ইশরাকের শপথ ইস্যুতে স্থানীয় সরকার বিভাগের বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে তাঁর সমর্থকরা টানা পাঁচদিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী সোমবার (১৯ মে) নগর ভবনে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
এই প্রেক্ষাপটে রোববার (১৮ মে) স্থানীয় সরকার বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ইশরাক হোসেনের শপথ বিষয়ে রিট মামলার আদালতের সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায় ও নির্বাচন কমিশনের গেজেটকে চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন। সেই সঙ্গে শপথ অনুষ্ঠান না করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া রায়ে প্রতারণার অভিযোগ এনে ট্রাইব্যুনালের বিচারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হাইকোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় রাস্তায় আন্দোলন আদালতের প্রতি অবজ্ঞার শামিল। এ কারণে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এই আন্দোলন থেকে সরে আসার জন্য রাজনৈতিক দলটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বিপুল ভোটে জয়ী হন। কিন্তু চলতি বছরের ২৭ মার্চ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল তাপসকে পরাজিত ঘোষণা করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। তবে এখনও তাঁর শপথ অনুষ্ঠান হয়নি।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলছেন, আদালতের রায় ও ইসির গেজেট অনুযায়ী ইশরাকের শপথে কোনো বাধা নেই। ব্যারিস্টার ওমর ফারুক ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল দুইজনেই মনে করেন, শপথ না করানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব এড়ানোর ইঙ্গিত বহন করে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
লুটেরাদের জব্দ টাকা ও অবরুদ্ধ শেয়ারের ব্যবস্থাপনায় আলাদা একটি তহবিল হচ্ছে। এই টাকা যেসব ব্যাংক থেকে লুট হয়েছে তাদের ফেরত দেওয়া হবে। এই তহবিল থেকে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। আরেকটি অংশ দরিদ্রদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।সোমবার (১৯ মে) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পাচার টাকা ফেরত আনার বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, লুটের টাকা ব্যবস্থাপনা তহবিল খুব শিগগিরই গঠন করে সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। কারণ, এই জব্দ অর্থ সরকারের কাছে আছে। পরবর্তী সরকারও এটা ব্যবস্থাপনা করবে; সেভাবেই এই তহবিল গঠন করা হবে।এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনের পর ভেঙে পড়েছিল পুলিশ সদস্যদের মনোবল। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। গত ছয় মাস ধরে সেই অবস্থার উন্নতি ঘটছে। দায়িত্ব পালনে তারা আবার দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। এমন অবস্থায় জনগণকে কাঙ্ক্ষিত আইনি সেবা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মন জয় করার পরামর্শ দিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য ইতিবাচক কাজ করে পুলিশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে হবে।রোববার (১৮ মে) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড মাস্টার প্যারেড পরিদর্শন শেষে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রওনক আলম।প্যারেডে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা ও ফোর্সদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাস্টার প্যারেডের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো অফিসার ও ফোর্সদের মধ্যে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। এখানে শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং আইন ও বিধির বাইরে কোনো কাজ করার সুযোগ নেই।তিনি বলেন, আপনারা সপ্তাহে একদিন আপনাদের কর্মস্থলগুলো পরিষ্কার করবেন। জনগণের কল্যাণে ও পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি আরও বাড়াতে যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে ডিএমপিকে আরও আধুনিক, গতিশীল এবং জনগণের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারব।তিনি আরও বলেন, মানুষের সেবায় প্রতিটি কাজ পেশাদারত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পাদন করতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি দৃঢ় মনোবল নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। নিজেদের মনোবল সবসময় চাঙা রাখতে হবে। নিরপেক্ষ থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে জনসেবায় নিয়োজিত করতে হবে। মাস্টার প্যারেডে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদসহ পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার নামে মামলা ছিল বলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সোমবার (১৯ মে) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নুসরাত ফারিয়ার নামে হওয়া মামলার তদন্ত চলছে। নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।তিনি বলেন, যারা জুলাই গণহত্যায় প্রকৃত অপরাধী তারাই যাতে গ্রেফতার হয়, কেউ যেন ভোগান্তির শিকার না হয়- এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টার বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা ওনার ব্যক্তিগত মতামত হতে পারে।এ মাসের মধ্যে সব গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বোনাস দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পহেলা জুন থেকে ৩ জুন পর্যন্ত বেতন পরিশোধ করতে হবে সব মালিকদের।ব্রিফিংয়ে অযৌক্তিক দাবি কেউ যেন রাস্তা বন্ধ করে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি না করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঈদুল আজহায় কুরবানির গরুর গাড়ি কোনো রাস্তায় নামাতে পারবে না। সরাসরি হাটের মধ্যে নামাতে হবে। প্রতিটি হাটে ৭৫ জন করে আনসার বাহিনীর সদস্য থাকবেন। ঈদের আগে এবং পরের তিনদিন বাল্ক (বৃহৎ আকারের পণ্য বা মালপত্র বহনের যান) চলাচল বন্ধ থাকবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব ইশরাক হোসেনকে বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে টানা পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে তার সমর্থকরা। নগর ভবন আটকে আজও ব্লকেড কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করায় বন্ধ রয়েছে সেবা কার্যক্রম।সোমবার (১৯ মে) সকাল থেকে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ডিএনসিসি নগর ভবন ব্লকেড ঘোষণা করে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে ডিএনসিসি নগর ভবন ব্লকেড ঘোষণা করে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নগর ভবনের সামনে ঢাকাবাসীর ব্যানারে এসে জড়ো হন তারা। তাদের ব্লকেডে আটকে গেছে নগরভবন এবং এখানকার সব সেবা কার্যক্রম।এদিকে আজ পঞ্চম দিনের মতো অবরুদ্ধ আছে নগর ভবন। সব ধরনের সেবা কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে আছে বিগত কয়েকদিন ধরে। নগরভনের মূল ফটকসহ অন্যান্য সব বিভাগের গেটে তালা লাগিয়ে রেখেছেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ইশরাকপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে আজও কোনো সেবা পাওয়া যাচ্ছে না নগরভবনে। সেবাগ্রহীতাদের সেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে।নগরভবনের সামনে অবস্থানকারী বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, এখন পর্যন্ত ইশরাকের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যতদিন ইশরাক হোসেনকে শপথ পাঠ করানো না হবে, ততদিন আমরা একইভাবে নগর ভবনের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাবো এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হন। গেল ২৭ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২০২০ সালের নির্বাচনে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। রায়ের কপি পেয়ে ২২ এপ্রিল গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চায় নির্বাচন কমিশন।ভোরের আকাশ/এসএইচ