নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫ ০৪:৪৩ পিএম
প্লেনে বোমা থাকলে নিষ্ক্রিয় করার কৌশল দেখাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ
দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইটে বোমা রয়েছে, এমন তথ্য পাওয়ার পর বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানায়। পরে যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পর বিমানবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল দুটি বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করে। শাহ আমানত বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত হয়েছে নিরাপত্তা মহড়া ‘বিমানবন্দর নিরাপত্তা মহড়া ২০২৫’।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) উদ্যোগে আয়োজিত মহড়ায় অংশ নেয় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্তত ১২টি সরকারি সংস্থা।
মহড়ার প্রধান অতিথি ছিলেন বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
মহড়ায় অংশ নেয় বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, আনসার, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, বিমানবাহিনী মেডিকেল টিম এবং বিমানবন্দর মেডিকেল টিম।
মহড়ায় দেখানো হয়, বিমানবাহিনীর পরিবহন বিমান এএন-৩২ এবং হেলিকপ্টার এমআই-১৭ দিয়ে মহড়াটি বাস্তবায়ন করা হয়। যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পর একজন ‘আহত’ যাত্রীকে ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতালে হেলিকপ্টারে করে পাঠানো হয়। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল দুটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে।
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর পরপর এমন মহড়া আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিমানবন্দর নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর প্রস্তুতি ও সক্ষমতা যাচাই করা।
মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেবল যন্ত্রপাতি নয়, প্রস্তুতিও জরুরি। আজকের মহড়ায় অংশগ্রহণকারী সব সংস্থা খুবই দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকলে যেকোনো সংকট মোকাবিলা সম্ভব।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুসারে এই মহড়াগুলো আমাদের নিয়মিত করতে হবে, যাতে বিপদের সময় আমরা তাৎক্ষণিক ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তিনি অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও এমন প্রস্তুতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মহড়ায় আরও উপস্থিত ছিলেন বেবিচক, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন এয়ারলাইনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ভোরের আকাশ/এসআই