ছবি : সংগৃহীত
চলতি বছর পবিত্র হজপালন করতে সৌদি আরবে গিয়ে সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (১০ জুন) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার গোলাম মোস্তফা (৫৮)। এ নিয়ে হজপালনে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২২ বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ ও নারী দুইজন। বুধবার (১১ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের মৃত্যু সংবাদে এসব তথ্য জানা গেছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টাল সূত্রে জানা যায়, এ বছর হজে গিয়ে গত ২৯ এপ্রিল প্রথম মারা যান রাজবাড়ীর পাংশার মো. খলিলুর রহমান (৭০)। এরপর ২ মে মারা যান কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মো. ফরিদুজ্জামান (৫৭), ৫ মে মারা যান পঞ্চগড় সদরের আল হামিদা বানু (৫৮), ৭ মে মারা যান ঢাকার মোহাম্মদপুরের মো. শাহজাহান কবির (৬০) এবং ৯ মে মারা যান জামালপুরের বকশিগঞ্জের হাফেজ উদ্দিন (৭৩), ১০ মে মারা যান নীলফামারী সদরের বয়েজ উদ্দিন (৭২), ১৪ মে মারা যান চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মো. অহিদুর রহমান (৭২), ১৭ মে মারা যান গাজীপুর সদরের মো. জয়নাল হোসেন (৬১) এবং ১৯ মে মারা যান চাঁদপুরের মতলবের আ. হান্নান মোল্লা (৬৩) ও ২৪ মে রংপুরের পীরগঞ্জের মো. সাহেব উদ্দিন।
এ ছাড়া ২৫ মে মারা গেছেন চাঁদপুরের কচুয়ার বশির হোসাইন (৭৪), ২৭ মে মারা যান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের শাহাদাত হোসেন, ২৯ মে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মো. মোস্তাফিজুর রহমান(৫৩), একই দিন মাদারীপুর সদরের মোজলেম হাওলাদার (৬৩), গাজীপুরের টঙ্গীর পূর্ব থানার আবুল কালাম আজাদ (৬২), গত ১ জুন মারা যান, গাজীপুরের পুবাইলের মো. মফিজ উদ্দিন দেওয়ান (৬০) ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের মো. জাহিদুল ইসলাম (৫৯), ৫ জুন মারা যান ঢাকার কেরানীগঞ্জের মনোয়ারা বেগম মুনিয়া, ৬ জুন খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকার শেখ মো. ইমারুল ইসলাম, ৭ জুন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির মো. মুজিব উল্যা ও ৯ জুন মারা যান গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের এ টি এম খায়রুল বাসার মন্ডল।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চার দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটটি শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।সফরকালে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ সম্মাননা গ্রহণ করেন। সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।শুক্রবার (১৩ জুন) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে এক ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুজনই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে একমত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া, এই চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের স্পিকার ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন প্রধান উপদেষ্টা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করেন তিনি।এর আগে, গত ১০ জুন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে লন্ডন পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন প্রমুখ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভ্যাপসা গরমে অতীষ্ঠ জনজীবন। দেশের ২৬টি জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ। বৃষ্টিপাত নেই বললেই চলে। খরায় পুড়ছে দেশের মাঠ-প্রান্তর। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কম বৃষ্টিপাত, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি এবং সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য হ্রাস পাওয়ায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। তবে আগামী ১৬ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি এলাকায় ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক। দেশের তিন বিভাগ ও ছয় জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল শুক্রবার সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, মোট ২৬ জেলায় এই তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা অব্যাহত থাকতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।আগামীকাল রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।আগামী সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।আগামী মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রক্তদান একটি মহৎসেবা। কিন্তু অনিরাপদ রক্তই আবার মানুষের অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞরা চিকিৎসকরা বলছেন, অনিরাপদ রক্ত গ্রহণের কারণে একজনের জটিল রোগ আরেকজনের শরীরে সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। দেশের শতকরা ৮১ ভাগ রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র অনুমোদনহীন। রক্ত সংগ্রহের সময় বাধ্যতামূলক পাঁচটি পরিসঞ্চালন সংক্রমণ পরীক্ষা করা হয় না শতকরা ৫০ ভাগ কেন্দ্রে। প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন অসংখ্য অনিরাপদ ও ভুয়া ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে সরকার। জব্দ করা হয় কয়েক হাজার অনিরাপদ রক্ত বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। আর এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ শনিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২০২৪ সালে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৪ ইউনিট রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪০ ইউনিটে এইচআইভি পজিটিভ, ৩৬ হাজার ২৯১ ইউনিটে হেপাটাইটিস বি পজিটিভ, ৪ হাজার ৭০৬ ইউনিটে হেপাটাইটিস সি পজিটিভ, ৩ হাজার ৯৫০ ইউনিটে সিফিলিস ও ১ হাজার ৩৪৪ ইউনিট রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধরা পড়ে। তবে বেসরকারী হিসাবে দূষিত রক্তের পরিমাণ আরও কয়েকগুণ বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।তারা বলছেন, বর্তমান সরকার চিকিৎসার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। রক্ত দান একটি মহৎ সেবা। রক্তের প্রয়োজনে জীবাণুমুক্ত নিরাপদ রক্তই রোগীকে নতুন জীবন দিতে পারে। নিরাপদ রক্ত মুমূর্ষু রোগীকে দিবে নবজীবন। তবে রক্ত যেমন একদিকে জীবন রক্ষা করে, অন্যদিকে অনিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনে এইডস, হেপাটাইটিস-সি, হেপাটাইটিস-বি সিফিলিস, ম্যালেরিয়া ছড়ায়। এসব জটিল রোগ থেকে নিরাপদ থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে পেশাদার রক্তদাতা থেকে রক্ত গ্রহণে বিরত থাকা এবং স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের থেকে রক্ত গ্রহণ করা। সারা বিশ্বে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন গড়ে তোলা দরকার।বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রতি চার মাস অন্তর একজন সুস্থ ব্যক্তি রক্ত দান করতে পারে। স্বেচ্ছায় রক্তদান সর্বোত্তম সেবা। স্বেচ্ছায় রক্তদান করলে বারডেমের পক্ষ থেকে একটি কোটপিন দেওয়া হয়। আর দেওয়া হয় ভল্যুন্টারি ডোনার কার্ড, যা রক্ত দানের ছয় মাস পর থেকে যে কোন রক্তের প্রয়োজনে সম্পূর্ণ নিবামূল্যে আপনার প্রেরণকৃত ডোনারের জন্য সেবা প্রদানে বাধ্য থাকে।তিনি বলেন, রক্তদানের আগে ডোনারদের অ্যালকোহল পান বা ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। রক্তদানের আধ ঘণ্টা পূর্বে চা কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। খাবার গ্রহণ করে আসতে হবে। সুস্থ ব্যক্তি আদর্শ রক্তদাতা। ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার, হাঁপানি, জ্বর, ইত্যাদি থাকলে রক্ত দান থেকে বিরত থাকতে হবে।তিনি আরও বলেন, রক্তদানের পর ডোনারকে তরল জাতীয় খাবার (যেমন জুস) গ্রহণ করা দরকার। প্রচুর (প্রায় তিন লিটার) পানি-পানীয় পান করা উচিত। নিতে হবে বিশ্রাম। ভারী কাজ, গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। আর দুধ জাতীয় খাদ্য রক্ত দানের এক ঘণ্টা পর খেতে পারেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের গ্লোবাল এডুকেশনের বিশেষ দূত গর্ডন ব্রাউনের মধ্যে শুক্রবার (১৩ জুন) একটি ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।আলোচনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের জন্য শিক্ষা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা প্রধানভাবে উঠে আসে।গর্ডন ব্রাউন বাংলাদেশের নেতৃত্বে চলমান অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের প্রশংসা করে বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার পথে দেশের যে অগ্রযাত্রা, তা প্রশংসনীয়। তিনি ইউনূসের বিভিন্ন উদ্যোগকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী শিশুদের শিক্ষার অভাব নিয়ে দুই নেতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রায় পাঁচ লাখ শিশুর শিক্ষাবঞ্চিত অবস্থাকে ‘একটি হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা প্রজন্ম’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তারা বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখার ওপর গুরুত্ব দেন।ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের নিশ্চিত করতে হবে এই শিশুরা যেন আশার আলো নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।” একইসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা জনগণের সহায়তায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।গর্ডন ব্রাউন জানান, তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতায় আগ্রহী এবং তাঁর আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এতে কাজে লাগাতে প্রস্তুত। তিনি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহও প্রকাশ করেন, যাতে তিনি সরেজমিনে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।আলোচনার একপর্যায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রয়াস ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক রূপান্তরের দিকেও উভয়ের আগ্রহ প্রকাশ পায়। ভোরের আকাশ/হ.র