গণঅভ্যুত্থানে আহতদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের প্রাণিসম্পদ খাতের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মসংস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। রোববার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধারা কিছুদিন আগেও শক্তি সামর্থ্য ও কর্মক্ষম ছিল। আহত হওয়ার কারণে তারা যেন আমাদের মূল স্রোতের বাইরে চলে যেতে না পারে সেজন্য তাদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হবে।
তিনি বলেন, একটি পত্রিকা মারফত আমরা জানতে পেরেছি প্রতিবছর এক লাখ ১৮ হাজার টন গুঁড়ো দুধ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এবং এই আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে আমাদেরকে প্রতিবছর ৪০০০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। আগামীতে যাতে এই ধরনের দুধ আমদানি করতে না হয় এবং বাংলাদেশে উন্নত মানের দুধ উৎপাদন করা যায়; সে বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মহিষের দুধের ব্যাপক উৎপাদন করে থাকে। মহিষের দুধ তেমন না চললেও মহিষের দুধের প্রতি কিন্তু মানুষের একটা চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ছাগলের দুধে ওষুধি গুণ রয়েছে। তাই আগামীতে দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বনির্ভরতা অর্জন করবে এমন উদ্যোগ সরকার নেবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন।
‘দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি এক সঙ্গে’ এবারের বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের এ প্রতিপাদ্যের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. খালেদা ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রায়হান হাবিব, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আরিফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যকে নিরাপদ পুষ্টির অন্যতম উৎস্য হিসেবে সব মহলে জনপ্রিয় করা, সেক্টরের উন্নয়নে জনাকর্ষণ বাড়ানো, বিনিয়োগ আকর্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচারণার জন্য বাংলাদেশে এই দিবস পালন করা হয়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার অন্যতম বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমেদ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।তার মৃত্যুর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন জামাতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার জাহান।তিনি জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে। চিকিৎসকরা তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক শনাক্ত করেন। পাশাপাশি তিনি ফুসফুসের সংক্রমণেও ভুগছিলেন। বুধবার বিকেলে রিং পরানোর জন্য অস্ত্রোপচারে নেওয়া হলে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটে। পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।পারিবারিক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।ড. তোফায়েল আহমেদ স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি দীর্ঘ কর্মজীবনে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা বিকাশ, নীতি প্রণয়ন ও সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার মৃত্যুতে স্থানীয় সরকার গবেষণা ও প্রশাসন অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের বিভিন্ন দেশের ভিসা প্রক্রিয়া জটিল হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সরকার ‘সচেতন ও উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।সোমবার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমরা অনেক সময় নকল বা ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করি। পাশাপাশি ইরেগুলার মাইগ্রেশনের সংখ্যাও বেশি। এ কারণে আমাদের রেপুটেশন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ভিসা পাওয়া জটিল হয়ে গেছে। আমাদের আগে ঘর গোছাতে হবে, তারপরই সমস্যার সমাধান হবে।”তিনি আরও জানান, ভিসা নিয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোর শিক্ষার্থী ভিসার বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি জার্মানিকে উল্লেখ করেন, যেখানে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আবেদন করে, অথচ দেশটির দূতাবাস মাত্র ২ হাজার ভিসা দিতে সক্ষম। “আমি জার্মান রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছি সংখ্যা কমপক্ষে ৯ হাজারে উন্নীত করার জন্য, যাতে পাকিস্তানের সমান সুযোগ দেওয়া হয়,” বলেন তৌহিদ হোসেন।পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সমস্যার এক অংশকে ভারতভিত্তিক দূতাবাসের সঙ্গে যুক্ত করে বলেন, “কিছু দূতাবাস, যা দিল্লি থেকে পরিচালিত হয়, সেখানে আবেদন প্রক্রিয়া তুলনামূলক কঠিন। এছাড়া পর্যাপ্ত ভিসাও দেওয়া হয় না।”সমাধানের পদক্ষেপ হিসেবে তিনি জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের সুবিধার্থে ভিসা আবেদনের স্থানে বৈচিত্র্য আনা হচ্ছে, যাতে তারা দিল্লির বাইরে থেকেও আবেদন করতে পারেন।ভোরের আকাশ//হ.র
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই জাতির যথেষ্ট ক্ষমতা আছে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য। তারুণ্য ও সৃজনশীলতা আমাদের শক্তি। এই শক্তি আর সুযোগ আমাদের আছে। এটাকে কাজে লাগাতে হবে। আত্মনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলে জাতিকে দাসত্ব থেকে মুক্ত করতে হবে। আমরা আর দাসত্বের মধ্যে থাকতে চাই না।বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের উত্তরণকে মসৃণ ও টেকসই করার লক্ষে প্রণীত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভা শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন।প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের কাছে এটা পরিষ্কার হতে হবে যে আমরা আর পরনির্ভর হতে চাই না। আমাদেরকে স্বনির্ভর হতে হবে। এখন যেহেতু পরনির্ভর হয়ে আছি। এর থেকে যত দ্রুত সম্ভব বের হওয়ার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এর বাইরে আর কোনো কথা নাই।তিনি বলেন, এজন্য আমাদের অভ্যাস পাল্টাতে হবে। আত্মনির্ভর হতে গেলে বুদ্ধি খাটাতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে, লড়াই করতে হবে। এটা কঠিন হলেও এ কাজে আনন্দ আছে। আমরা যে নতুন বাংলাদেশের কথা বলি, নতুন বাংলাদেশ মানেই হলো স্বনির্ভর বাংলাদেশ।সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী , এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।এছাড়া বিজিএমইএ’র সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতিও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহের নিজস্ব আচরণবিধি (কোড অভ্ কনডাক্ট) প্রণয়ন করে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।বুধবার (৮ই অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আচরণবিধি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আরও বলেন, বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহ তাদের আচরণবিধি জনসম্মুখে প্রকাশ করলে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন— তারা সেটি মেনে চলছে কি না। এতে চ্যানেলসমূহের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়বে।মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, কেব্ল টিভি ডিজিটালাইজ করার জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনরায় সভা করা হবে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে কেব্ল টিভি ডিজিটালাইজেশনের বিষয়ে সরকার একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে।মাহফুজ আলম বলেন, টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) বিষয়েও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব হবে বলেও উপদেষ্টা আশাপ্রকাশ করেন।মতবিনিময় সভায় অ্যাটকোর প্রতিনিধিরা কেব্ল টিভি ডিজিটালাইজেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁরা কেব্ল টিভিকে ডিজিটালে রূপান্তরের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জন্য কোনো আইন বা নীতিমালা প্রণয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত নেওয়া জন্য অ্যাটকোর পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সভায় অ্যাটকোর নেতৃবৃন্দ জানান, বর্তমানে বেসরকারি চ্যানেলের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ বা চাপ নেই।মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, অ্যাটকোর কোষাধ্যক্ষ জহির উদ্দীন মাহমুদ মামুন, পরিচালক মোস্তফা কামাল, পরিচালক আব্দুস সালাম, পরিচালক নাভিদুল হক ও পরিচালক টিপু আলম মিলন উপস্থিত ছিলেন।মতবিনিময় সভার আগে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।ভোরের আকাশ/জাআ