× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ

গুরুত্বের সঙ্গে ঝুঁকিও বেড়েছে

নিখিল মানখিন

প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫ ০৮:৪৮ এএম

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি উদীয়মান শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ। ফলে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর চোখ এখন বাংলাদেশের দিকে। ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্বতার পাশাপাশি ঝুঁকিও বেড়েছে দেশটির।কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী বাংলাদেশ। কিন্তু বর্তমানে ভূ-রাজনীতি বিশেষ করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রকে সমানতালে সামাল দিতে গিয়ে দেশটিকে বারবার বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বিশ্বরাজনীতির অন্যতম শক্তি চীন ও আঞ্চলিক শক্তি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নৈকট্য এবং দক্ষিণ এশিয়াসহ এ অঞ্চলে এই দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনায় অনেক আগেই এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। এ বিবেচনায় এবার  যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বৈশ্বিক শক্তির কাছে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে গুরুত্ব পাচ্ছে।

কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই  থেকেই নানা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা মোকাবিলা করেই দৃপ্তপথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঠিক সেই সময়ে দেশটির বিরুদ্ধে চলছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। তারা বিভিন্নভাবে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আঘাত করছে। তাই এখন সবার একটাই প্রশ্ন-পরাশক্তিগুলো কি পারবে বাংলাদেশকে তাদের ভূরাজনীতির দাবার ঘুঁটি বানাতে, নাকি বাংলাদেশই হবে আঞ্চলিক ভূরাজনীতির কেন্দ্র?

ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান : কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত এক দশকে অবস্থার বদল ঘটেছে একাদিক্রমে চীনের উত্থান, বিশ্ব পরিসরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব হ্রাস, দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য ভারতের সুস্পষ্ট প্রয়াস এবং তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং তার আলোকে বাংলাদেশের অনুসৃত পররাষ্ট্রনীতির কারণে।

১/১১-এর হামলার পর মুসলিমপ্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিবেচনার কারণে বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। নিরাপত্তার বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া এবং বুশ প্রশাসনের তথাকথিত ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ বিবেচনা থেকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয় নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়। জর্জ ডব্লিউ বুশের আমল থেকেই যুক্তরাষ্ট্র মূলত ভারতের চোখেই বাংলাদেশকে দেখে এসেছে। এর পেছনে একটা বড় কারণ হচ্ছে, এ অঞ্চলে ভারতীয় আধিপত্য নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্র পরাশক্তি চীনকে ঠেকাতে চায়।

চীন কেবল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারীই নয়, এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে চীনের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ লক্ষ করা যায়। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ও চীন একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে, যেখানে চীন ২৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ঋণ প্রতিশ্রুতি। যদিও চীনের দেওয়া ঋণের ডিসবার্সমেন্ট খুবই কম।

চীনের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক মাস আগেই বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে দুই বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন প্রকল্প ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। কিন্তু ভারতের এ ঋণে যুক্তির চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে তার সম্পর্ক রাজনৈতিক। বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনা না মিটিয়ে, বাংলাদেশের সঙ্গে অসম বাণিজ্য বহাল রেখে ভারত যে সব ধরনের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ করে, তার কারণ এটিই। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সুস্পষ্ট।

প্রায় এক দশক ধরে ভারত আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী সরকারব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছে। ভারতের কূটনীতিক এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে দ্বিধাহীন সমর্থন পেয়েছিল, তার মাধ্যমেই এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার। ভারত আওয়ামী লীগকে প্রশ্নহীনভাবে সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর একটি অংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এটা প্রশ্নাতীত যে ভারতের প্রত্যক্ষ প্রভাববলয়ের মধ্যে আছে বাংলাদেশ।

যদিও বাংলাদেশের বর্তমান সরকার রাজনৈতিকভাবে ভারতেরই কাছের বন্ধু, তবু চীনের জন্য তাদের দরজা কিন্তু বন্ধ নয়। এর কারণ কেবল অর্থনৈতিক সুবিধা নয়। সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতান্ত্রিক পরিসর সংকোচন নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। সম্প্রতি আল-জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর জাতিসংঘ দুর্নীতির তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

মানবাধিকার বা গণতন্ত্রের সংকটের ইস্যুগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের যদি অবনতি ঘটে, সে ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে চীনকে হাতে রাখতে চায় সরকার। অন্যদিকে, এ অঞ্চলে চীনের মিত্র পাকিস্তান, তাই বাংলাদেশের সঙ্গে মিত্রতার মাধ্যমে চীন ভারতের দুই দিকে মিত্রতার বলয় গড়তে পারবে ও ভারত মহাসাগরে তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে, এমন আশা থেকেই চীন বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠতা তৈরি করতে চায়। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত চীন ও ভারতের মধ্যে একটা ‘ব্যালান্সিং গেম’ বা ভারসাম্য নীতি বজায় রেখেছে। কিন্তু এ ভারসাম্য রাখাটা কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ ভারসাম্য রাখতে ব্যর্থতা যেকোনো একটি দেশের সঙ্গে শত্রুতা তৈরি করতে পারে। তাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির সফলতা নির্ভর করবে কতটা দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশ এ ভারসাম্যের ‘দড়িতে’ হাঁটতে পারে।

মিয়ানমারের আরাকানকেন্দ্রিক জটিলতা
কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য যাকে আমরা আরাকান নামে জানি, সেই আরকান আজ আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির এক নতুন যুদ্ধক্ষেত্র। আরাকানে চীনের কাইউকফিউ-ইউনান গ্যাস ও তেলের পাইপলাইন রুট, যা তাদের জ্বালানি নিরাপত্তার এক বিকল্প করিডর। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আনা তেল ও গ্যাস বঙ্গোপসাগর থেকে চীনের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হলে চীনকে মালাক্কা প্রণালির মাধ্যমে অনেক পথ ঘুরে এই সরবরাহ করতে হবে, যা শুধু ব্যয়বহুলই নয়, কিছুটা বিপজ্জনকও বটে। যেকোনো সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ভারত ও পশ্চিমা শক্তিগুলো এই সরু সরবরাহ সমুদ্রপথ আটকে দিতে পারে। ভারতের শিলিগুড়ি করিডরের ‘চিকেন নেক’-এর মতো এটিও চীনের জন্য এক ‘চিকেন নেক’।

মিয়ানমারের এ গৃহযুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি ক্রমে ঘোলা হয়ে উঠছে। এখন আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে এবং চীনের পাইপলাইন ও ভারতের কালাদান-মাল্টিমোডাল করিডর এলাকায় এই যুদ্ধ চলছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে এবং কোনো রকম সিত্তেসহ কয়েকটি এলাকা দখলে রেখেছে। এ পরিস্থিতি ঘিরে আন্তর্জাতিক কূটনীতি দ্রুত জটিল হয়ে উঠছে। আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গা সংগঠনগুলো বর্তমানে সেই অস্থিরতার উৎস হয়ে উঠেছে। যদিও এগুলোর কার্যক্রম মূলত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে; তবু চীনা অর্থনৈতিক করিডরও এখন তাদের হামলার আওতায় এসেছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অব.) তুষার কান্তি চাকমা বলেন, রাখাইন এখন আর শুধুই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকট নয়-এটি হয়ে উঠছে বিশ্বশক্তির ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্র যদি আরাকান আর্মিকে চীনা পাইপলাইন বাধাগ্রস্ত করতে উৎসাহ দেয়, তাহলে এই ছায়াযুদ্ধ শুধু রাখাইনে সীমাবদ্ধ থাকবে না - তার ধাক্কা লাগবে বাংলাদেশের সীমান্ত, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে।

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রতিযোগিতা এবং ভারত-মিয়ানমার সামরিক সমীকরণে ঢাকা বিশাল চাপের মুখে পড়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ চাইছে চট্টগ্রাম বন্দরকে আঞ্চলিক ট্রানজিট কেন্দ্রে রূপান্তর করতে; কিন্তু আরাকানের অস্থিরতা এবং মার্কিন-চীন সংঘর্ষ যদি বন্দরের পাশেই রণাঙ্গনের রূপ নেয়, তবে বাংলাদেশের স্বপ্ন ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। যুক্তরাষ্ট্র-চীন-ভারত তিন পক্ষের সঙ্গেই ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা। যেন বাংলাদেশ কোনো পক্ষের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে পরে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম বলেন,  বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যেখানে কেবল সামরিক শক্তি ব্যবহারই তার রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অক্ষুন্ন রাখতে পারে। এখানে সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রতিষ্ঠা, পারস্পরিক সহাবস্থান এবং শক্তির ভারসাম্য সৃষ্টি করার মতো রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব চীন ও রাশিয়ার মতো দেশকেও উগ্রপন্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এ ধরনের পরস্পরবিরোধী  পদক্ষেপের প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়বেই। পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদী হলে তা বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতিকে ধীর করবে এবং এর ফলে বৈশ্বিক কর্মসংস্থানে ও বাংলাদেশের মতো স্বল্প মাত্রায় রপ্তানি করে এমন দেশগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ড. দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতায় ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভিন্ন মাত্রা রয়েছে সত্য, কিন্তু এই দুই রাষ্ট্র এ অঞ্চলকে পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে একই আঙ্গিকে দেখবে, এমনটি প্রত্যাশা করা যায় না। দৃষ্টান্ত হিসেবে মিয়ানমারের কথা বলা যেতে পারে। মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। মালাক্কা উভয় সংকটের কারণে চীন মিয়ানমারের সঙ্গে আরও বেশি যুক্ত হয়ে পড়েছে। 

ইতোমধ্যে চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের ব্যাপক অংশীদারত্ব আমরা দেখেছি। তাছাড়া নিরাপত্তা ও সামরিক ক্ষেত্রেও দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান বিশ্বে মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বন্ধু রাষ্ট্র চীন। পাশাপাশি চীন ও মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তুলতে শুরু করেছে। এতদসত্ত্বেও মিয়ানমার প্রসঙ্গে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্ন অবস্থান লক্ষণীয়। যেমন রোহিঙ্গা ইস্যু ও মিয়ানমারের সামরিক সরকার থাকা সত্ত্বেও মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বার্মা আইন নামে একটি নতুন আইনও জারি করেছে। মিয়ানমারবিরোধী জোট কর্তৃক গঠিত জাতীয় ঐক্য সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করছে। 

সংগত কারণেই প্রশ্ন জাগে, ভূ-রাজনৈতিক উদাহরণ সামনে থাকার পরও কোনো কোনো আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক কীভাবে প্রত্যাশা করেন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি একই হবে? বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভূরাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। এই প্রেক্ষাপট ভারতের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বাংলাদেশের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। একই কথা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ বৈশ্বিক রাজনীতির কৌশলের অংশ হিসেবে বিবেচিত। ভারতের ক্ষেত্রে তা আঞ্চলিক বাস্তবতা ও তাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক স্বার্থ বিবেচনায় কানাডা কিংবা মেক্সিকোর যে গুরুত্ব বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্ব প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না। একইভাবে ভারতের ক্ষেত্রে বলা যায়, বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্ব অপরিসীম। বিগত দেড় দশকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের দিকে দৃষ্টিপাত করলে বিষয়টি দিবালোকের মতো পরিষ্কার মনে হবে।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা

চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জামায়াত আমির

চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জামায়াত আমির

শান্তির হ্যাটট্রিকে হ্যাটট্রিক জয় বাংলাদেশের

শান্তির হ্যাটট্রিকে হ্যাটট্রিক জয় বাংলাদেশের

‘প্রেমের শাস্তি’ হিসেবে নবদম্পতিকে জোয়ালে বেঁধে হালচাষ

‘প্রেমের শাস্তি’ হিসেবে নবদম্পতিকে জোয়ালে বেঁধে হালচাষ

কিউবার প্রেসিডেন্টসহ নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

কিউবার প্রেসিডেন্টসহ নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

 পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই স্মরণ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী’

পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই স্মরণ ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী’

 গোপালগঞ্জে কারফিউর সময় বাড়ল

গোপালগঞ্জে কারফিউর সময় বাড়ল

 শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় পুলিশ সদস্যকে অব্যাহতি

শহীদ আবু সাঈদের মাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় পুলিশ সদস্যকে অব্যাহতি

 নির্বাচনী তফসিলের আগেও ভোটার হওয়া যাবে

নির্বাচনী তফসিলের আগেও ভোটার হওয়া যাবে

 মহেশখালীতে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ১

মহেশখালীতে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ১

 তারেক রহমানের খালাসের শুনানি ২৪ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি

তারেক রহমানের খালাসের শুনানি ২৪ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি

 জুলাই বিপ্লবে শহীদরা মানুষকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে: ইআবি ভিসি

জুলাই বিপ্লবে শহীদরা মানুষকে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে: ইআবি ভিসি

 অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাসের সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়

অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাসের সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়

 তারেক রহমানকে কটূক্তির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় যুবদলের বিক্ষোভ

তারেক রহমানকে কটূক্তির প্রতিবাদে গাইবান্ধায় যুবদলের বিক্ষোভ

 গোপালগঞ্জকে ‘মুজিববাদমুক্ত’ করার ঘোষণা নাহিদ ইসলামের

গোপালগঞ্জকে ‘মুজিববাদমুক্ত’ করার ঘোষণা নাহিদ ইসলামের

 আওয়ামী লীগ ৬৩ বছরেও ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই

আওয়ামী লীগ ৬৩ বছরেও ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই

 সাটুরিয়ায় সাপের ছোবলে গৃহবধূর মৃত্যু

সাটুরিয়ায় সাপের ছোবলে গৃহবধূর মৃত্যু

 ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

 কাপাসিয়ায় জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের কর্মী সম্মেলন

কাপাসিয়ায় জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের কর্মী সম্মেলন

 আগামীকাল মিলবে ফ্রি ইন্টারনেট, পাবেন যেভাবে

আগামীকাল মিলবে ফ্রি ইন্টারনেট, পাবেন যেভাবে

 পিরোজপুরে জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ

পিরোজপুরে জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ

 কক্সবাজার সমুদ্র তীরে ভাঙনরোধে নেই উদ্যোগ

কক্সবাজার সমুদ্র তীরে ভাঙনরোধে নেই উদ্যোগ

 গোপালগঞ্জের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

গোপালগঞ্জের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

 ভাইরাল সেই ছিনতাইয়ের ঘটনায় চাপাতিসহ গ্রেপ্তার ৩

ভাইরাল সেই ছিনতাইয়ের ঘটনায় চাপাতিসহ গ্রেপ্তার ৩

সংশ্লিষ্ট

নির্বাচনী তফসিলের আগেও ভোটার হওয়া যাবে

নির্বাচনী তফসিলের আগেও ভোটার হওয়া যাবে

অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাসের সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়

অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাসের সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়

ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার অনুমোদন

গোপালগঞ্জের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

গোপালগঞ্জের ঘটনায় তদন্ত কমিটি