পাকিস্তানের পাঁচ উইকেটের জয়, শ্রীলঙ্কার দুই ম্যাচে টানা হার
সুপার ফোরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কাছে ব্যর্থতার পর শ্রীলঙ্কার গ্রুপ পর্বের জয়রথ যেন থমকে গেছে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরে শ্রীলঙ্কা টানা দুই ম্যাচে পরাজিত হলো। লঙ্কানদের পরবর্তী ম্যাচ ভারতের সঙ্গে থাকায়, তারা এখন টুর্নামেন্টের চাপে থাকা দল হিসেবে দেখা যাচ্ছে।১৩৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান শুরুটা ভালোই করেছিল। উদ্বোধনী জুটি ফারহান ও ফখর জামানের সঙ্গে মাত্র ৫ ওভারে ৪৩ রান তুলে দলকে এগিয়ে দেন। কিন্তু পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দুই ওপেনার আউট হলে পাকিস্তান বিপাকে পড়ে। নবম ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ৫৭/৪, যা ১৩৪ রানের লক্ষ্যকে দূর আকাশের তারা মনে করাচ্ছিল।তবে হুসাইন তালাত এরপর দায়িত্ব নেন। প্রথমে মোহাম্মদ হারিসের সঙ্গে ২৩ রান যোগ করেন। হারিস আউট হবার পর চাপে পড়ার সুযোগ হয়নি। পরে তালাত ও মোহাম্মদ নওয়াজ ষষ্ঠ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। শেষ পর্যন্ত তালাত ৩০ বলে ৩২ রান এবং নওয়াজ ২৪ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। হুসাইন তালাতকে ম্যাচসেরার খেতাবও দেয়া হয়।শ্রীলঙ্কা শুরুতেই মারমুখী ব্যাটিং করতে চেয়েছিল, কিন্তু পাকিস্তানি বোলারদের কাছে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। শাহিন আফ্রিদির শিকার হন কুশাল মেন্ডিস এবং পরের ওভারে পাথুম নিশাঙ্কা। পাওয়ার প্লে শেষে কুশাল পেরে ও হারিস রউফও ফিরে যান। অধিনায়ক আসালাঙ্কা ৫৮ রানে বিদায় নেন। দলের সংগ্রহ ১২০ পার করার পর কামিন্দুও আউট হন। শেষ পর্যন্ত চাপ সামলে চামিকা করুনারত্নে ২১ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।শাহিন আফ্রিদি ২৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। হুসাইন তালাত ১৮ রানে ২ উইকেট নেন এবং হারিস রউফ ৩৭ রান খরচ করে ২ উইকেট শিকার করেন।ভোরের আকাশ//হ.র
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:০৬ এএম
পাকিস্তানের সামনে ১৩৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিলো শ্রীলঙ্কা
কামিন্দু মেন্ডিসের লড়াকু ফিফটির কল্যাণে সুপার ফোরের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৩৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আঘা।ব্যাট হাতে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি লঙ্কানদের। ইনিংসের প্রথম ওভারেই শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে শূন্য রানে ফেরেন কুশাল মেন্ডিস। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আফ্রিদি ফিরিয়ে দেন পাথুম নিশাঙ্কাকেও (৮)। এরপর কুশাল পেরেরা ১২ বলে ১৫ রান করে হারিস রউফের শিকার হন।অধিনায়ক আসালাঙ্কা কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও ১৯ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন। তার পরপরই হুসাইন তালাতের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন দাসুন শানাকা।এই অবস্থায় কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গ দিতে নামেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে তিনিও বেশি দূর যেতে পারেননি, ১৩ বলে ১৫ রান করে আউট হন। এরপরও একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালান কামিন্দু। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে ১২০-এর ঘরে নিয়ে যান। ইনিংসের শেষভাগে চামিকা করুনারত্নে ২১ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থেকে দলীয় সংগ্রহকে ১৩৩-তে দাঁড় করান।পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে শাহিন আফ্রিদি সবচেয়ে সফল ছিলেন—২৮ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। হুসাইন তালাত ১৮ রানে ২টি এবং হারিস রউফ ৩৭ রানে ২টি উইকেট শিকার করেন।ভোরের আকাশ//হ.র
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৫৯ পিএম
টাইগারদের ফাইনাল জয়ের সমীকরণ: এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ
এশিয়া কাপে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেট ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেট জিতেছে ভারত। টাইগাররা প্রথম ম্যাচ জিতলেও এবার ফাইনালে পৌঁছানোর জন্য তাদের সামনে জটিল সমীকরণ অপেক্ষা করছে।সুপার ফোরে দুই ম্যাচ শেষে ভারতের পয়েন্ট ২ এবং নেট রানরেট +০.৬৮৯। বাংলাদেশের পয়েন্টও ২, নেট রানরেট +০.১২১। অন্য দুই দল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের পয়েন্ট শূন্য, নেট রানরেট যথাক্রমে -০.১২১ ও -০.৬৮৯।বাংলাদেশের হাতে এখনও দুটি ম্যাচ রয়েছে—২৪ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের বিপক্ষে।ফাইনালে পৌঁছাতে টাইগারদের সমীকরণ দাঁড়াচ্ছে এইভাবে:দুটি ম্যাচ জিতলেই সরাসরি ফাইনাল নিশ্চিত।একটি ম্যাচ জিতলেও সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবে বাংলাদেশ।যদি ভারত দুটো ম্যাচ জিতে যায়, বাংলাদেশকে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়লাভ করতে হবে, তখন ভারত-বাংলাদেশ ফাইনালে মুখোমুখি হবে।দুটি ম্যাচ হারের পরও ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে, তবে শর্ত হলো—ভারত সব ম্যাচ জিতবে এবং বাংলাদেশ বাদে বাকি দুই দলকে বড় ব্যবধানে হারতে হবে। পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যাবে, আর বাংলাদেশের বিপক্ষে সীমিত ব্যবধানে জয়লাভ করবে। তখন নেট রানরেটে এগিয়ে থাকা দল ফাইনালে যাবে।টাইগারদের লক্ষ্য ফাইনাল নিশ্চিত করে শিরোপা জয়ের দিকে এগোতে হলে প্রতিটি রানের হিসেব খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।ভোরের আকাশ // হ.র
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:১০ এএম
পাকিস্তানকে উড়িয়ে এশিয়া কাপ ফাইনালের পথে ভারত
সীমান্তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রায় সমান হলেও ক্রিকেটের মঞ্চে চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে এক যুগ ধরে ভারতই আধিপত্য বিস্তার করছে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সর্বশেষ লড়াইয়েও তার ব্যতিক্রম হয়নি—টানা ষষ্ঠবারের মতো পাকিস্তানকে হারালো তারা।দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত সুপার ফোরের ম্যাচে সুরিয়াকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারত ৬ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছানোর পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল।টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানে প্রথম ধাক্কা খায় পাকিস্তান। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ফখর জামান আউট হন ১৫ রানে। এরপর শাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইউব গড়েন ৭২ রানের জুটি। তবে সাইম ফেরেন ২১ রানে, আর ফারহানকে (৫৮) ফিরিয়ে দেন শিভাম দুবে। হুসেইন তালাতও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ।শেষ দিকে সালমান আগা (১৩ বলে ১৭) ও ফাহিম আশরাফের ঝড়ো ইনিংস (৮ বলে ২০) পাকিস্তানকে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেয়। ভারতের হয়ে শিভাম দুবে নেন ২ উইকেট, হার্দিক পান্ডিয়া ও কুলদীপ ইয়াদভ পান ১টি করে উইকেট।১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় ওপেনাররা শুরুতেই ঝড় তোলেন। অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিল পাওয়ার প্লেতেই যোগ করেন ৬৯ রান। ৮.৪ ওভারে দলের রান পৌঁছায় ১০০-তে। ১০৫ রানে ভাঙে এই জুটি। গিল (২৮ বলে ৪৭) আউট হন ফাহিম আশরাফের বলে।এরপর দ্রুতই দুই উইকেট হারালেও (সুরিয়াকুমার শূন্যতে, অভিষেক ৩৯ বলে ৭৪ রানে) জয় থেকে সরে যায়নি ভারত। হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ চেষ্টা চালালেও তিলক বর্মা (১৯ বলে ৩০*) ও হার্দিক পান্ডিয়া (৭*) বাকি কাজ সহজেই সারেন। ৭ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ভারত।এই জয়ের ফলে ভারত শুধু পাকিস্তানকে টানা ছয়বার হারাল না, বরং এশিয়া কাপ ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনাও আরও জোরালো করল।ভোরের আকাশ // হ.র
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৪৫ এএম
প্রতিশোধের জয় দিয়ে সুপার ফোরে দারুণ শুরু বাংলাদেশের
দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপে সুপার ফোরের যাত্রা দারুণভাবে শুরু করেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধ নিতে লিটন দাসের দল শ্রীলঙ্কাকে হারাল ৪ উইকেটে।১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের পঞ্চম বলেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম শূন্য রানে আউট হলে চাপ তৈরি হয়। তবে সেই চাপ সামলে নেন লিটন দাস ও সাইফ হাসান।দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে ফেরান দুজন। এসময় ব্যক্তিগত ২৩ রানে আউট হওয়ার আগে নতুন এক রেকর্ড গড়েন লিটন। তিনি হয়ে গেলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক (২৫৫৬), পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানকে (২৫৫১)।এরপর দায়িত্ব নেন সাইফ ও তাওহিদ হৃদয়। দুজনে মিলে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি করে সাইফ ৬১ রানে আউট হওয়ার আগে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে দেন। ৪ ছক্কা ও ২ চারে সাজানো ছিল তার ইনিংস।হৃদয়ও খেলেন ঝলমলে ইনিংস। ৫৮ রানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৪ চার ও ২ ছক্কা হাঁকান তিনি। তবে জয়ের জন্য যখন মাত্র ১০ রান প্রয়োজন, তখন এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান দুষ্মন্ত চামিরার শিকার হয়ে।শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৫ রান। জাকের আলি অনিক প্রথম বলেই চার মেরে ম্যাচ সমতায় আনলেও শেষ কয়েক বলে পড়ে যায় নাটকীয়তা। টানা দুই উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত নাসুম আহমেদের শান্ত এক রানেই নিশ্চিত হয় জয়।এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ তোলে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান। ইনিংসের শেষদিকে দারুণ ব্যাটিং করেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ৩৭ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৬ ছক্কা ও ৩ চার। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান।প্রতিশোধের এই জয় দিয়েই এশিয়া কাপ সুপার ফোরে দারুণ সূচনা করল বাংলাদেশ।ভোরের আকাশ // হ.র
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২৪ এএম
অবিশ্বাস্য কিছুর আশা জাগিয়ে ভারতের কাছে হারল ওমান
ভারত ও ওমানের মধ্যকার এশিয়া কাপের শেষ গ্রুপপর্বের ম্যাচটি অনেকটাই নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল। ফলে জাসপ্রিত বুমরাহ’র মতো প্রধান পেসারকে বিশ্রামে রেখেছিল ‘এ’ গ্রুপ থেকে আগেই সুপার ফোর নিশ্চিত করা ভারত। তবে আইসিসির সহযোগী দেশটি ম্যাচে তাদের পুরোপুরি স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি। ভারতের ১৮৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা পাল্টা লড়াই চালায়, যদিও শেষমেষ থেমেছে ১৬৭ রানে।আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গতকাল (শুক্রবার) আগে ব্যাট করতে নামা ভারত চেয়েছিল সুপার ফোরের আগে নিজেদের ব্যাটিংটা ভালোমতো ঝালিয়ে নিতে। সম্ভবত তাদের সেই প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি। তবে সবাইকে ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিতে গিয়ে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট না করা, ব্যাটারদের পজিশনে ওলট-পালট কিংবা পরের ইনিংসে আট বোলারকে ব্যবহার যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ ছিল, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।এদিন ভারত মাত্র ৬ রানেই ওপেনার শুভমান গিলের (৫) উইকেট হারায়। তার আউট হওয়া দ্বিতীয় ওভারে দলটি কোনো রানও নিতে পারেনি। যা ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে কোনো সহযোগী দেশের হয়ে প্রথম (বোলার ফয়সাল শাহ)। তবে আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা (১৫ বলে ৩৮) নিজের ছন্দেই খেলেছেন। তিনে নামেন সঞ্জু স্যামসন। তার ব্যাটে ভারত সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান (৪৫ বলে ৫৬) পেলেও ধীরগতির ইনিংস খেলেন তিনি। চার নম্বরে নেমে ব্যর্থ হার্দিক পান্ডিয়া (১)।ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন অক্ষর প্যাটেল (১৩ বলে ২৬), তিলক ভার্মা (১৮ বলে ২৯) ও হার্শিত রানা (৮ বলে ১৩)। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৮ রান তোলে ভারত। যা চলমান এশিয়া কাপে যৌথভাবে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ১০ ব্যাটার ক্রিজে এলেও নামা হয়নি অধিনায়ক সূর্যকুমারের। ওমানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহ ফয়সাল, জিতেন রামানন্দি ও আমির কালিম।লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ধীরগতির ছিল ওমানের। তবে তাদের করা ৪৪ রান এবারের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ। এর আগে বুমরাহদের বিপক্ষে প্রথম ৬ ওভারে আরব আমিরাত ৪১ এবং পাকিস্তান ৪২ রান তোলে। এ ছাড়া ২০২৪ সালের জুলাইয়ের পর এবারই প্রথম পাওয়ার প্লেতে প্রতিপক্ষের কোনো উইকেট নিতে পারেনি ভারত। এটি পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে ওমানের জন্যও প্রথম। পরবর্তীতে দলীয় ৫৬ রানে ওপেনার জতিন্দর সিং (৩৩ বল ৩২) আউট হয়েছেন।তৃতীয় উইকেটে অপর ওপেনার আমির কালিম ও হাম্মাদ মির্জা মিলে গড়েন ৯৩ রানের জুটি। দ্বিতীয় ইনিংসের ১৪ ওভার শেষ হতেই ভারত ৮ বোলার ব্যবহার করে ফেলে। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। এর আগে এক ইনিংসে ৮ বোলার ব্যবহারের নজির রয়েছে ৫ বার। এর পরপরই ৩৭ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ হয় আমির কালিমের। যা টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি বয়সী (৪৩ বছর ৩০৩ দিন) ব্যাটার হিসেবে ফিফটির রেকর্ড। একদিন আগেই ওই রেকর্ডটি দখলে ছিল মোহাম্মদ নবির (৪০ বছর ২৬০ দিন)। ৪৬ বলে ৬৪ রানে আউট হয়েছেন কালিম।হাম্মাদের সঙ্গে গড়া কালিমের ৯৩ রানের জুটি ভারতের বিপক্ষে কোনো সহযোগী দেশের সর্বোচ্চ। ওমানও কোনো পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে প্রথমবার এত বড় জুটি গড়ল। ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হাম্মাদও। খানিক বাদেই তিনি আউট হয়ে যান। তিনি আউট হওয়ার সময়ে ওমানের স্কোর ছিল ১৫৪/৩। ৭ বলে তাদের প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান। অসম্ভব মনে হলেও শেষ ওভারে ৩টি চারে ব্যবধান কমিয়েছে ওমান। এর আগে ইনিংসের মাঝপথে তারা ভারতকে হারিয়ে দেয় কি না তেমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দেশটি হেরেছে ২১ রানে।এদিকে, ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ১০০ উইকেট (৬৪ ম্যাচ) নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন আর্শদীপ সিং। সবমিলিয়ে পূর্ণ সদস্য দেশের হিসাবে বাঁ-হাতি এই পেসারের উইকেটের সেঞ্চুরি তৃতীয় দ্রুততম। ৫৩ ম্যাচে রশিদ খান ও ৬৩ ম্যাচে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১০০তম উইকেট শিকার করেছিলেন। ভারতের পক্ষে ম্যাচটিতে আর্শদীপ ছাড়াও একটি করে উইকেট নেন পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব ও হার্শিত।ভোরের আকাশ/তা.কা
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৮ এএম
আফগানিস্তানকে হারানোর পর র্যাঙ্কিংয়ে উজ্জ্বল বাংলাদেশের দুই ব্যাটার
চলমান এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ের পর সুখবর মিলেছে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারের। মঙ্গলবার বাঁচা-মরার ম্যাচে আফগানদের হারিয়ে সুপার ফোরে প্রবেশের আশা আরও দৃঢ় করেছে টাইগাররা।ম্যাচে তানজিদ তামিম ব্যাট হাতে খেলেছেন ৩১ বলে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস। এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের ফলে আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে তিনি ৪ ধাপ এগিয়ে ৩৫তম স্থানে উঠে এসেছেন। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে তামিম এখন শীর্ষে।এদিকে, জাকের আলী অনিকও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন। এশিয়া কাপের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংসের পর তিন ধাপ এগিয়ে ৫৭ নম্বরে অবস্থান করছেন অনিক, যেখানে তিনি সাহিবজাদা ফারহান ও রিচি বেরিংটনের সঙ্গে যৌথভাবে অবস্থান করছেন।অন্যদিকে, র্যাঙ্কিংয়ে কিছুটা পিছিয়েছে টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস ও পারভেজ হোসেন ইমন। লিটন হংকংয়ের বিপক্ষে ৫৯, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৮ ও আফগানদের বিপক্ষে ৯ রান করার পর এক ধাপ পিছিয়ে ৪২ নম্বরে নেমেছেন। পারভেজ ইমন হংকংয়ের বিপক্ষে ১৯ রান করার পর শ্রীলঙ্কার ম্যাচে খেলেননি, আফগান ম্যাচেও একাদশে ছিলেন না। ফলে তিনি ৮ ধাপ পিছিয়ে ৭৫ নম্বরে অবস্থান করছেন।বাংলাদেশের এই জয়ে সুপার ফোরে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে, যদিও আফগানরা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতেছে।ভোরের আকাশ // হ.র
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:০৯ এএম
এশিয়া কাপে আফগানিস্তানকে হারিয়ে টিকে রইল বাংলাদেশ
আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক রোমাঞ্চকর ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপে টিকে থাকল বাংলাদেশ। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় দারুণ জয় তুলে নেয় লিটন দাসের দল।প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ইনিংসের নায়ক তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান, যিনি মাত্র ৩১ বলে খেলেন ঝোড়ো ৫২ রানের ইনিংস। সাইফ হাসান (৩০) ও তাওহীদ হৃদয় (২৬) দলকে কার্যকর অবদান রাখেন। ইনিংসের শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহানের ৬ বলে ১২ রানের ঝলক দলকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দেয়। আফগান বোলারদের মধ্যে নূর আহমেদ ২ উইকেট নিয়ে খরচ করেন ২৩ রান, আর রশিদ খানও সমান ২ উইকেট শিকার করেন ২৬ রানে।১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে আফগানিস্তান। নাসুম আহমেদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাওয়ারপ্লেতে হারায় দুই উইকেট। এরপর গুরবাজের ৩৫ এবং আজমাতুল্লাহ ওমরজাইয়ের ৩০ রানে আফগান শিবিরে কিছুটা আশা জাগলেও শেষ দিকে রশিদ খান (২০) ও নূর আহমেদের (১৪) লড়াইও জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের ইনিংস থামে ১৪৬ রানে।বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান নেন ৩ উইকেট দিয়ে ২৮ রান। নাসুম আহমেদ (৪-১-১১-২) ও রিশাদ হোসেন (৪-০-১৮-২) দুর্দান্ত বোলিং করেন। শেষ মুহূর্তে তাসকিন আহমেদও তুলে নেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।শেষ ওভারে আফগানিস্তানের দরকার ছিল ২২ রান। তাসকিনের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান নূর আহমেদ। তবে পরের ডেলিভারিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফেরায় বাংলাদেশ এবং শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত করে টিকে থাকার জয়।এই জয়ের পরও লিটন দাসদের সুপার ফোরে যাওয়া নির্ভর করছে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ফলাফলের ওপর।ভোরের আকাশ//হ.র
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৫০ এএম
একপেশে লড়াইয়ে পাকিস্তানকে সহজেই হারাল ভারত
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই সমর্থকদের জন্য বাড়তি উত্তেজনা। তবে মাঠের ক্রিকেটে এবারও দেখা গেল একপেশে লড়াই। এশিয়া কাপে মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিল সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারত। টানা দুই জয়ে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল তাদের সুপার ফোর।দুবাইয়ে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান তোলে পাকিস্তান। দলের হয়ে ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। আর শেষ দিকে ঝড় তোলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, ১৬ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে কিছুটা সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেন দলকে। এর বাইরে কেউই দাঁড়াতে পারেননি ভারতীয় বোলারদের সামনে। শুরুতেই হার্দিক পান্ডিয়া ও জাসপ্রিত বুমরাহর তোপে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। কুলদীপ যাদবও বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত।জবাবে ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের ব্যাটাররা শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন। শুভমান গিল দ্রুত সাজঘরে ফিরলেও অভিষেক শর্মা ঝড় তোলেন। শাহিন আফ্রিদির প্রথম দুই ওভারেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছড়ান তিনি। মাত্র ১৩ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ফাহিম আশরাফের হাতে ক্যাচ দিয়ে।অভিষেক আউট হওয়ার পর দায়িত্ব নেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মা। দুজনের জুটিতেই সহজ জয় নিশ্চিত হয় ভারতের। ৩৭ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন সূর্য। ভারত লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ১৫ দশমিক ৫ ওভারেই।পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র উজ্জ্বল দিক ছিলেন সাইম আইয়ুব, ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে শিকার করেছেন তিন উইকেট। তবে সেটি ম্যাচের ফলাফল বদলানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।ভোরের আকাশ//হ.র
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১৩ এএম
নেওয়াজকে বিশ্বসেরা স্পিনার বললেন পাকিস্তান কোচ
পাকিস্তানি স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজের দারুণ সময় যাচ্ছে বললে ভুল হবে না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হ্যাটট্রিকসহ নিয়েছেন ৫ উইকেট। শেষ ১১ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার ২০ উইকেট। তবে এতেই কি তিনি বিশ্বসেরা স্পিনার? পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন কিন্তু সে দাবিই করেছেন।এশিয়া কাপ- ২০২৫ এ পাকিস্তানের মিশন শুরু হচ্ছে আজ। দুবাইতে প্রথম ম্যাচে ম্যান ইন গ্রিনরা মুখোমুখি হবে ওমানের। তবে আসল উত্তেজনা অপেক্ষা করছে দুই দিন পর। ১৪ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবেন সালমান আঘারা। সবশেষ এ দুই দল একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তাই আসন্ন ম্যাচ ঘিরে আগ্রহ, রোমাঞ্চ দুই-ই তুঙ্গে। ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে যেন প্রতিপক্ষকে কিছুটা ভড়কে দিতে চাইলেন পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন।ভারতের বিপক্ষে মহারণের আগে পাকিস্তানের হোয়াইট বল কোচ মাইক হেসন করলেন সাহসী দাবি। তার মতে, পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজই এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা স্পিনার। হেসন বলেন, যখন দলে এমন রিস্ট স্পিনার থাকে, তখন উইকেট কেমন তা তেমন বড় ব্যাপার হয় না। আমাদের আসল শক্তি হলো, দলে পাঁচজন স্পিনার আছে। নওয়াজ আছেন, যিনি বর্তমানে বিশ্বের সেরা স্পিনার। গত ছয় মাস ধরে দলে ফেরার পর থেকে র্যাঙ্কিংও তা প্রমাণ করছে।গত সপ্তাহেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মাতিয়ে দিয়েছেন নওয়াজ। ৭ সেপ্টেম্বর, শারজাহতে সিরিজের ফাইনালে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি, যার মধ্যে ছিল এক হ্যাটট্রিকও। ৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করা মাত্র তৃতীয় পাকিস্তানি বোলার।হেসন আরও যোগ করেন, আমাদের কাছে আবরার আহমেদ, সুফিয়ান মুকিমও আছে। সাইম আয়ুব এখন বিশ্বের শীর্ষ ১০ অলরাউন্ডারের মধ্যে একজন। সালমান আলী আগা খুব বেশি বোলিং না করলেও পাকিস্তানের টেস্ট স্পিনার। তাই কন্ডিশন অনুযায়ী আমাদের স্পিন আক্রমণ ভরসা দেওয়ার মতো।শুধু স্পিন নয়, পেস আক্রমণেও শক্তিশালী পাকিস্তান। হেসনের ভাষায়, আমাদের হাতে পাঁচজন পেসারও আছে। প্রয়োজনমতো গতি, ভ্যারিয়েশন কিংবা রিভার্স সুইং- সব দিক দিয়েই আমরা প্রস্তুত।ভোরের আকাশ/তা.কা
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৩২ পিএম
এশিয়া কাপে জয়ে দারুণ শুরু বাংলাদেশের
এশিয়া কাপে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে লিটন দাসের দল।বৃহস্পতিবার আবুধাবির আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিং করে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে হংকং সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন নিজাকাত খান। বাংলাদেশের হয়ে তানজিম সাকিব নেন দুটি উইকেট, সমান দুটি শিকার পান তাসকিন আহমেদও। রিশাদ হোসেন নিয়েছেন দুটি উইকেট।লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তবে ১৯ রানে আউট হলে চাপ বাড়ে টাইগারদের ওপর। এরপর তানজিদ তামিমও ফেরেন ১৪ রানে। তবে লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। দু’জনের জুটিতে আসে ৫০ রান।অধিনায়ক লিটন খেলেন ৫৯ রানের ঝলমলে ইনিংস, তুলে নেন অর্ধশতকও। ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক আগে তিনি আউট হলেও জয় ছিল নিশ্চিত। তাওহীদ হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। ১৪ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।এর আগে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হংকংকে প্রথম ধাক্কা দেন তাসকিন আহমেদ। ওপেনার অংশুমান রাথকে ৪ রানে ফিরিয়ে দেন তিনি। পরে তানজিম সাকিব ফেরান বাবর হায়াতকে। নিজাকাত খান কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ পর্যন্ত ৪২ রানে আউট হন। অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তুজা ১৯ বলে ২৮ রান করে রান আউট হন। এরপর আর কেউ উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলতে পারেননি।আগামী শনিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।ভোরের আকাশ//হ.র