ফাইল ছবি
অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৮ মে) সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে আম রপ্তানির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের গ্রেফতারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাকে ধরতে সময় লেগেছে। চেষ্টা করা হচ্ছে সব দুষ্কৃতিকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, কৃষকদের উৎপাদনে উৎসাহ দিতে হবে, তাহলেই উৎপাদন বাড়বে। কৃষকের উপকারে কাজ করলেই ভোক্তা উপকৃত হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘উপদেষ্টারা সেফ এক্সিট খুঁজছে, নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্য তাকেই প্রমাণ করতে হবে। আমি কোনো এক্সিট খুঁজছি না। দেশেই ছিলাম, বাকিটা জীবনও বাংলাদেশেই কাটাবো।’বুধবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দলের মতো নবগঠিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সরকারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এখন সেই দলের প্রধান নাহিদ ইসলাম কী কারণে, কোন অভিমান থেকে উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিট বা এ সংক্রান্ত মন্তব্য করেছেন, সেটি তাদের দলের মন্তব্য। তাদের অনানুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য নিয়ে সরকারের পক্ষে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।’পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা নানা বিষয়ে নানা কথা বলে যাচ্ছেন, সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে। এটা বলা তাদের তো অধিকার! এটাই তো গণতন্ত্রের চর্চা। প্রতিটা বিষয় নিয়ে আমরা যদি প্রতিক্রিয়া দেখাই, প্রতিটা বিষয় নিয়ে যদি আমরা চিন্তা করি, তাহলে আমাদের মন্ত্রণালয়গুলো আমরা কখন চালাবো। সরকার সেই বিষয় নিয়ে কথা বলবে। সে বিষয় নিয়ে কাজ করবে, এনগেইজ হবে, সবাইকে জানাবে। অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষে কিছু বলা সম্ভব না। তাকে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে হবে। তার বক্তব্য তো আমার সাবস্টেনশিয়েট করার বিষয় না। আমার খণ্ডানোরও বিষয় না। বক্তব্য সুনির্দিষ্ট হলে হয়তো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কথা বলা হতো। এটা হয়তো তাদের ধারণা, তারা মনে করে, তাদের বক্তব্য হিসেবে বলেছে। এখানে সরকারের অবস্থান নেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই। সরকারের বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই।’নির্বাচন নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। বিচার বিচারের গতিতেই চলছে। সঠিক বিচার হোক সেটাই চাই।’পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়নি, বলা যাবে না। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ঐকমত্য বাস্তবায়ন কীভাবে হবে সেটাই বিষয়। অনেক রাজনৈতিক দল নানা কথা বলে যাচ্ছে। এটাই তাদের অধিকার। তাদের প্রতিটা বিষয় নিয়ে চিন্তা করলে, মন্ত্রণালয় চালানো যাবে না।’ভোরের আকাশ/এসএইচ
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামোর উন্নয়নসহ জাহাজ নির্মাণশিল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে ডেনমার্কের সহযোগিতায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) কাউন্সিলের আসন্ন (২০২৬-২৭ মেয়াদে) নির্বাচনে ক্যাটাগরি ‘সি’-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে ডেনমার্ক সরকারের সমর্থন কামনা করেন।তিনি আইএমও ভুক্ত সকল সদস্য রাষ্ট্রের মেরিটাইম সেক্টরের উন্নয়নে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে ডেনিশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং ডেনমার্কের পক্ষেও আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন। উপদেষ্টা ডেনমার্কের প্রতি বাংলাদেশের অকুন্ঠ সমর্থন থাকবে মর্মে রাষ্ট্রদূতকে জানান।নৌপরিবহন উপদেষ্টা পরিবেশ সুরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, আইএমও কনভেনশন বাস্তবায়ন, ডিজিটালাইজেশন এবং সমুদ্র দূষণ রোধে বাংলাদেশের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। নৌপরিবহন উপদেষ্টা টেকসই সামুদ্রিক উন্নয়নের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আইএমও’র কার্বনমুক্ত ভবিষ্যৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থনের কথা জানান। নৌপরিবহন উপদেষ্টা জাহাজ নির্মাণ শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী উন্নত করতে হবে। অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার তথ্য ভবনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্টদের সমন্বয়ে অনুদানের চলচ্চিত্র নির্মাণে গাইডলাইন প্রদানের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত ল্যাবে এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এই ল্যাবের আয়োজন করে।চলচ্চিত্র নির্মাতাদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। চলচ্চিত্র নির্মাণে গাইডলাইন প্রদান-বিষয়ক ল্যাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এক্সপার্টরা যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন, তা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের, বিশেষ করে তরুণ নির্মাতাদের সমৃদ্ধ করবে।তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই চলচ্চিত্র নির্মাণে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা চালু রয়েছে। বাংলাদেশে এখনো সে রকম পূর্ণাঙ্গ কাঠামো তৈরি হয়নি। তবে কবিরপুর ফিল্ম সিটি নির্মিত হলে চলচ্চিত্র নির্মাণে আধুনিক ও সমন্বিত অবকাঠামো গড়ে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেন, এবারেই প্রথম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নিয়ে ল্যাব করা হচ্ছে। অনুদানে নির্মাণাধীন চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে এ ধরনের ল্যাবের প্রয়োজন রয়েছে। ল্যাবে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে চলচ্চিত্রের মানোন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য তিনি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানান।তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যেকোন মূল্যে শিশু কন্যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।বুধবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর দোয়েল চত্বরে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে শিশু একাডেমিতে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা।তিনি জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিপদগ্রস্ত কন্যাশিশুদের কাছে পৌঁছাতে চায় সরকার। তৃণমূল এবং অবহেলিত শিশুকন্যাদের কাছে যাতে পৌঁছানো যায়, সেই চেষ্টা চলছে। এরইমধ্যে তা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।কোনো সমস্যায় পড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাতে শিশুকন্যাদের কাছে পৌঁছানো যায় সেই প্রয়াস চলছে বলেও জানান শারমীন এস মুরশিদ।এ সময় যেকোনো সমস্যায় মন্ত্রণালয়ের সাথে যাতে শিশুকন্যারা সরাসরি যুক্ত হতে পারে সে জন্য বিশেষ বারকোডও উন্মোচন করা হয়।এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য, যখন মেয়েরা মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়, তখন সবাই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।ভোরের আকাশ/এসএইচ