রাষ্ট্র সংস্কারে সবার লক্ষ্য এক, দ্রুতই জাতীয় সনদ: আলী রীয়াজ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে সবার লক্ষ্য এক। তবে সংস্কার বাস্তবায়নের পথ নিয়ে সামান্য ভিন্নতা আছে। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করে যেসব জায়গায় ঐকমত্য আছে, তার ভিত্তিতে দ্রুতই জাতীয় সনদ তৈরি করা যাবে। এই সনদ তৈরির মাধ্যমে জাতির রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষার দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে দলটির আট সদস্য সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম ধাপের সংলাপের মাধ্যমে আলোচনার সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করে আলী রীয়াজ বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে হয়ত আলোচনা করব। আমরা বিবেচনা করব কীভাবে এক জায়গায় আসতে পারি।
স্প্রেডশিটের কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন হবে। তখন স্পষ্ট করতে পারব কমিশনগুলোর অবস্থান কি, আপনাদের (রাজনৈতিক দল) অবস্থান বুঝতে চেষ্টা করব। তার মধ্য দিয়েই প্রক্রিয়াটা অগ্রসর হবে।
জাতীয় সনদ তৈরি প্রসঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে—দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদের জায়গায় পৌঁছানো। এই কমিশনের মেয়াদ যেহেতু জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। তাই আমরা আশা করি, প্রাথমিক আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে শেষ করতে পারব। পরে আমরা পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হব।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও অংশ গ্রহণ করেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন। এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে দলটির আট সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।রোববার (১৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৮ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৫ জন, খুলনা বিভাগে ৮ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।উল্লেখ্য, গত একদিনে সারাদেশে ২২২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ২৯৯ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ২০তম দিন পালন করছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ থেকে তারা দুই দফা দাবিতে এই কর্মসূচি শুরু করেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলবে।রোববার (১৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেখা যায় নিজেদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ২০তম দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দুই দফা দাবি হলোÑ পদ সৃজন পূর্বক কর্মরত সব জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা; এবং কর্তনকৃত বেতন ও অন্যান্য ভাতাসমূহ ফেরত দেওয়া।অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের (তথ্য আপা কর্মী) সঙ্গে কোনোরকমের যোগাযোগ করার চেষ্টা করে নাই। গত ১৫-২০ বছর ধরে হাজারটা প্রকল্পে কেউ আওয়ামী লীগ আখ্যা না পেলেও ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পকে উপদেষ্টা স্বয়ং আওয়ামী লীগের আবর্জনা বলে বিদায় করতে চাচ্ছে; যার কোনোই সুযোগ নেই। কারণ কোনো সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কখনোই দলীয় হতে পারে না।তারা বলেন, ডিপিপিতে উল্লেখ থাকার পরেও, অর্থ মন্ত্রণালয় ও মহিলা শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরেও তারা পদ সৃজন সম্পর্কিত কোনো উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু আমাদের মেয়েদের প্রতিনিয়ত রাজস্বের আশ্বাস দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছে। এমনকি আমাদের বেতন থেকে প্রতিমাসে অবৈধভাবে অর্থ কর্তন করা হয়েছে; তার ব্যাখ্যা দিয়েছে যে, পরবর্তী সময়ে রাজস্ব নিতে সুবিধা হবে।তারা আরও বলেন, তথ্য আপা প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের ৯০ শতাংশ সফলতার ওপরে ভিত্তি করে ৩য় পর্যায়ে আউটসোর্সিং হিসেবে আনার পাঁয়তারা করছে মন্ত্রণালয় ও প্রধান কার্যালয়। কারণ, এখানে বিশাল নিয়োগ বাণিজ্য হবে। এসময় তারা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের ৪৯২টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ৯৬৮ জন কর্মী মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। এর মধ্যে প্রতিটি তথ্যকেন্দ্রে একজন তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড), দুজন সহকারী (১৬তম গ্রেড) এবং একজন অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড) নিয়োজিত রয়েছেন। এই কর্মীরা তৃণমূল নারীদের জন্য স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা ও সাইবার সুরক্ষা- এই আটটি বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শসেবা দিয়ে আসছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা এবং আগের অসমাপ্ত আলোচনা শেষ করতে আবারও বিএনপিসহ ৩০ দলের সঙ্গে বৈঠক করবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রোববার (১৫ জুন) কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, ১৭ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক শুরু হবে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ বৈঠক চলবে ১৯ জুন পর্যন্ত।বৈঠকে সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন, নারী প্রতিনিধিত্ব, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ (নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ) ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে।এর আগে ৩ জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের প্রথম বৈঠক হয়। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এ বৈঠকে বিষয়ভিত্তিক যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।এ প্রসঙ্গে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ১৭ জুন থেকে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা আবারও শুরু হবে। এ ধাপে ১২ বা ১৪টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রথম দিন চারটি বিষয়ের ওপর দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে।এর আগে ২ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্বিতীয় দফার এ বৈঠকের উদ্বোধন করেন। পরদিন দ্বিতীয় দফার প্রথম বৈঠকে সংবিধানের চার বিষয়- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, নিম্নকক্ষে নারী আসন, সংসদের স্থায়ী কমিটিগুলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে অর্থবিল, আস্থাভোট ও সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া সববিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন বলে একমত হয় বিএনপি-জামায়াতসহ অনেক দল।এ ছাড়া সংসদের স্থায়ী কমিটিতে বিরোধী দল থেকে কতজন সভাপতি হবেন সে বিষয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয় সেদিনের বৈঠকে। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ দল ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কমিটিতে বিরোধী দল থেকে সভাপতি করার ওপর মত দিয়েছে। বিদ্যমান স্থায়ী কমিটিগুলো ছাড়াও স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, অর্থ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রধানও বিরোধী দল থেকে করার প্রস্তাব উঠে আসে বৈঠকে। প্রথম ধাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ৪৫টি অধিবেশনে বৈঠক করে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঈদুল আজহার ছুটিতে ৫ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত জরুরিসেবা ৯৯৯ কল পেয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৩৮৮টি। এর মধ্যে মোট ১৫৬১৯ জন কলারকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিসের জরুরিসেবা দেওয়া হয়েছে।এসময়ে আসা কলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ১০২ জন কলার মারামারি সংক্রান্ত খবর দিয়ে সেবা নিয়েছেন। রোববার জাতীয় জরুরিসেবা নম্বর ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (পুলিশ পরিদর্শক) আনোয়ার সাত্তার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহা সংক্রান্ত কলে মোট ১২৭১ জন কলারকে বিভিন্ন সেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাটে চাঁদাবাজি, রাস্তায় চাঁদাবাজি, নদীতে চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক পশু অন্য হাটে নিয়ে যাওয়া, অজ্ঞান-মলম পার্টি এবং শব্দ-দূষণ সংক্রান্ত অভিযোগ ইত্যাদি।ঈদুল আজহার ছুটিকালীন (৫-১৩ জুন) সময়ে জরুরি পুলিশি সেবা দেওয়া হয়েছে ১৩৮৩১ জন কলারকে। অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হয়েছে ৯৯৩ জন কলারকে। ফায়ার সার্ভিসের সেবা দেওয়া হয়েছে ৭৯৫ জন কলারকে। সবমিলিয়ে ১৫ হাজার ৬১৯ জন কলারকে ঈদুল আজহা সংক্রান্ত জরুরিসেবা দেওয়া হয়েছে।মারামারি সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা দেওয়া হয়েছে ৪১০২ জন কলারকে। বিভিন্ন কারণে কাউকে আটকে রাখা সংক্রান্ত বিষয়ে সেবা দেওয়া হয়েছে ১২১৪ জন কলারকে। ইমার্জেন্সি অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়া হয়েছে ১০৬২ জন কলারকে। বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সম্পর্কে সেবা দেওয়া হয়েছে ৯৯২ জন কলারকে।যোগাযোগ করা হলে ৯৯৯ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, ঈদুল আজহায় ৫ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত জরুরিসেবা ৯৯৯ কল পেয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৩৮৮ কলার। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ প্রয়োজনীয় বা আমলযোগ্য কল। বাকি সব অপ্রয়োজনীয় কল।তিনি বলেন, এবার ঈদের ছুটিতে মারামারি সংক্রান্ত বিষয়ে কল এসেছে। দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, তুচ্ছ কারণে মারামারির ঘটনা, টাকা-পয়সার লেনদেন, স্বামী-স্ত্রীকে জোর করে আটকে রাখার বিষয়ে প্রতিকার চেয়েও অনেক ফোন এসেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ