নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫ ০১:০২ এএম
আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন রূপে ফেরার প্রস্তুতি, চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ
রাজধানীর গুলিস্তানে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবনটি নতুন উদ্যোগে সাজানো হচ্ছে। দীর্ঘ এক বছর পরিত্যক্ত থাকার পর ভবনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়েছে। ভবনের পুরোনো ব্যানার সরিয়ে সেখানে টানানো হয়েছে নতুন দুটি ব্যানার— 'আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট' নামে।
গত বুধবার (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া পরিষ্কারের কাজ বৃহস্পতিবারও (২৪ জুলাই) চলমান ছিল। দেখা গেছে, ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি পুরো ভবনজুড়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। ভবনের দোতলা ও তৃতীয় তলার জমে থাকা আবর্জনা ও ইট-বালির স্তূপ সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এর আগের দিন নিচতলাও পরিষ্কার করা হয়েছে।
কর্মরত ব্যক্তিরা জানান, পুরো ভবন পরিষ্কার করার পর এটি হস্তান্তর করা হবে “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্তদের” হাতে। ভবনটিতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের জন্য অফিস চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে।
তবে ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’ ব্যানার নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। তারা জানান, ভবনের কোন তলায় কী কার্যক্রম চলবে, তা ছাত্র-জনতা পরবর্তীতে ঠিক করবেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান’ চলাকালে ভবনটিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। এরপর থেকেই কার্যালয়টি কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। দখল হয় ছিন্নমূল মানুষের, ব্যবহৃত হতে থাকে শৌচাগার ও আড্ডাস্থল হিসেবে। মলমূত্র ও আবর্জনার কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র দুর্গন্ধ, যা পথচারীদের জন্য ছিল অত্যন্ত কষ্টদায়ক।
এর মধ্যে কয়েক মাস আগে ভবনটিতে ‘জুলাইযোদ্ধার প্রধান কার্যালয়’ নামক ব্যানার টানানো হলেও কোনো কার্যকর পরিবর্তন দেখা যায়নি। এবার ব্যানার বদলে এবং পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে ভবনটি নতুনভাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, গুলিস্তানের এই ভবনটি আওয়ামী লীগের পুরোনো কার্যালয় ভেঙে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। ১০ তলাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ভবনটি ২০১৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভোরের আকাশ//হ.র