ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের লক্ষ্যে চালু হওয়া ক্রাশ প্রোগ্রামে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৬২টি আবেদন এরই মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার হোসেন।
বুধবার (২ জুলাই) সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এনআইডি সংশোধনের ক্রাশ প্রোগ্রাম নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, প্রতি মাসে নাগরিকদের এনআইডি সংশোধন নিয়ে আবেদনও কমে আসছে। ভোগান্তির মাত্রাও কমে এসেছে। আশা করি আগামীতে এনআইডি সেবা নিয়ে আর হয়রানির অভিযোগ থাকবে না।
সচিব জানান, চলতি বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারিতে এনআইডি সংশোধনের অনিষ্পন্ন আবেদন ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৬টি, ৩০ জুন পর্যন্ত ছয় মাসে নতুন আবেদন পড়ে ৬ লাখ ৫ হাজার ৫২০টি। সব মিলিয়ে ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬টি আবেদনের মধ্যে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রামে’ নিষ্পন্ন করা হয়েছে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৬২টি। প্রতি মাসে আগে যেখানে গড়ে এক লাখ করে আবেদন পড়ত, এখন তা কমে এসে প্রায় ৮০ হাজারে নেমেছে। বর্তমানে অনিষ্পন্ন আবেদন রয়েছে ৭৬ হাজার ৬৯৪টি।
তিনি আরও জানান, এনআইডি সংশোধনকে ঘিরে বরাবরই নাগরিকদের নানা ধরনের হয়রানি ও দুর্ভোগের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বর্তমান ইসির উদ্যোগে তা ধীরে ধীরে কমে আসছে। এনআইডি আবেদনের ক্ষেত্রে সংশোধনের মাত্রা দেখে চারটি ক্যাটাগরি করে দিয়েছে ইসি সচিবালয়। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিপূরণ, দলিলাদি যথাযথ কিনা যাচাই, শুনানি করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশোধন করে দেওয়া হয়। ২০২০ সাল থেকে ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার ১১টি আবেদন হয়েছে। সেক্ষেত্রে চার ক্যাগাটরিতে আবেদন নিষ্পন্ন হয়েছে ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪২০টি।
নির্বাচন কমিশনারদের এনআইডি লক আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আমি আমারটা বলেছি। ডিজি (এনআইডি) সাহেব উত্তর দিবে কেন? আমার উত্তর আমি দিচ্ছি। ডিজি সাহেবকে দিয়ে যাচাই করার কি আছে তার মানে আমার কথার সত্যতা আপনার কাছে নাই। আমি আমারটা বলছি। ব্যক্তি পর্যায়ে তথ্য নেওয়া উচিত না।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর, এনআইডি পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, এনআইডি পরিচালক (পরিচালনা) মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ডাক বিভাগকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করে যুগোপযোগী করতে কাজ করছে। কেবল সেবা প্রদানে সীমাবদ্ধ না থেকে এটি স্থানীয় অর্থনীতির কার্যকর ওয়ান স্টপ সেন্টার হবে বলে আমি আশা করি।আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ডাক দিবস’ যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগকে আমি অভিনন্দন জানাই।‘ডাক বিভাগ কেবল একটি সরকারি পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নয়’ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটি আমাদের সমাজের একটি অন্যতম প্রাচীন এবং বিশ্বস্ত সামাজিক প্রতিষ্ঠানও বটে। বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে ডাকঘর সমাজের সর্বশেষ প্রান্তিক মানুষটির কাছেও পৌঁছানোর ক্ষমতা রাখে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে, ডাকঘরগুলোকে শুধুই বার্তা আদান-প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে সীমিত না রেখে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রূপান্তর করা প্রয়োজন।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান বলেন, ডাকঘরগুলোকে কমিউনিটি-ভিত্তিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে সেখানে ই-কমার্স সহায়তা, ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য পরিবহন ও বিপণন এবং কৃষক ও প্রান্তিক জনগণের জন্য তথ্য বিনিময়ের মতো বহুমুখী সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবর্তনের যাত্রায় প্রধান উপদেষ্টা ডাক বিভাগের সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সমগ্র দেশবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার অন্যতম বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার জাহান।তিনি জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে। চিকিৎসকরা তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক শনাক্ত করেন। পাশাপাশি তিনি ফুসফুসের সংক্রমণেও ভুগছিলেন। বুধবার বিকেলে রিং পরানোর জন্য অস্ত্রোপচারে নেওয়া হলে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটে। পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পারিবারিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।ড. তোফায়েল আহমেদ স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি দীর্ঘ কর্মজীবনে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা বিকাশ, নীতি প্রণয়ন ও সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার মৃত্যুতে স্থানীয় সরকার গবেষণা ও প্রশাসন অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের বিভিন্ন দেশের ভিসা প্রক্রিয়া জটিল হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সরকার ‘সচেতন ও উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।সোমবার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমরা অনেক সময় নকল বা ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করি। পাশাপাশি ইরেগুলার মাইগ্রেশনের সংখ্যাও বেশি। এ কারণে আমাদের রেপুটেশন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ভিসা পাওয়া জটিল হয়ে গেছে। আমাদের আগে ঘর গোছাতে হবে, তারপরই সমস্যার সমাধান হবে।”তিনি আরও জানান, ভিসা নিয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোর শিক্ষার্থী ভিসার বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি জার্মানিকে উল্লেখ করেন, যেখানে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আবেদন করে, অথচ দেশটির দূতাবাস মাত্র ২ হাজার ভিসা দিতে সক্ষম। “আমি জার্মান রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছি সংখ্যা কমপক্ষে ৯ হাজারে উন্নীত করার জন্য, যাতে পাকিস্তানের সমান সুযোগ দেওয়া হয়,” বলেন তৌহিদ হোসেন।পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সমস্যার এক অংশকে ভারতভিত্তিক দূতাবাসের সঙ্গে যুক্ত করে বলেন, “কিছু দূতাবাস, যা দিল্লি থেকে পরিচালিত হয়, সেখানে আবেদন প্রক্রিয়া তুলনামূলক কঠিন। এছাড়া পর্যাপ্ত ভিসাও দেওয়া হয় না।”সমাধানের পদক্ষেপ হিসেবে তিনি জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের সুবিধার্থে ভিসা আবেদনের স্থানে বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে, যাতে তারা দিল্লির বাইরে থেকেও আবেদন করতে পারেন।ভোরের আকাশ//হ.র
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই জাতির যথেষ্ট ক্ষমতা আছে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য। তারুণ্য ও সৃজনশীলতা আমাদের শক্তি। এই শক্তি আর সুযোগ আমাদের আছে। এটাকে কাজে লাগাতে হবে। আত্মনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলে জাতিকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে। আমরা আর দাসত্বের মধ্যে থাকতে চাই না।বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের উত্তরণকে মসৃণ ও টেকসই করার লক্ষে প্রণীত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভা শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কাছে এটা পরিষ্কার হতে হবে যে আমরা আর পরনির্ভর হতে চাই না। আমাদেরকে স্বনির্ভর হতে হবে। এখন যেহেতু পরনির্ভর হয়ে আছি। এর থেকে যত দ্রুত সম্ভব বের হওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এর বাইরে আর কোনো কথা নাই।তিনি বলেন, এজন্য আমাদের অভ্যাস পাল্টাতে হবে। আত্মনির্ভর হতে গেলে বুদ্ধি খাটাতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে, লড়াই করতে হবে। এটা কঠিন হলেও এ কাজে আনন্দ আছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশের কথা বলি, নতুন বাংলাদেশ মানেই হলো স্বনির্ভর বাংলাদেশ।সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী , এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।এছাড়া বিজিএমইএ’র সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ