মৌলভীবাজারে দেওয়ান মতলিবের কবর জিয়ারত করলেন আমীরে জামায়াত
মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সাবেক সদস্য দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিব বাসায় পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় আমীরে জামায়াত শহরের শাহ মোস্তফা রোডস্থ দেওয়ান মঞ্জিলে মরহুম সিরাজুল ইসলাম মতলিবের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজ খবর নেন। মরহুমের দশ সন্তানের ৯ জন প্রবাসী। বাবার মৃত্যুতে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে দেশে এসেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মরহুমের বড় ছেলে দেওয়ান শরীফুজ্জামান, দেওয়ান কামরুজ্জামান শিবলী , দেওয়ান মাশকুরুজ্জামান, দেওয়ান মুয়াজ উজ্জামান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জেলা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার শাহেদ আলী, সাবেক জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য আব্দুল মান্নান, জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইয়ামীর আলী, প্রবাসী দায়িত্বশীল সুলতান আহমদ ও জালাল আহমদ, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আলা উদদীন শাহ, মাওঃ হারুনুর রশীদ তালুকদার, আজিজ আহমদ কিবরিয়া, ছাত্র শিবির জেলা সভাপতি নিজামুদ্দিন, জেলা সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পরিবারের সদস্যদের সাথে অত্যন্ত আবেগঘন এ সাক্ষাৎ শেষে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান মরহুম দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিবের গ্রামের বাড়ী সদর উপজেলার গিয়াস নগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে ছুটে যান, মরহুমের কবর জিয়ারত করে উপস্থিত শত শত মানুষদের নিয়ে আন্দোলনের দীর্ঘদিনের সাথী মরহুম দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম মতলিবের সংগ্রামী জীবনের স্মৃতি স্মরণ করে কান্না জড়িত কন্ঠে মোনাজাত পরিচালনা করেন।
আমীরে জামায়াত কে দেখতে বাড়িতে আসা এলাকার মানুষদের সালাম বিনিময় করে সকলের নিকট দোয়া চেয়ে বিদায় গ্রহণ করেন। শেষে আপনজনদের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য যে, আমিরে জাময়াত সকাল ১১টায় কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণ বাজার ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের নাফিজা জান্নাত আনজুম মর্মান্তিক হত্যাকান্ডে মরহুমার, পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ফেনী জেলার সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মাদক, ঔষধ ও কসমেটিকস সামগ্রী জব্দ করেছে ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি)।শুক্রবার (২৭ জুন) ফেনী জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় টহল দল এ অভিযান পরিচালনা করে। বিজিবির দাবি, জব্দকৃত পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯০ টাকা।বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ এবং সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জব্দকৃত ভারতীয় মাদক, ঔষধ ও অন্যান্য সামগ্রী স্থানীয় কাস্টমসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোশাররফ হোসেন বলেন, “সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ এবং অবৈধ কর্মকাণ্ড ঠেকাতে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবির কঠোর নীতি আগামীতেও বজায় থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, আমরা পরিষ্কার বার্তা পেয়েছি তারেক রহমানের কাছে থেকে দলের ভিতরে কোন ধরনের অনিয়ম, শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ ও চাঁদাবাজি-দখলবাজির কোন জায়গা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে নেই।শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা মডেল মসজিদ হলরুমে ঈদ পরবর্তী দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।যারা এটা করার চেষ্টা করবেন তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। তাদেরকে আইন শৃঙ্খলার হাতে তুলে দেওয়া হবে। আমরা একটি দুর্নীতি মুক্ত, একটি সুশৃঙ্খল বাংলাদেশের জন্য আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল কোন ধরনের হটকারী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কোন ধরনের দখলবাজি -চাঁদাবাজির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশ জাতীয় দল উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল।যে রাজনৈতিক দলটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।আহমেদ আযম খান বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান একটি দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। গত সাড়ে ১৫ বছরে আমরা রাজপথে রক্ত ও জীবন দিয়েছি। আমরা রাজপথ ছাড়ি নাই। শেষ পর্যন্ত ১৫ বছরের এই রক্তাক্ত আন্দোলন গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক দল সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণে আমরা সফলতা পেয়েছি। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান ত্যাগের কারণে আমরা জুলাই-আগস্টকে চিরদিন স্মরণ রাখতে চাই। সেইজন্যই আমরা এই জুলাই-আগস্ট পালন করার জন্য ৩৬ দিনের কর্মসূচি কেন্দ্র থেকে দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঘোষিত হয়েছে। আমরা এই ৩৬ দিন পালন করব।এই অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়েই গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য আগমী নির্বাচন যাতে করে জনগণের অংশ গ্রহণে একটি সফল-অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেই জন্য আমরা কাজ করব।তিনি আরও বলেন,সংস্কার ধীর গতিতে হচ্ছে অথবা দ্রুত গতিতে হচ্ছে, সেই বিষয়টার চেয়েও বড় কথা হলো এই সংস্কারকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সংস্কার ছাড়া এই যে অতীতের ফ্যাসিবাদের জরার্জীণ বাংলাদেশ। উন্নত বাংলাদেশে অগ্রযাত্রায় যেতে হলে আমাদের অবশ্যই সংস্কার প্রয়োজন। এই জন্য আমরা বলেছি আমাদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় আমাদের নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার সব কিছু চলমান থাকবে। সংস্কার যেটুকু সম্ভব সরকার চালিয়ে নিচ্ছেন। আমরা সমগ্র জাতি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। নির্বাচন হবে, নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার আসবে এই সংস্কার চলবে ও ফ্যাসিবাদের বিচার হবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, বিআরডিবির চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী খানসহ প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ
টাঙ্গাইল শ্রীশ্রী কালীবাড়ির আয়োজনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রার উৎসব শুরু হয়েছে।শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে টায় শ্রী শ্রী বড় কালীবাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন শহর প্রদক্ষিণ করে। শোভা যাত্রার উদ্বোধন করেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি শ্যামল হোড়।প্রধান অতিথি ছিলেন উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। আরো উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসিনুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পদক ফরহাদ ইকবাল. সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, শ্রী শ্রী কালীবাড়ি কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি স্বপন ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবন কৃষ্ণ চৌধুরী, রথযাত্রা উদযাপন কমিটির আহবায়ক অমল ব্যানার্জী, যুগ্ম আহবায়ক রিপন কুমার সরকার প্রমুখ।এতে সকল বয়সী নারী-পুরুষ আনন্দসহকারে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে শ্রী শ্রী বড় কালীবাড়ি প্রাঙ্গণে পুজা অর্চনা, রথটান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিপুল সংখ্যক হিন্দু নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয় শ্রী শ্রী বড় কালীবাড়ি প্রাঙ্গণ।আগামী ৫ জুলাই শনিবার উল্টো রথটানের মধ্যদিয়ে এ উৎসবের সমাপ্ত হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
আলোচিত-সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে।শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টায় অচেতন অবস্থায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন তার বন্ধু। তবে চিকিৎসক বলেছেন হিরো আলম শঙ্কামুক্ত রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হিরো আলম বগুড়া থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় উপজেলার যমুনা নদীর তীরে ভান্ডারবাড়ি গ্রামে তার বন্ধু নাট্যকর জাহিদ হাসান সাগরের বাড়ি বেড়াতে আসেন। রাতে দুই বন্ধুর মধ্যে রিয়া মনিকে নিয়ে অনেক আলাপ আলোচনা হয়। তারপর দুই বন্ধু পৃথক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর শুক্রবার বেলা ১১টায় হিরো আলমকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে পারেননি তার বন্ধু।এ সময় হিরো আলমের বালিশের পাশে ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তার বন্ধু জাহিদ হাসান সাগর তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।এ বিষয়ে হিরো আলমের বন্ধু জাহিদ হাসান সাগর বলেন, হিরো আলম রাতে আমার বাড়িতে বেড়াতে এসে রিয়া মনিকে নিয়ে অনেক হতাশার কথা বলেন। হিরো আলম জানান, যেখানে যান সেখানে লোকজন তাকে বিরক্ত করেন। নানান প্রশ্ন করেন।একটু নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য আমার বাড়িতে এসেছেন। আমার ধারণা রিয়া মনিকে না পাওয়ার হতাশা থেকেই সে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আমি তাকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছি। ধুনট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ঘুমের ওষুধ সেবন করে হিরো আলম অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু তার লোকজন এখান থেকে তাকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন না। তবে হিরো আলম শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।ভোরের আকাশ/জাআ