স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫ ০৩:৪৫ পিএম
সংগৃহীত ছবি
ক্রিকেটাঙ্গনে গেল কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় দ্বি-স্তরের টেস্ট কাঠামো। যে পরিকল্পনার মূলে রয়েছে বেশি বেশি টেস্ট ম্যাচ আয়োজন করা। যেসব দেশ লাল বলের ক্রিকেট কম খেলে, তাদেরকেও একটি নিয়মের আওতায় নিয়ে আসা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নতুন এই কাঠামোর চালুর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপও গঠন করেছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে টেস্ট ক্রিকেটে দ্বি-স্তর রীতি চালু নিয়ে। যেখানে প্রথম সারির ছয়টি এক গ্রুপে এবং বাকি ছয় দেশকে আরেক গ্রুপে রেখে টেস্ট সূচি প্রস্তুতের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এরই মাঝে অতিরিক্ত টেস্ট খেলার বিপক্ষে অবস্থান নিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী এমনকি তিনি টেস্ট ক্রিকেটের বর্তমান পদ্ধতি যেকোনো দেশকে দেউলিয়া করতে পারে বলেও সতর্কতা দিয়েছেন।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) টেস্ট ফরম্যাটে দ্বি-স্তর কাঠামো চালু করতে আলোচনার জন্য ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করেছে। এরই মাঝে নতুন কাঠামো প্রবর্তনের পক্ষে মতামত দিয়েছেন অজি সিইও গ্রিনবার্গ, টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাচের সংখ্যা কম থাকা আমাদের জন্য আশীর্বাদ, অভিশাপ নয়। বিশ্বের প্রতিটি দেশকে টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখতে হবে বলে আমি মনে করি না। আমরা জোর করে টেস্ট খেলতে বাধ্য করে আসলে কিছু দেশকে দেউলিয়া করে দিচ্ছি।
গ্রিনবার্গ ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মর্যাদাপূর্ণ অ্যাশেজ সিরিজের মতো প্রতিযোগিতায় বেশি বেশি বিনিয়োগের আহবান জানান। ২০২৫-২৬ মৌসুমে অ্যাশেজ হবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। যা শুরু হতে আর মাত্র ১০০ দিন বাকি। ইতোমধ্যে ঐতিহ্যবাহী সিরিজটি নিয়ে দুই দল প্রস্তুতি শুরু করেছে।
কয়েকদিন আগে শচীন-অ্যান্ডার সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড-ভারত। রোমাঞ্চকর ওই সিরিজ টেস্ট ক্রিকেটের সেরা দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। যা ২-২ সমতায় শেষ হয়েছিল।
অন্যদিকে, প্রায় একই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অস্ট্রেলিয়া তিনটি টেস্টই জিতেছে একপেশে দাপট দেখিয়ে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড জিম্বাবুয়েকে ইনিংসের পাশাপাশি বড় রানের ব্যবধানে হারিয়ে অনায়াসে সিরিজ জিতেছে। ফলে বড় দলের সঙ্গে এমন সিরিজ আয়োজনকে দেউলিয়া পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করলেন অজি সিইও গ্রিনবার্গ।
তার মতে, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে টেস্ট ক্রিকেট এমন জায়গায় খেলানো হয় যেখানে এর মূল্য আছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অনিশ্চয়তা আছে। এজন্যই অ্যাশেজ এত বড় আয়োজনে হয় এবং এটি লাভজনকও।
অর্থাৎ, এমন সিরিজ আয়োজনে যথেষ্ট কারণ আছে, আরও যোগ করেন গ্রিনবার্গ। টি-টোয়েন্টিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ও দ্য হান্ড্রেডের মতো সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের উত্থান টেস্ট ক্রিকেটের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যেখানে খেলোয়াড়রা ঘরোয়া ক্রিকেটেই মোটা অঙ্কের চুক্তি পাচ্ছেন এবং বিশ্ব ক্রিকেটের সূচি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
ভোরের আকাশ/তা.কা