাজিরপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
পিরোজপুরের নাজিরপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে নাজিরপুর থানার পুলিশ।মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে উপজেলার বৈঠাকাঠা বাজার সংলগ্ন তার শশুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাজিরপুর থানার (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া।গ্রেপ্তার ওই নেতা নাজিরপুর উপজেলার ৩ নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের দুলাল গাজীর ছেলে সেলিম গাজী (২৮) ঐ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।নাজিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া সেলিম গাজীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সেলিম গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গাড়ি পোড়ানো সংক্রান্ত মামলায়।বুধবার (৪ জুন) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত আছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ