সংগৃহীত ছবি
ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত ইসলামী দল নিয়ন্ত্রণের মতো এখন দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে রুকন সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আমিরে জামায়াত বলেন, জামায়াতে রাজনীতি হবে মানুষ ও মানবতার কল্যাণে। জামায়াত নেতাদের কোন বেগম পাড়া বা পিসি পাড়া নেই।
গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের একজন নাগরিকের প্রতিও জামায়াত ইসলামী অবিচার করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলাম ও দেশপ্রেমিক সকলকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে চায় জামায়াত। গত ১৫ বছর বিচারের নামে যে প্রহসন দেখেছে দেশ, সে ব্যবস্থার অবসান চায় জামায়াত।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে দলের মতো দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলে দাবি করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তার ভাষায়, ‘দলকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তেমনিভাবে দেশও নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।এসময় জামায়াত আমির আরও দাবি করেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর কোনো নেতার বেগমপাড়া কিংবা পিসি পাড়া নেই। আমাদের কেউ পালায়নি, পালাবেও না।’শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই জামায়াত নেতারা সংকটের সময় পালিয়ে না গিয়ে বরং দেশে ফিরে এসে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশত্যাগ করে বিদেশে দ্বিতীয় ঠিকানা বানানোর মতো কোনো নেতা জামায়াতে নেই।’তিনি বলেন, ‘যারা দেশকে ভালোবাসে না, তারাই ব্যক্তিস্বার্থে বেগমপাড়া বানিয়ে সরে পড়েছে। অন্যদিকে জামায়াতের নেতাকর্মীরা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তাদের বিচারিক হত্যাও ঘটেছে।’বিগত ৫৪ বছরে জামায়াত কোনো নাগরিকের প্রতি অবিচার করেনি দাবি করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতের কোনো নেতাকর্মী চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত নয়। থাকবেও না। আমরা দল পরিচালনায় যেমন শৃঙ্খলাবদ্ধ, তেমনিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনাও করতে পারব। যারা নিজেদের দলই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা দেশেরও নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হবে।’ইসলামকে পৃথিবীর একমাত্র অসাম্প্রদায়িক ধর্ম উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, ‘ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, ধর্ষক, খুনি ও লুটেরাদের ভয় থাকবে। এজন্যই তারা আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র মানে নারীদের চলাচলের ওপর কোনো বিধিনিষেধ নয়।’তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘যেখানে ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত পরিবারের মা-বোনেরা বাজারে যেতে পারেন, হাসপাতালে যেতে পারেন, মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে পারেন, সেখানে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে কেন নারীদের স্বাধীনতায় বাধা আসবে?’তার ভাষায়, ‘রাষ্ট্র কোনো ধর্ম বা লিঙ্গভেদ করতে পারে না। ইসলামিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় নারী-পুরুষ, মুসলিম-অমুসলিম সব নাগরিক সমান মর্যাদার অধিকারী হবে। জামায়াত একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে চলতে চায়, যেখানে থাকবে না বৈষম্য বা জুলুম।‘অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী আগামী দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশের মানুষের কল্যাণে আমরা ইতোমধ্যে ব্যাপকভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’তিনি জানান, ‘জামায়াতের চলমান রাজনৈতিক অগ্রযাত্রা কোনো ষড়যন্ত্রে থেমে যায়নি, যাবে না। একইসঙ্গে তিনি একটি আধুনিক, মানবিক ও কল্যাণভিত্তিক রাষ্ট্র নির্মাণে দলটির নেতৃত্বে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।সম্মেলন পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি অভিজ্ঞতার অভাব থাকায় অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে। নির্বাচিত সরকার না হওয়ায় দেশের নানা সংকটে তারা দায় এড়াতে পারছে। নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে সরকার নানা ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়বে।গতকাল শুক্রবার মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান আনিকার পরিবারকে সহমর্মিতা জানাতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।গয়েশ্বর বলেন, সরকার (সরকারের কার্যক্রম) দৃশ্যমান না। নির্বাচিত সরকার না হওয়ায় দেশের নানা সংকটে তারা দায় এড়াতে পারছে। নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে সরকার নানা ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়বে এবং সংকট সৃষ্টি হবে। এ সময় বিমান দুর্ঘটনার চার দিন পার হলেও বিমানবাহিনী এখন পর্যন্ত কোনো দায়দায়িত্ব না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।তিনি আরও বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর গুলিস্তানে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবনটি নতুন উদ্যোগে সাজানো হচ্ছে। দীর্ঘ এক বছর পরিত্যক্ত থাকার পর ভবনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। ভবনের পুরোনো ব্যানার সরিয়ে সেখানে টানানো হয়েছে নতুন দুটি ব্যানার— 'আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট' নামে।গত বুধবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া পরিষ্কারের কাজ বৃহস্পতিবারও (২৪ জুলাই) চলমান ছিল। দেখা গেছে, ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি পুরো ভবনজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। ভবনের দোতলা ও তৃতীয় তলার জমে থাকা আবর্জনা ও ইট-বালির স্তূপ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এর আগের দিন নিচতলাও পরিষ্কার করা হয়েছে।কর্মরত ব্যক্তিরা জানান, পুরো ভবন পরিষ্কার করার পর এটি হস্তান্তর করা হবে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্তদের” হাতে। ভবনটিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য অফিস চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে।তবে ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ ব্যানার নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। তারা জানান, ভবনের কোন তলায় কী কার্যক্রম চলবে, তা ছাত্র-জনতা পরবর্তীতে ঠিক করবেন।উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান’ চলাকালে ভবনটিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। এরপর থেকেই কার্যালয়টি কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। দখল হয় ছিন্নমূল মানুষের, ব্যবহৃত হতে থাকে শৌচাগার ও আড্ডাস্থল হিসেবে। মলমূত্র ও আবর্জনার কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র দুর্গন্ধ, যা পথচারীদের জন্য ছিল অত্যন্ত কষ্টদায়ক।এর মধ্যে কয়েক মাস আগে ভবনটিতে ‘জুলাইযোদ্ধার প্রধান কার্যালয়’ নামক ব্যানার টানানো হলেও কোনো কার্যকর পরিবর্তন দেখা যায়নি। এবার ব্যানার বদলে এবং পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে ভবনটি নতুনভাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।প্রসঙ্গত, গুলিস্তানের এই ভবনটি আওয়ামী লীগের পুরোনো কার্যালয় ভেঙে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। ১০ তলাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ভবনটি ২০১৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ভোরের আকাশ//হ.র
নতুন সংবিধান, বিচার ও সংস্কারের দাবিতে রাজপথে নেমেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শুক্রবার বিকেলে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে সিলেটের শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে এমন দাবি জানান দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “নতুন সংবিধানের জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি। এমন একটি সংবিধান চাই, যেখানে আপনার-আমার অধিকার থাকবে, সিলেটের মানুষের মর্যাদার সুরক্ষা থাকবে।”তিনি আরও জানান, আগামী ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে আবারও সমবেত হবেন তারা। উদ্দেশ্য, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ ও ‘জুলাই সনদ’ আদায়ের আন্দোলনকে আরও জোরালো করা। তাঁর কথায়, “ইনশাআল্লাহ, শহীদ মিনার থেকেই আমরা এই দাবিগুলো আদায় করবো।”সিলেটের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, “এই অঞ্চল থেকে ইসলামের সম্প্রীতি ও ইনসাফের বাণী সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বহুজাতি ও বহু সংস্কৃতির এই অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সম্মান জানিয়ে আমাদের এগোতে হবে।”তিনি উল্লেখ করেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম— প্রতিটি পর্বেই সিলেটের মানুষ বুক চিতিয়ে লড়েছে। এমনকি সাম্প্রতিক জুলাই অভ্যুত্থানেও সিলেট ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।প্রবাসী সিলেটিদের অবদান নিয়েও কথা বলেন এনসিপি আহ্বায়ক। তিনি বলেন, “লন্ডনে বাংলাদেশের বড় একটি অংশ সিলেটিরা। তারা লন্ডনকে জয় করেছে, বাংলাদেশকে জয় করেছে। আজ লন্ডনের মসজিদ, স্কুল, রেস্টুরেন্ট ও রাস্তায় তাদের ঘামের বিনিময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি সচল। সেইসব প্রবাসী ভাইদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে আমরা সোচ্চার।”এনসিপির এই কর্মসূচিকে ঘিরে সিলেটের শহীদ মিনার চত্বরে জমায়েত হয় দলটির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। বক্তারা সবাই বিচার, মানবাধিকার ও নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।ভোরের আকাশ//হ.র