দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ছাত্র উপদেষ্টাদের রাজনীতিতে আসার প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, তারা যদি রাজনীতি করতে চায়, নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তারা সরকারের থেকে সেটা পারবে না। তখন তারা সরকার থেকে বের হয়ে তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।
নাহিদ বলেন, তারা (দুই ছাত্র উপদেষ্টা) গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময়ে সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাদের সঙ্গে ছিলাম। তারা যদি রাজনীতি করতে চায়, নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তারা সরকারের থেকে সেটা পারবে না।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক-এগারোর আভাস লক্ষ্য করছি। দেশের জনগণ যে আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন, সেটি ব্যর্থ হওয়ার লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা, নির্বাচন, সংস্কার ও বিচারসহ প্রতিটি বিষয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আখতার।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।শনিবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।ছাত্র উপদেষ্টাদের রাজনীতিতে আসার প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, তারা যদি রাজনীতি করতে চায়, নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তারা সরকারের থেকে সেটা পারবে না। তখন তারা সরকার থেকে বের হয়ে তাদের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।নাহিদ বলেন, তারা (দুই ছাত্র উপদেষ্টা) গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সেই সময়ে সরকারে গিয়েছিলেন। আমিও তাদের সঙ্গে ছিলাম। তারা যদি রাজনীতি করতে চায়, নির্বাচন করতে চায়, তাহলে তারা সরকারের থেকে সেটা পারবে না।এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক-এগারোর আভাস লক্ষ্য করছি। দেশের জনগণ যে আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন, সেটি ব্যর্থ হওয়ার লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি।তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা, নির্বাচন, সংস্কার ও বিচারসহ প্রতিটি বিষয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আখতার।সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই আন্দোলনের অংশীদারদের ফের ঐক্যবদ্ধ করতে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে জুলাই ঐক্য। আগামীকাল রোববার (২৫ মে) শাহবাগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (২৩ মে) জুলাই ঐক্যের সংগঠক এক সংবাদ সম্মেলনে এবি জুবায়ের এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।এবি জুবায়ের বলেন, ২৫ মে বিকেল সাড়ে ৩টায় জুলাইয়ের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে ভারতীয় ষড়যন্ত্র রুখে দিতে শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজিত হবে।এছাড়া শনিবার (২৪ মে) থেকে আগামী শুক্রবার (৩০ মে) পর্যন্ত সারাদেশে থাকা জুলাইয়ের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে অনলাইন এবং অফলাইনে ক্যাম্পেইন করা হবে। ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যাবে প্রতনিধি দলটি। বিএনপির প্রেস উইং থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।এর আগে শুক্রবার রাতে বৈঠকের আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।বিএনপি মহাসচিব চিকিৎসার জন্য বর্তমানে থাইল্যান্ডে রয়েছেন। এজন্য দলের স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রতিনিধি দলে আমীর খসরু মাহমুদ, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যেই বিএনপি একাধিকবার সরকারপ্রধানের সাক্ষাৎ চেয়ে পায়নি বলে খবর বের হয়। এর মধ্যেই শুক্রবার রাতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠকের শিডিউল ঠিক করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। আজ সন্ধ্যায় দুই দলের সঙ্গে পৃথক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দেশের সেনাপ্রধানের বক্তব্য এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ ইস্যু নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। একই ইস্যুর ওপর সরকার এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের পদত্যাগের জল্পনা বেড়েছিল এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কথায়।আর ফেসবুকে ‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না’- পোস্ট দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মুছে ফেলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দায়িত্বশীল অনেকের ঐকমত্যের আহ্বানমূলক বক্তব্যের কয়েক লাইন পরেই সাংঘর্ষিক ও বিরোধিমূলক কথা চলে এসেছে। স্পর্শকাতর বিষয়ে দেয়া বক্তব্য কয়েক ঘণ্টা পর মুছে ফেলার ঘটনাও ঘটছে। ফলে দায়িত্বশীলদের বক্তব্যে জনসাধারণের আস্থা ও বিশ্বাস রাখার ক্ষেত্রে মারাত্মক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। যা রাষ্ট্র ও সরকার সম্পর্কে জনমনে ভ্রান্ত ধারণার জন্ম দিচ্ছে।ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত বছর ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ভারতে চলে যাওয়ার তিন দিন পর ৮ অগাস্ট নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এর সাড়ে নয় মাস পর নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও অভ্যুত্থানের নেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভিন্ন অবস্থান এবং ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ পড়ানো নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষই কিছু উপদেষ্টাদের পাল্টাপাল্টি পদত্যাগ দাবি করে। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার মধ্যে সেনানিবাসে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন, মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দরসহ আরও কিছু ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেন। এমন প্রেক্ষাপটে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের গুঞ্জনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যান নাহিদ; যিনি এনসিপির দায়িত্ব নিতে গত ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নাহিদের পর সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন।‘অধ্যাপক ইউনূস পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’ : নাহিদ ইসলামবাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন, এমন খবর পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। বিবিসি বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাহিদ ইসলাম।তিনি বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারের তো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম।’প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না, এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি...যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর। দেশের পরিবর্তন, সংস্কার...। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমি তো এভাবে কাজ করতে পারব না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’এই আলোচনার পরে প্রধান উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে জানিয়েছেন ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’ তিনি। ‘উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবতেছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এ রকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না,’ বলেন নাহিদ ইসলাম।পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন উনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়...সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’আলোচনায় ফয়েজ তৈয়্যবের পোস্ট ও মুছে ফেলার ঘটনা : প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে অস্পষ্টতা এবং রাজনীতির টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে ফেইসবুকে এক পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পর আবার তা সরিয়ে নিয়েছেন বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তবে তার আগেই বিষয়টি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার সেই ফেইসবুকে পোস্টের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন অনেকে।বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদ থেকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের জল্পনা বেড়েছিল এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কথায়। কিন্তু জল্পনার মুখেই তার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, ইউনূস পদত্যাগ করবেন না। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন। সেখানেই এ কথা স্পষ্ট করেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সেই ফেসবুক পোস্ট ডিলিট করে দেন। শুধু তাই নয়, তার সেই পোস্ট নিয়ে কোনো খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে অন্য একটি পোস্ট করেন। আগের পোস্টটি একান্তই তার ‘ব্যক্তিগত মতামত’ ছিল বলেও দাবি করেন ফয়েজ।ফয়েজ ডিলিট করা পোস্টে লিখেছিলেন, ‘সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি।’প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও লিখেছেন, ‘তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, আওয়ামী লিগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা, সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।’গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পাতায় ওই পোস্ট দেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। কিন্তু বিকাল থেকে সেই পোস্ট আর দেখা যাচ্ছে না।বিভাজনমূলক বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন মাহফুজ আলম : তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিভাজনমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন।‘ব্যক্তির আদর্শ, সম্মান ও আবেগের চেয়ে দেশ বড়’ শিরোনামের ওই পোস্টে উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য। আগেকার যে কোনো বক্তব্য ও শব্দচয়ন, যা বিভাজনমূলক ছিল- সেগুলোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’তিনি বলেন, ‘সরকারে আর এক দিন থাকলেও অভ্যুত্থানের সব শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করতে চাই। পুরাতন বন্দোবস্তের বিভেদকামী স্লোগান ও তকমাবাজি, যা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে হত্যাযোগ্য করে তোলে, সেগুলো পরিহার করলেই আশা করি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।’মাহফুজ আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের শত্রুরা ঐক্যবদ্ধ ও আগ্রাসী। সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে। দেশপ্রেমিক জনগণ যারা জুলাই অভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন, তাদের সামনে দীর্ঘ পরীক্ষা। এ পরীক্ষা ঐক্যের ও ধৈর্যের। এ পরীক্ষা উতরে যেতেই হবে।’প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব : হাসনাতঅন্তর্বর্তী সরকারে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করা স্বাভাবিক বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একই সঙ্গে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে আরেকটি ওয়ান-ইলেভেনের পথ তৈরি হচ্ছে কিনা- সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত। গত বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি।ফেসবুক পোস্টে হাসনাত বলেন, ‘এনসিপিকে নির্বাচনবিরোধী আখ্যা দিয়ে সচেতনভাবেই এক ধরনের কলঙ্ক দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ছাত্র উপদেষ্টারা দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে চায়-এমন গুজব ছড়িয়ে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করার নানা কার্যক্রমও চলমান। এই চক্রান্ত কয়েকটি দিক থেকে পরিচালিত হচ্ছে।’ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন, করিডোরসহ বিভিন্ন বিষয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্যের বিষয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের সাব-কনশাস মাইন্ডে আর্মিকে রাজনৈতিক সালিসের ক্ষমতা দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অথচ বিএনপি ঐতিহাসিকভাবে সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ভুক্তভোগী একটা দল।আমরা এখনো ওয়ান-ইলেভেনের ইতিহাস ভুলে যাইনি, এখনো তারেক রহমানের নির্যাতনের ঘটনা আমাদের স্মরণে রয়েছে। সেনাবাহিনী আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সদা সতর্ক পাহারাদার।দেশের প্রয়োজনে, সার্বভৌমত্বের প্রয়োজনে, আমরা প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব।’আফসোস করে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেছেন, আমাদের না আছে মরার ভয় না আছে হারানোর কিছু। একমাত্র আফসোস, গণতান্ত্রিক রূপান্তর আর এদেশের মানুষের ভাগ্য কোনোটাই ইতিবাচক পথে যাবে না আরকি।গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন। উপদেষ্টা লেখেন, BAL (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), North & Delhi (উত্তর এবং দিল্লি) জোটভুক্ত হয়ে যে কুমির ডেকে আনছেন তা আপনাদেরই খাবে। You are not one of them—just co-opted temporarily (তুমি তাদের একজন নও-শুধু সাময়িকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে)।ফেসবুক পোস্টে উপদেষ্টা লেখেন, স্বপ্ন দেখে স্বপ্নভঙ্গের কষ্টই বোধহয় এদেশের ভাগ্য।ভোরের আকাশ/এসএইচ