নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৫ ১১:২২ পিএম
আগে জুলাই সনদ, পরে নির্বাচনের তারিখ: নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদ কার্যকর হওয়ার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না। জুলাই সনদ ঘোষণার আগে যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়, তাহলে সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী ৫ আগস্ট আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হবে। এটি আমরা উদযাপন করতে চাই।
তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছে আমরা তাদের প্রতি এবং সরকারের প্রতি আহ্বান রেখেছি। ১৬ বছর অপেক্ষা করেছি, ১০ মাস অপেক্ষা করেছি, আরও দুই মাস যেন অপেক্ষা করি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং সরকারকে সময় দেই। এ দুই মাসের মধ্যে আমরা জুলাই সনদ রচনা করে ফেলি।
তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের পরই সরকার যেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য ৩০ কার্যদিবস ছিল, সেটা অনেক কার্যদিবস হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা কোনো ধরনের পদক্ষেপ দেখছি না। আমরা আহ্বান জানিয়েছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়িত হয়। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, নির্বাচন কমিশন আইন সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা উচিত।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সকল রাজনৈতিক দল মিলে এই দুই মাসের মধ্যে জনগণের ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশে শাসন ব্যবস্থার মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা হিসেবে জুলাই সনদ তৈরি করা উচিত। জুলাই সনদ হওয়ার পরেই আমরা চাই সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুক। সেই সময়েই আমরা আমাদের দলের অবস্থান স্পষ্ট করব, আমরা কখন নির্বাচন চাই।
তিনি বলেন, সবশেষে আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রসঙ্গ তুলেছি। আগেও বলেছি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট আইন সংস্কার অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন নিয়ে মানুষের আস্থা নেই, নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণও দেখেছি, নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের বিষয়টি সরকারকে বিবেচনা করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজকের বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস; জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ