× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার

আরও একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন

ভোরের আকাশ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫ ০৯:৫৪ পিএম

আরও একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন

আরও একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করতে আরও একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৮ মে) এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-২ এর অপর দুই সদস্য হলেনÑ অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মঞ্জুরুল বাছিদ এবং মাদারীপুরের জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রাপ্ত অভিযোগ ও অভিযুক্তদের সংখ্যা, দ্রুত বিচার-নিষ্পত্তির প্রয়োজন কাজের চাপ ইত্যাদি বিবেচনায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন করেছে সরকার। 

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনমা চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বিদ্যমান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। ২০১২ সালের ২২ মার্চ সরকার ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে দুটি করে। ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার তিনবছর পর ২০১৩ সাল থেকে একে একে রায় আসা শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে দুই নম্বর ট্রাইব্যুনাল অকার্যকর হয়ে পড়ে। এরপর একটি ট্রাইব্যুনালেই বিচার শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই নম্বর ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেওয়া হয়। 

কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে জুলাই গণআন্দোলন শুরু হলে এই আন্দোলন দমাতে সরকার ব্যাপক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। আন্দোলনকারী ছাড়াও নিরীহ নিরস্ত্র শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, শিশু, নারী রক্ষা পায়নি সরকারের হাত থেকে। সরকারি হিসেবে ৮শ’র বেশিজনকে হত্যা করা হয়েে জুলাই আগস্টে। আর শিক্ষার্থীদের দাবি ১৪শ’র বেশি জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩০ হাজারের বেশি। এ ঘটনায় একে একে কয়েকশ অভিযোগ জমা পড়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এরইমধ্যে কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত শেষে মামলায় রুপ নিয়েছে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের একাধিক মন্ত্রী, এমপি, বড় বড় সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যরা আসামি। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত আট মাসের একটিরও বিচার না হওয়ায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানো হলো। 

ভোরের আকাশ/আমর

  • শেয়ার করুন-
 আ.লীগ নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত যমুনার সামনে থেকে উঠবো না: হাসনাত

আ.লীগ নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত যমুনার সামনে থেকে উঠবো না: হাসনাত

সংশ্লিষ্ট

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

বৌদ্ধ পূর্ণিমায় সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

বৌদ্ধ পূর্ণিমায় সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় সরকার : তথ্য উপদেষ্টা

সংবাদপত্রের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায় সরকার : তথ্য উপদেষ্টা