সংগৃহীত ছবি
আগামী সংসদ নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতার জন্য তফসিলের আগেই উপদেষ্টা পরিষদ থেকে দুই ছাত্র প্রতিনিধিকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
সম্প্রতি এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দুই উপদেষ্টার ব্যাপারে আমরা আগেই বলেছি, তারা উপদেষ্টা পরিষদে থাকতে পারবেন না। ড. ইউনূসের উচিত নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে তাদের সরে যেতে বলা। না হলে প্রশ্ন উঠবেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার পরও রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভক্ত মতামতের কারণে ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর বিভাজন এবং নিষিদ্ধ দলগুলোর সক্রিয়তা- এই দুই বিপরীতমুখী অবস্থান পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলছে ।
ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছে। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা তাদের জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এমন তৎপরতা প্রতিরোধ করা হবে এবং এই দল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা যেসব কথা বলছেন, সেগুলো আওয়ামী লীগের জন্যই ক্ষতিকর। তার উচিত ছিল ভুল স্বীকার করে ভালো মানুষদের রাজনীতিতে এগিয়ে দেওয়া।
নির্বাচনকালীন সরকারে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা চাই তিনি নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনা করুন, কিন্তু তার জন্য কিছু বিতর্কিত উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিতে হবে।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
ঢাকায় নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।দলীয় সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ ও জার্মানির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারত করেছেন।বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার পর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে তিনি রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জিয়া উদ্যানে যান। সেখানে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন তিনি।বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিষয় বিবেচনায় দীর্ঘদিন জনসম্মুখে উপস্থিত হননি। ২০১৮ সালে কারাবন্দি হওয়ার আগে সর্বশেষ তিনি স্বামীর সমাধিতে গিয়েছিলেন।এদিনের এই সফরকে বিএনপি নেতাকর্মীরা দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক পুনরুত্থানের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। ৫ আগস্টের পর এটাই প্রথমবারের মতো কোনো পারিবারিক বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজের বাইরে বাইরে বেরোলেন খালেদা জিয়া।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সাইদানি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াতের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।রাষ্ট্রদূত বৈঠকের শুরুতেই জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং তার দ্রুত ও পূর্ণ সুস্থতা কামনা করেন। বৈঠকে তারা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক—বিশেষ করে গণতন্ত্র টেকসইকরণ, বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ দুই দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বেগবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পাঁচ দফা গণদাবি আদায়ের লক্ষ্যে দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। আগামী শুক্রবার (১০ অক্টোবর) গণমিছিল এবং রোববার (১২ অক্টোবর) সব জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেবে দলটি।বুধবার (৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এসব কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা বরাবরই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সরকার যদি জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ৫ দফা গণদাবি উপেক্ষা করে এবং তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করে- তাহলে জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরও জোরদার করতে বাধ্য হবে।তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ১০ অক্টোবর রাজধানী ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সকল বিভাগীয় শহরে গণমিছিল এবং ১২ অক্টোবর সকল জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি পেশ করা হবে। দুই কর্মসূচি ব্যাপকভাবে সফল করে জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫-দফা গণদাবি বাস্তবায়নে সরকারকে বাধ্য করার জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ