আগামী ১০ দিনের মধ্যে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঐক্যমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।সোমবার (২১ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় দফার ১৬তম দিনের আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।আলী রীয়াজ বলেন, অধিকাংশ বিষয়েই কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে চলে এসেছে। চলতি মাসের মধ্যেই সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে জাতীয় সনদ হবে। ১০ দিনের মধ্যে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোকে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি।আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত আছেন।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২১ জুলাই ২০২৫ ০১:৩৭ পিএম
মৌলিক সংস্কারের ‘বেশিরভাগ’ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ঘোষণা করা হবে ‘জুলাই সনদ’। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দলগুলোর মতপার্থক্য দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। চলছে তীব্র বাকযুদ্ধ। একের অপরের প্রতি আপত্তিজনক মন্তব্য করতেও দ্বিধা করছেন না তারা। তবে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারে মৌলিক সংস্কারের ‘বেশিরভাগ বিষয়ে’ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে আরও কিছু বিষয় ‘নিষ্পত্তি হবে’ বলে আশা করছেন তিনি।রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৫তম দিনে সূচনা বক্তব্যে কথা বলছিলেন আলী রীয়াজ। এদিনের আলোচ্য সূচিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান রাখা হয়েছে।আলী রীয়াজ বলেন, চলতি মাসের মধ্যে কমিশন জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চায়। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এটা আপনারাও নিঃসন্দেহে চান। তাই আমাদের পক্ষে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে একটি সনদের জায়গায় যাওয়া। যেটা আপনাদের ইচ্ছা, আমাদের ইচ্ছা, সকলের প্রচেষ্টা। দেশের সকলে সেটা প্রত্যাশা করছেন।’উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত দেওয়ার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। আশা করেছিলাম শুক্র ও শনিবার একটা আলোচনার মধ্য দিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তটা জানাতে পারব। কমিশন আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ বিষয়ে আরেকটু সময় নিয়ে বিবেচনা করা দরকার। আপনাদের বিভিন্ন অবস্থান পর্যালোচনা করছি।”উচ্চকক্ষের বিষয়ে সংলাপের আলোচনার নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘আপনাদের আলোচনা পর্যালোচনার পাশাপাশি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কি কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে, অন্যান্য বিষয় সংশ্লিষ্ট সেগুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। আশা করছি দুই-তিনদিন পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারব।”তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আলোচনার বিষয়ে সহ-সভাপতি বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনার প্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাব বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বিএনপি, এনসিপি এবং জামায়াতের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিল। সেটা নিয়ে বিভিন্নভাবে পর্যালোচনার পর সমন্বিত প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। যা দলগুলো ও গত কয়েকদিনের আলোচনার সারাংশের ভিত্তিতে। আশা করছি আজকে আলোচনার মাধ্যমে পরিণতির দিকে যেতে পারব।গত ১৪ বছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমরা সকলে যুক্ত ছিলাম। সে জায়গায় আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত হয়েছি। এখন প্রধান উপদেষ্টার কাঠামো নিয়ে একমতের জায়গায় আসতে পারব। কমিশন শুধু আশা করে না, বিশ্বাস করে।’প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২০ জুলাই ২০২৫ ০৫:৫০ পিএম
চলতি মাসেই জাতীয় সনদ তৈরিতে আশাবাদী: আলী রিয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জাতীয় সনদ তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে। তিনি আশা করছেন, চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই এটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৫তম দিনের আলোচনার শুরুতে এ কথা জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে একটি সনদের জায়গায় যাওয়া, যেটা আপনাদের-আমাদের সবার ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা। দেশের জনগণও সেটা প্রত্যাশা করছেন।উচ্চকক্ষের বিষয়ে সংলাপের আলোচনার কথা জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, আপনাদের আলোচনা-পর্যালোচনার পাশাপাশি উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কি কি ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে অন্যান্য বিষয় সংশ্লিষ্ট সেগুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। আশা করছি, দুই-তিনদিন পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারব।তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাব বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বিএনপি, এনসিপি ও জামায়াতের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিল। সেটা নিয়ে বিভিন্নভাবে পর্যালোচনার পর সমন্বিত প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
২০ জুলাই ২০২৫ ০৩:০৬ পিএম
উচ্চকক্ষ নিয়ে দু’দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজ
উচ্চকক্ষের বিষয়ে আগামী দু’দিনের মধ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। রোববার (২০ জুলাই) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় দফায় পঞ্চদশ দিনের বৈঠকের শুরুতে তিনি এই কথা জানান।ড. রীয়াজ বলেন, আমরা জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে চাই। এটা আপনাদের পক্ষ থেকেও নিঃসন্দেহে আপনারা চান। সেজন্যই আমাদের পক্ষে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কিছু কিছু বিষয় আছে, যেগুলো আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে।তিনি বলেন, আপনাদের পক্ষ থেকে কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। আমরা আশা করেছিলাম শুক্র-শনিবারের আলোচনার মাধ্যমে কমিশনের সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো। তবে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বিষয়ে আরেকটু সময় নিয়ে বিবেচনা করা দরকার। আপনাদের প্রস্তাবনাগুলো আবারও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি সংবিধান সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি, দুদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো।তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকদিনের আলোচনার ভিত্তিতে কমিশনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাব বিবেচনার জন্য দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী- এই চারটি দল থেকে পৃথক প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো পর্যালোচনা করে একটি সমন্বিত প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে, যা মূলত দলগুলোর দেওয়া প্রস্তাব ও সাম্প্রতিক আলোচনার সারসংক্ষেপের ভিত্তিতে তৈরি। আমরা আশা করছি, আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।কমিশনের লক্ষ্য ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করা উল্লেখ করে ড. রীয়াজ বলেন, এটা আপনাদের-আমাদের সবারই কাম্য। দেশের জনগণও সেটাই প্রত্যাশা করছে। গত ১৪ বছর ধরে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে আমরা সবাই যুক্ত ছিলাম। এখন প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়েও আমরা একমতে পৌঁছাতে পারব- এ বিশ্বাস কমিশনের রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২০ জুলাই ২০২৫ ০১:০৮ পিএম
ঐকমত্য কমিশন ব্যর্থ হলে সবাই ব্যর্থ হবে: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, যদি আমরা কোথাও ব্যর্থ হই, সে ব্যর্থতা আমাদের সবার। কমিশন যদি ব্যর্থ হয় তাহলে এটা সবার ব্যর্থতা হবে। সেই জায়গায় আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৪তম দিনের আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।আলী রীয়াজ বলেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, অথচ প্রত্যাশিত অগ্রগতি হচ্ছে না। অনিষ্পন্ন বিষয়গুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করে আমাদের জাতীয় সনদ তৈরির পথে এগিয়ে যেতে হবে।তিনি বলেন, বিগত কয়েক দিনের আলোচনা থেকে কাঠামোগত বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।আলোচনার মূল প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, মৌলিক বিষয়ে সবার মতামতের সমন্বয়ের মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে, কমিশন কোনো ভিন্ন সংগঠন নয় এটি রাজনৈতিক দলগুলোর সমষ্টিগত প্রয়াস। কমিশনের ব্যর্থতা মানেই আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা। আর আমাদের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই।আজকের আলোচনায় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৫ জুলাই ২০২৫ ০১:১৩ পিএম
নারীকে দমিয়ে রাখলে রাষ্ট্র পিছিয়ে যাবে: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, নারীকে যথাযথ সম্মান না দিয়ে দমিয়ে রাখলে রাষ্ট্র পিছিয়ে যাবে। সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার ১৩তম দিনের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।আলী রীয়াজ বলেন, রাজনীতিতে, সংসদে রাষ্ট্রপরিচালনায় নারীকে সম্মানজনক অবস্থায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সমতার মর্যাদায় নারীকে সম্মানিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। নারীকে যথাযথ সম্মান না দিয়ে দমিয়ে রাখলে রাষ্ট্র পিছিয়ে যাবে।তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে ১৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মোড় ঘুরানোর গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা তাদের অপমানের জবাব দিতে প্রতিবাদ মুখোর হয়েছিলো।আজকের আলোচনার বিষয় বস্তু সংসদে নারী আসন ও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট। বৈঠকের শুরুতে সূচনা বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।বৈঠকে আরও উপস্থিত আছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, জাবেদ রাসিন, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. (অব.) হাসান সোহরাওয়ার্দী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, আমার বাংলাদেশ পার্টি এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার জোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার সানী আবদুল হক, গণঅধিকার পরিষদের দফতর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ জুলাই ২০২৫ ০৪:২৬ পিএম
বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, এ সপ্তাহে তিন দিন আলোচনা হবে। এর মধ্যেই কমিশন বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটাতে চায়।রোববার (১৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার ১২তম দিনের আলোচনার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।আলী রীয়াজ বলেন, এই সপ্তাহে তিন দিন আলোচনা হবে। আমরা চাই, এর মধ্যেই কমিশন একটি যৌক্তিক অগ্রগতির জায়গায় পৌঁছাক। আমরা লক্ষ্য করেছি, ৩০ জুলাইয়ের মধ্যেই একটি কাঠামোতে আসতে হবে। বড়জোর ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় নিতে পারি।আজকের আলোচনার সূচিতে থাকছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সেগুলো হলো- প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জরুরি অবস্থা জারি। কমিশনের এই আলোচনা পর্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন। আলোচনার মধ্য দিয়ে আগামী জাতীয় সনদ ও রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তি গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে ঐকমত্য কমিশন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৩ জুলাই ২০২৫ ১২:৩২ পিএম
ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে: আলী রীয়াজ
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের গত ১৬ বছরের শাসনকে ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ। তিনি বলেছেন, ব্যক্তিতান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।আলী রীয়াজ বলেন, আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের কথা বলছি। এই লড়াই গত বছরের জুলাই থেকে শুধু নয়; গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ বলেছে, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার চাই।’ দেশের মানুষ গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শাসন মোকাবিলা করেছে, তা নয়। বাংলাদেশে একসময় একদলীয় ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে মানুষ লড়াইয়ের চেষ্টা করেছে।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই সহ-সভাপতি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন, এমন সব প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, যা ব্যক্তির ঊর্ধ্বে উঠে ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে রাষ্ট্রের স্বার্থকে সামনে রেখে জাতিকে নেতৃত্ব দেবে।এ সময় বিএনপি নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাসদের সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য আকবর খান, আহত জুলাই যোদ্ধা ফায়েজুর রহমান মনির, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়কারী মাসুদ রানা, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির আবদুল মাজেদ আতাহারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ জুলাই ২০২৫ ০৯:৩৭ পিএম
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ৩০টি রাজনৈতিক দলের আজকের সংলাপে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের ১১তম দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের বিদ্যমান ব্যবস্থা পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রপতির জন্য আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিধান বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন।”তিনি বলেন, “বর্তমানে সংবিধানে এমন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া হবে নাকি জ্যেষ্ঠ দুই জনের মধ্য থেকে কাউকে নির্বাচন করা হবে, এ বিষয়ে এখনো দ্বিমত রয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলবে।”জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ১৪১(ক) অনুচ্ছেদ নিয়েও আলোচনা হয়। অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “৭ জুলাইয়ের আলোচনায় জরুরি অবস্থা যেন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত না হয় এবং ১৪১(ক) অনুচ্ছেদের সংশোধনের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল। আজকের আলোচনায় ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগ’ শব্দটি বাতিল করে এবং জরুরি অবস্থার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের মাধ্যমে দেওয়ার বিধান সংযুক্ত করার প্রস্তাব উঠে আসে।”এ বিষয়ে আলোচনা চলবে বলে জানান তিনি।তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাও আলোচনায় উঠে এসেছে। তিনি বলেন, “প্রতিটি রাজনৈতিক দল এমন একটি পদ্ধতির পক্ষে, যা ‘কার্যত ত্রুটিমুক্ত’ এবং জনগণের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রতিফলন ঘটায়। কমিশন এ বিষয়েও আলোচনা অব্যাহত রাখবে।”আজকের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
১১ জুলাই ২০২৫ ০১:৫৩ এএম
রাষ্ট্র সংস্কারে মৌলিক বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রয়োজন: আলী রীয়াজ
রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য মৌলিক বিষয়গুলোতে এক ধরনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১১তম অধিবেশনের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।আলী রীয়াজ বলেন, গত কিছুদিনের আলোচনায় আমাদের বেশ কিছু অগ্রগতি হচ্ছে, সেটা লক্ষ্যণীয়। আলোচনায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। অনেক ক্ষেত্রে কাছাকাছি আসছি। অনেক বিষয়ে একমত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের যেটা দরকার, সেটা হচ্ছে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য মৌলিক বিষয়গুলোতে এক ধরনের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। কারণ আমাদের সকলের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য এক। সেগুলো অর্জন করার চেষ্টা করাটাই হচ্ছে আমাদের সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা।তিনি বলেন, আমরা একটা জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের কথা বলছি, যাতে করে ক্ষমতায় এক কেন্দ্রীকরণ না হয়, সেটার কথা বলছি। নাগরিকের অধিকার সুরক্ষার কথা বলছি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলছি এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যেন এমন ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, যা কোনো অবস্থাতেই এদেশে আবার কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন তৈরি করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করা। এ উদ্দেশ্যগুলোর ব্যাপারে আমরা সবাই একমত।কমিশনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যতদূর সম্ভব ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে চায় কমিশন। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, এই জুলাই মাসের মধ্যেই যেন এই কাজ সম্পন্ন করতে পারি। অনেক বিষয়ে অনেক নিষ্পত্তি হয়নি। তবে আলোচনায় অগ্রগতি হওয়ায় বিষয়গুলোতে আগামী সপ্তাহে মীমাংসার জায়গায় যেতে পারব। সেটাই লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। এর বাইরে আসলে আমাদের কারোও কোনো উদ্দেশ্য নেই। বিশেষ করে কমিশনের উদ্দেশ্য থাকার কোনো কারণ নেই।প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে কমিশন সদস্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত আছেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১০ জুলাই ২০২৫ ০৮:৩১ পিএম
সংশোধনী প্রস্তাব আনছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ
রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য ধারণ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংশোধনী প্রস্তাব আনছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।সোমবার (৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দশম দিনের আলোচনা শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।আলী রীয়াজ বলেন, কোনো কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না ঐকমত্য কমিশন। বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য ধারণ করে সংশোধনী প্রস্তাব আনছে কমিশন। যেমন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নিয়ে অধিকাংশ দলের আপত্তি থাকার কারণে সংশোধনী এনে ভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।তিনি বলেন, যাতে ভুল বোঝাবুঝি না হয় সেদিকে কমিশনের নজর আছে। আর তাই অনেক কিছু বাদ দিয়ে আলোচনায় আমরা অগ্রসর হচ্ছি।তিনি আরও বলেন, আলোচনা ইতিবাচক হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। যতটা সম্ভব বেশি সময় মিলিত হয়ে যেন দ্রুত কাজ শেষ করা যায়, সেজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।ভোরের আকাশ/এসএইচ