ছবি: ভোরের আকাশ
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জোন শাখার প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) কুড়িগ্রাম সদরের খলিলগঞ্জ অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জোন শাখার কর্মকর্তাদের আয়োজনে প্রশিক্ষণ, ব্যাংকিং এবং ঋণের আইনি দিক নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কুড়িগ্রাম জোনাল ব্যবস্থাপক শওকত শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক রহমতুল্লাহ সরকার,কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার প্রিতম কুন্ডু, লালমনিরহাট জোনের জোনাল ব্যবস্থাপক হাফিজুল ইসলাম।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে কৃষকদের উন্নয়নে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে চলছে।
কর্মশালায় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কুড়িগ্রাম জোনাল ব্যবস্থাপক শওকত শহীদুল ইসলাম কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলায় ব্যাংকের ঋণ প্রদান ও বকেয়া ঋণ আদায়ে কার্যক্রম আরও জোরদার করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
জেলা ও উপজেলা সমবায় কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সমবায় অধিদপ্তরে অর্থায়ণে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোল্লা সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি বিদ মোঃ সিফাত আল মারুফ।সভায় অংশ গ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কোর্স পরিচালক সঞ্জয় কুমার ঘোষ পরিদর্শক জেলা সমবায় অফিস বাগেরহাট। এছাড়াও সহকারী কোর্স পরিচালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিদর্শক মো: আসাদুজ্জামান মীর উপজেলা সমবায় অফিস। সভায় চিতলমারী উপজেলার নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সমবায়ী হিসেবে হিমেল বহুমুখী সমবায় সমিতির সুকদেব ঘরামি, মালবিকা চৌধুরী , সিডর সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির ধীরাজ সরকার, দেবী বিশ্বাস, দোয়েল সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির কাজী শহিদুল ইসলাম , আবির কাজি , গোলাপ নারী উন্নয়ন সমবায় সমিতির ঋতু রানী বাড়ৈ , ভারতী মন্ডল , শাপলা নারী উন্নয়ন সমবায় সমিতির ভারতী হালদার, লাভলি মন্ডল , কুরালতলা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির হাসি শিকদার, দরদী একতা বহুমুখী সমবায় সমিতির গীতা বিশ্বাস, উমা মন্ডল , পাঁচপাড়া খুদাড়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির কনিকা গোলদার, চন্দনা বাড়ৈ সহ অন্যান্য সমবায় সমিতির সমবায়ী মিলে মোট ২৫ জন নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
পিরোজপুরের কাউখালীতে আমি কন্যা শিশু, স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি- এই মূল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কন্যা দিবস উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত দেবনাথের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নুরে জান্নাত ফেরদৌসী,উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার প্রদীপ কুমার হালদার, উপজেলা সমবায় অফিসার অহিদুজ্জামান খান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মতিউর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াদ মাহমুদ সিকদার,কাউখালী থানার এসআই মোঃ মাসুদ , কাউখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক যুথিকা কুন্ডু, কিশোরী সংগঠক সুজাতা কুণ্ড প্রমুখ।আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ব্র্যাকের একসেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসুচির আওতায় উপজেলা মডেল মসজিদ হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়ক সৈয়দ ফাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল ইমরান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরিফ আহমেদ, সমাজসেবা অফিসার মশিউর রহমান মন্ডল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, সমবায় অফিসার দেলোয়ার হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা জোবায়েদ হোসেন, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসুচির রংপুর ডিভিশনাল ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ব্যবস্থাপক আব্দুল হাই, এলাকা ব্যবস্থাপক (দাবি) জান্নাতুল এমরান চৌধুরীসহ উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, ব্র্যাকের শিক্ষা কর্মসুচি আরও বেশি বেগবান হবে এই প্রত্যাশা করছি। শিক্ষার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে সবসময় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের উত্তর ঢেমশা থেকে বড়ুয়াপাড়া হয়ে চৌধুরীহাট সংযোগ সড়কটি এখন চরম বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে। বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই রাস্তায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন। বর্ষাকালে রাস্তাটি কাদামাটিতে ডুবে যায়, আর শুষ্ক মৌসুমে ধুলার ঝড়ে পথচলাচল প্রায় অচল হয়ে যায়।ছবি: ভোরের আকাশস্থানীয়রা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে প্রায় ৭৮০ মিটার রাস্তা কার্পেটিং করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিও এখন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। ফলে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তর ঢেমশা, সিকদারবাড়ি, বড়ুয়াপাড়া ও চৌধুরী হাট, মরিচ্চাপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ রোগীরা এই বেহাল দশার কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের যাতায়াতে তাদের নিরাপত্তা ও সময় উভয়ই সংকটে পড়ে।ছবি: ভোরের আকাশস্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছি আট বছর হলো। যাওয়ার আগে যেমন অবস্থা দেখেছিলাম, এখনো ঠিক তেমনই আছে। কোনো উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা আসেন নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে, কিন্তু নির্বাচন শেষ হলেই আর খোঁজ রাখেন না। বর্ষায় কাদা, শুকনো মৌসুমে ধুলা— এভাবেই সারাবছর ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছি আমরা।”সিএনজি চালক সেলিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, “ঢেমশা বড়ুয়াপাড়া রোডে প্রায় ১৫ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটির বেহাল দশা সংস্কারের অভাবে একই রকম আছে। গর্ত, ধুলাবালি আর কাদা— প্রতিদিনের যাতায়াতই আমাদের জন্য এক কঠিন সংগ্রাম। বিশেষ করে রোগী কিংবা জরুরি কাজে লোকজন নিয়ে যাওয়ার সময় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। এতদিন এই কষ্টের কারণে আমার কোমরেও ব্যথা ধরেছে। আমরা চাই, দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার করা হোক, যেন সাধারণ মানুষও নিরাপদে চলাচল করতে পারে।”ছবি: ভোরের আকাশএ বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে বলেন,“রাস্তাটি আমরা পরিদর্শন করেছি এবং তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।”স্থানীয়দের প্রত্যাশা, বহু প্রতীক্ষিত এই সড়কের সংস্কার কাজ শিগগিরই শুরু হবে— যাতে করে তারা আবারও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।ভোরের আকাশ/তা.কা