চার অতিরিক্ত ডিআইজিকে বদলি
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত চারজন উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শককে (ডিআইজি) বদলি করা হয়েছে।
রোববার (১৫ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে সই করেছেন উপসচিব মাহবুবুর রহমান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ডিআইজি আলি আকবর খানকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি, চট্টগ্রামের ৯ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ শামসুল হককে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকার এপিবিএন অতিরিক্ত ডিআইজি নজরুল ইসলামকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি এবং সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি রুমানা আক্তারকে ঢাকা আরআরএফ এর কমাড্যন্ট (অতিরিক্ত ডিআইজি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২০তম দিন পালন করছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ থেকে তারা দুই দফা দাবিতে এই কর্মসূচি শুরু করেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলবে।রোববার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেখা যায় নিজেদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২০তম দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দুই দফা দাবি হলোÑ পদ সৃজন পূর্বক কর্মরত সব জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা; এবং কর্তনকৃত বেতন ও অন্যান্য ভাতাসমূহ ফেরত দেওয়া।অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের (তথ্য আপা কর্মী) সঙ্গে কোনোরকমের যোগাযোগ করার চেষ্টা করে নাই। গত ১৫-২০ বছর ধরে হাজারটা প্রকল্পে কেউ আওয়ামী লীগ আখ্যা না পেলেও ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পকে উপদেষ্টা স্বয়ং আওয়ামী লীগের আবর্জনা বলে বিদায় করতে চাচ্ছে; যার কোনোই সুযোগ নেই। কারণ কোনো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কখনোই দলীয় হতে পারে না।তারা বলেন, ডিপিপিতে উল্লেখ থাকার পরেও, অর্থ মন্ত্রণালয় ও মহিলা শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরেও তারা পদ সৃজন সম্পর্কিত কোনো উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু আমাদের মেয়েদের প্রতিনিয়ত রাজস্বের আশ্বাস দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছে। এমনকি আমাদের বেতন থেকে প্রতিমাসে অবৈধভাবে অর্থ কর্তন করা হয়েছে; তার ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, পরবর্তী সময়ে রাজস্ব নিতে সুবিধা হবে।তারা আরও বলেন, তথ্য আপা প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের ৯০ শতাংশ সফলতার ওপরে ভিত্তি করে ৩য় পর্যায়ে আউটসোর্সিং হিসেবে আনার পাঁয়তারা করছে মন্ত্রণালয় ও প্রধান কার্যালয়। কারণ, এখানে বিশাল নিয়োগ বাণিজ্য হবে। এসময় তারা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের ৪৯২টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন কর্মী মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে প্রতিটি তথ্যকেন্দ্রে একজন তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড), দুজন সহকারী (১৬তম গ্রেড) এবং একজন অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) নিয়োজিত রয়েছেন। এই কর্মীরা তৃণমূল নারীদের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা ও সাইবার সুরক্ষা- এই আটটি বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শসেবা দিয়ে আসছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা এবং আগের অসমাপ্ত আলোচনা শেষ করতে আবারও বিএনপিসহ ৩০ দলের সঙ্গে বৈঠক করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রোববার (১৫ জুন) কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, ১৭ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক শুরু হবে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ বৈঠক চলবে ১৯ জুন পর্যন্ত।বৈঠকে সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন, নারী প্রতিনিধিত্ব, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ (নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ) ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে।এর আগে ৩ জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের প্রথম বৈঠক হয়। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এ বৈঠকে বিষয়ভিত্তিক যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।এ প্রসঙ্গে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ১৭ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা আবারও শুরু হবে। এ ধাপে ১২ বা ১৪টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রথম দিন চারটি বিষয়ের ওপর দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে।এর আগে ২ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্বিতীয় দফার এ বৈঠকের উদ্বোধন করেন। পরদিন দ্বিতীয় দফার প্রথম বৈঠকে সংবিধানের চার বিষয়- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, নিম্নকক্ষে নারী আসন, সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল, আস্থাভোট ও সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া সববিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন বলে একমত হয় বিএনপি-জামায়াতসহ অনেক দল।এ ছাড়া সংসদের স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দল থেকে কতজন সভাপতি হবেন সে বিষয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয় সেদিনের বৈঠকে। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ দল ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিটিতে বিরোধী দল থেকে সভাপতি করার ওপর মত দিয়েছে। বিদ্যমান স্থায়ী কমিটিগুলো ছাড়াও স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রধানও বিরোধী দল থেকে করার প্রস্তাব উঠে আসে বৈঠকে। প্রথম ধাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশনে বৈঠক করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদুল আজহার ছুটিতে ৫ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত জরুরিসেবা ৯৯৯ কল পেয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৩৮৮টি। এর মধ্যে মোট ১৫৬১৯ জন কলারকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিসের জরুরিসেবা দেওয়া হয়েছে।এসময়ে আসা কলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ১০২ জন কলার মারামারি সংক্রান্ত খবর দিয়ে সেবা নিয়েছেন। রোববার জাতীয় জরুরিসেবা নম্বর ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) আনোয়ার সাত্তার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহা সংক্রান্ত কলে মোট ১২৭১ জন কলারকে বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাটে চাঁদাবাজি, রাস্তায় চাঁদাবাজি, নদীতে চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক পশু অন্য হাটে নিয়ে যাওয়া, অজ্ঞান-মলম পার্টি এবং শব্দ-দূষণ সংক্রান্ত অভিযোগ ইত্যাদি।ঈদুল আজহার ছুটিকালীন (৫-১৩ জুন) সময়ে জরুরি পুলিশি সেবা দেওয়া হয়েছে ১৩৮৩১ জন কলারকে। অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হয়েছে ৯৯৩ জন কলারকে। ফায়ার সার্ভিসের সেবা দেওয়া হয়েছে ৭৯৫ জন কলারকে। সবমিলিয়ে ১৫ হাজার ৬১৯ জন কলারকে ঈদুল আজহা সংক্রান্ত জরুরিসেবা দেওয়া হয়েছে।মারামারি সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা দেওয়া হয়েছে ৪১০২ জন কলারকে। বিভিন্ন কারণে কাউকে আটকে রাখা সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা দেওয়া হয়েছে ১২১৪ জন কলারকে। ইমার্জেন্সি অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হয়েছে ১০৬২ জন কলারকে। বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সম্পর্কে সেবা দেওয়া হয়েছে ৯৯২ জন কলারকে।যোগাযোগ করা হলে ৯৯৯ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, ঈদুল আজহায় ৫ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত জরুরিসেবা ৯৯৯ কল পেয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৩৮৮ কলার। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ প্রয়োজনীয় বা আমলযোগ্য কল। বাকি সব অপ্রয়োজনীয় কল।তিনি বলেন, এবার ঈদের ছুটিতে মারামারি সংক্রান্ত বিষয়ে কল এসেছে। দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, তুচ্ছ কারণে মারামারির ঘটনা, টাকা-পয়সার লেনদেন, স্বামী-স্ত্রীকে জোর করে আটকে রাখার বিষয়ে প্রতিকার চেয়েও অনেক ফোন এসেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ বেঠক নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের কিছু বলার থাকলে সেটা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বলতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রোববার (১৫ জুন) ঈদের ছুটি শেষে সচিবালয়ে প্রথম কার্যদিবসে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।রিজওয়ানা হাসান বলেন, যেকোনো ধরনের সমস্যা সংলাপের মধ্য দিয়ে সমাধান হয়। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে আমরা সন্তুষ্ট।এবারও স্বস্তির সঙ্গে মানুষ ঈদ উদযাপন করেছে বলে দাবি করেছেন উপদেষ্টা।এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের আরও ৩ জন উপদেষ্টা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রমজানের মতো স্বস্তির না হলেও ঈদুল আজহার ঈদযাত্রা খুব খারাপ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।অন্যদিকে মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এইচ মুর্শিদ জানান, নারী নির্যাতন দমনে সরকার দৃশ্যমান কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এটি কার্যকর হলে দেশে নারী নির্যাতন কিছুটা হলেও কমবে।মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, পর্যাপ্ত দেশীয় গরু দিয়েই কোরবানি হয়েছে এবার। যত সংখ্যক কোরবানি হয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি পশু প্রস্তুত ছিল। এ বছর রাজনৈতিক কোরবানি হয়নি, তাই ঈদে বড় গরু কম বিক্রি হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ