সংগৃহীত ছবি
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তে প্রাণহানির ঘটনার পর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত পুরোনো সব প্লেন বাতিল ও শিক্ষার্থীদের মরদেহের সঠিক সংখ্যা ঘোষণাসহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ করছে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় এই ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের গোল চত্বরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা এসময় ‘ভয় নয়, আমরা চাই ন্যায়বিচার’ 'আমরা সঠিক তথ্য জানতে চাই', 'আমার শিক্ষকদের গায়ে হাত কেন জবাব চাই'- এমন স্লোগান সামনে রেখে তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি হলো
১. নিহতদের সঠিক নাম ও তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
২. আহতদের সম্পূর্ণ ও নির্ভুল তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
৩. শিক্ষকদের গায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাত তোলা এই জঘন্য ঘটনার জন্য জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৪. নিহত প্রতিটি শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৫. বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো প্লেনগুলো বাতিল করে আধুনিক প্লেন চালু করতে হবে।
৬. বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র পরিবর্তন করে আরো মানবিক ও নিরাপদ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিকবিষয়ক মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।শোকবার্তায় ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, বাংলাদেশে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি, যেখানে অনেক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার এবং আহতদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই।এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুকও। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমানের দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন এবং দুঃখিত। যারা আক্রান্ত হয়েছেন এবং যারা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন, তাদের সবার কথা আমাদের মনে আছে।’উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে উত্তরার দিয়াবাড়ীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজজিআই (৭০১) মডেলের প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২৫ জন শিশুই। এ ছাড়া আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন ১৬৫ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিভিন্ন দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসময় তাদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের এক নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা গাড়ি ভাঙচুর চালালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ঘটে। শিক্ষার্থীরা অন্তত ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে ১০টির মতো গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু হাজার হাজার শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়ে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জুবাইরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাকে প্রত্যাহার করা হলো।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি। মাহফুজ আলম জনপ্রশাসন বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের পদত্যাগের দাবিতে দুপুর থেকে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের ভারতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে ভারতীয় হাইকমিশন।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শোকবার্তার প্রেক্ষিতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে এই আগ্রহের কথা জানিয়েছে। ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশের পাশাপাশি সম্ভাব্য সব সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় গুরুতর আহতদের জন্য ভারতের কোনো বিশেষায়িত চিকিৎসা সহায়তা প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ সরকার যেন প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের জানায়,সেই অনুরোধ জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে।এর আগে সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিয়োগান্তক এই দুর্ঘটনায় বাংলাদেশের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ভারতের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।উল্লেখ্য, সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের পাইলটসহ এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৭৮ জন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ