বিসিবি নির্বাচন নিয়ে ইশরাক
ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৩৯ এএম
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, সবকিছু খুলে বললে অনেকের প্যান্ট খুলে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি লিখেছেনন, গত কয়েকদিন বিসিবি নির্বাচন নিয়ে অনেক কিছু বলার থাকলেও, নির্বাচনকে আরও প্রভাবিত না করার জন্য কোনও পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কিছু লিখিনি। গণমাধ্যম যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও আমি কৌশলী ভূমিকায় ছিলাম। আজকে অল্প কয়েকটি কথা বলবো, কারণ ভেতরের-বাইরের সব কিছু খুলে বললে অনেকের পরনের প্যান্ট খুলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হতে পারে।
তিনি বলেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতার ছেলেরা ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চেয়েছিলেন দেশ ও জাতিকে কিছু দেওয়ার উদ্দেশ্যে। আমাদের সকলের ভালোবাসা ও গৌরবের জায়গা ক্রিকেট। কিছু লোক এমনভাবে মন্তব্য করলো, যেন রাজনীতিবিদ অথবা তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্রীড়া সংগঠক হওয়া হারাম। এ যেন বিশাল কোনো কেলেঙ্কারি-দুর্নীতি-আইনের লঙ্ঘন।
ইশরাক বলেন, যারা নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন, প্রত্যেককে আমি খুব ভালোভাবেই চিনি ও জানি। ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে—তা সংগঠক হিসেবে অথবা অর্থায়নের মাধ্যমে। ক্লাবগুলো ওনাদের কাউন্সিলরশিপ দিয়েছে। সেখানে তাদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করা খুবই সহজ।
তিনি বলেন, বর্তমানে যাদের আমরা কিংস পার্টি বলি, তাদের ইন্ধনে একজন উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় তাদের দলের নির্বাচিত কাউন্সিলর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এজন্য ডিসিদের অকথ্য ভাষায় হুমকিও প্রদান করেছেন উপদেষ্টা।
শেষ কথা হিসেবে ইশরাক লিখেছেন, প্রার্থীরা একেকজন অত্যন্ত যোগ্য, শিক্ষিত, ক্রিকেটপ্রেমী এবং অত্যন্ত সক্ষম। তারা কেবল ক্রিকেটকে ভালোবাসেন এবং সার্বিকভাবে ক্রিকেটে অবদান রাখার সুযোগ চেয়েছিলেন—তা জাতীয় এবং জেলাপর্যায় পর্যন্ত। এনিওয়ে, নাথিং ইজ পার্মানেন্ট। বিশেষ করে একটি সম্পূর্ণ পূর্বনির্বাচনি পদ্ধতি ব্যবহার করে, নিজেদের কাউন্সিলর অন্তর্ভুক্ত করে এবং অন্যদের বৈধ কাউন্সিলরশিপ বাদ দিয়ে, বোর্ডে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতেই এতোসব আয়োজন কিংস পার্টির তরফে সেই উপদেষ্টা করেছেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, কতটুকু সফল হবে এবং কতটুকু টিকে থাকবে তা কিছু মাসের মধ্যে দেখা যাবে। এই নাটকের দ্বিতীয় পর্ব আসতে পারে আগামী বছর।
বিএনপির পরিবারের সদস্যরা ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি অথবা অন্য যেকোনও পেশায় ১৭ বছর বৈষম্যের শিকার হয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, একটাই দোষ ছিল বিএনপি পরিবার হওয়া। এখন এই সরকারের এক বা একাধিক উপদেষ্টা ওই হাসিনার কথার হুবহু কপি করছে। তারা বলে-বিএনপি লোকজন বিসিবিতে কী করে? বা ক্রীড়াঙ্গনে বিএনপির কী কাজ? মহান আল্লাহ তায়ালা চাইলে বিসিবিতে ওনারা কী করেন এবং ওনাদের কাজ কি, তা নিকট ভবিষ্যতে দেখা যাবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ