ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা শাখার দোয়া মাহফিল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৪টায় বরিশাল জেলা শাখার আয়োজনে জুলাই গনঅভ্যুত্থানে শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শাখা সভাপতি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জুলাই শহীদ পরিবারের স্বজন, সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ।ছবি : ভোরের আকাশদোয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে ছাত্ররা তাদের তাজা প্রাণ যেভাবে বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে জাতি তাদের কখনো ভুলবে না। মহান রবের দরবারে এর বিনিময় উত্তম পুরস্কার পাবে শহীদরা।আজও অনেক ছাত্র তরুণ তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারিয়ে পঙ্গুত্ব, অসহায়ত্ব বরণ করে নিয়েছে। কিন্তু নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের কাঙ্খিত স্বপ্ন ঘুনাক্ষরেও বাস্তবায়ন হয়নি। নতুন করে আবারো ফ্যাসিবাদী পরিবেশ সৃষ্টি করার পায়তারা চালাচ্ছে একটি পক্ষ। তাদেরকে প্রতিহত করতে জাতিকে সচেতন থাকতে হবে।দোয়া অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদদের প্রতি সম্মাননা তাদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৬ জুলাই ২০২৫ ০৮:৫৫ পিএম
ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে ১৬ দফা ঘোষণা
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান মহাসমাবেশের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। মহাসমাবেশকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ধিত অংশ ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি গৌরবময় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।ছবি: সংগৃহীতঘোষণাপত্রে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে ৬টি কমিশনের প্রস্তাবনা আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। আমরা সেই প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্র রোধ করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন নিশ্চিত করার বিষয়টি মূখ্য রেখে আমরা আমাদের প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি। আমাদের প্রস্তাবনাগুলোকে সক্রিয় বিবেচনায় নেওয়ার জন্য আজকের মহাসমাবেশ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি। ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা হলো-১. সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতিরূপে পুনঃস্থাপন।২. সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন।৩. জুলাই সনদের ঘোষণা ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্য।৪. ভবিষ্যৎ স্বৈরাচার ও দলীয় কর্তৃত্ববাদ রোধে মৌলিক রাষ্ট্র সংস্কার।৫. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনে ফ্যাসিবাদী প্রভাবমুক্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।৬. পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার ও পালাতক অপরাধীদের ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক পদক্ষেপ।৭. পাচার করা অর্থ উদ্ধার ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ।৮. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও খুনখারাবি রোধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা।৯. ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি প্রকাশ ও দেশবিরোধী চুক্তির বাতিল।১০. জাতীয় নির্বাচনের আগে সব পর্যায়ে স্থানীয় নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান প্রণয়ন।১১. দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও সন্ত্রাসীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।১২. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করা।১৩. ঘুষ-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।১৪. ইসলাম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ডে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।১৫. জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের প্রতিহত করা।১৬. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ইসলামের আলোকিত আদর্শ বাস্তবায়নের আহ্বান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৮ জুন ২০২৫ ০৫:১৩ পিএম
সোহরাওয়ার্দীতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ঢল
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিন দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দাবিগুলো হলো সংস্কার, বিচার ও পিআর (সংখ্যানুপাতিক ভোটে) পদ্ধতিতে নির্বাচন।শনিবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায় ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা বাসে ও হেঁটে সমাবেশে আসছেন। উদ্যানের বিভিন্ন গেট দিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ইতোমধ্যেই সমাবেশস্থলে যোগ দিয়েছেন লাখো নেতাকর্মী।আনুষ্ঠানিকভাবে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই সারাদেশ থেকে আগত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সকাল ১০টায় কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রথম পর্ব। এ পর্বে সারদেশ থেকে আগত জেলা-মহানগর নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখছেন।আজ মহাসমাবেশে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির পক্ষের সবগুলো রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।উপস্থিত আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।এতে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।উল্লেখ্য, মহাসমাবেশের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম গতকাল শুক্রবার মাঠ পরিদর্শন করেন। সে সময় তিনি জানান, সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার বাস রিজার্ভ করা হয়েছে। লঞ্চ ও ট্রেনে করে কয়েক লাখ জনতা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৮ জুন ২০২৫ ১২:২৯ পিএম
রামগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জাকির হোসেন পাটোয়ারী
আল মদিনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ্ব জাকির হোসেন পাটোয়ারীকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে। তিনি ‘হাতপাখা’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।শনিবার (২৪ মে) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা আয়োজিত এক দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এই ঘোষণা দেন দলের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম। এসময় দায়িত্বশীল কর্মশালায় জেলার সবকয়টি উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।এসময় মুফতী ফয়জুল করিম তার বক্তব্যে বলেন, জাকির হোসেন পাটোয়ারী একজন আদর্শবান, সৎ, জনবান্ধব এবং দানশীল ব্যক্তি। রামগঞ্জবাসীর উন্নয়ন ও ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় তিনি একজন যোগ্য প্রার্থী।তিনি আরও বলেন, আমরা এমন নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চাই, যারা দুনিয়ার পাশাপাশি আখিরাতের দায়িত্বও বুঝবে। ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীক মানেই শান্তি, ন্যায় ও ইনসাফ।এদিকে, প্রার্থীতা ঘোষণার পর আলহাজ্ব জাকির হোসেন পাটোয়ারী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সবার দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।তিনি বলেন, এই অঞ্চলের মানুষের সেবা করাই আমার লক্ষ্য। আমি চাই ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকে নির্বাচিত হলে রামগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করব।উল্লেখ্য, আলহাজ্ব জাকির হোসেন পাটোয়ারী বহুদিন ধরেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবিক সহায়তার কাজে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। এলাকায় তিনি ইতিমধ্যেই সমাজসেবক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ