ছবি: ভোরের আকাশ
তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছ থেকে সম্মাননা সনদ গ্রহণ করছেন সাংবাদিক মুসাফির মানিক। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসিকতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সম্মাননা পেয়েছেন ভোরের আকাশের ফটো সাংবাদিক মুসাফির মানিক।
সম্প্রতি রাজধানীর তথ্য ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে শহীদ সাংবাদিক-পরিবার এবং আহত ও সাহসী সাংবাদিকদের এ সম্মাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মাননা তুলে দেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাউসার আহম্মেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।
সাংবাদিক সম্মাননা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে আন্দোলনকালীন সময়ে আহত ১৯২ জন সাংবাদিক ও শহীদ পাঁচ সাংবাদিকের পরিবারকে সম্মাননা, সনদ, ক্রেস্ট এবং আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে।
শহীদ সাংবাদিকদের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং আহত ও সাহসী সাংবাদিকদের ২৫ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করা হয়। অনুদানগুলো বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হয়।
ট্রাস্টের সম্মাননা গ্রহণকারীদের তালিকায় ছিলেন ভোরের আকাশ এর ফটো সাংবাদিক মোহাম্মদ মুসাফির মানিক, যিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন।
ফটো সাংবাদিক মানিকের ভাষ্য মতে, রাজধানীর মানিক নগর বিশ্বরোড মোড়ে তিনি হামলার শিকার হন এবং শারীরিকভাবে জখম হন।
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাহসী সাংবাদিকদের এই সম্মাননা ভবিষ্যতে আরও সুসংগঠিতভাবে চালু রাখা হবে, যেন সাংবাদিকতা পেশায় সাহস, সততা ও দায়িত্ববোধের চর্চা অব্যাহত থাকে।
এছাড়া সম্মাননা পেয়েছেন কালের কণ্ঠ পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, দ্য ডেইলি স্টারের সিনিয়র ফটো সাংবাদিক মো. ইমরান হোসেন, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মো. বশির উদ্দিন, মাছরাঙা টেলিভিশনের সাভার প্রতিনিধি সৈয়দ হাসিবুল, দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ফটো সাংবাদিক এস. এ. মাসুম, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মো. খালেদ সরকার, দৈনিক রূপান্তর পত্রিকার ফটো সাংবাদিক মোশারফ হোসেন এবং দৈনিক বর্ণিক বার্তার ফটো সাংবাদিক কাজী সালাউদ্দিনসহ সারাদেশের ১৯২ জন সাংবাদিককে সাহসিকতা ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক শহীদ রানার মা আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি।শহীদ রানার মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ডিএসইসি’র সভাপতি মুক্তাদির অনিক ও সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান। দপ্তর সম্পাদক জাফরুল আলম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫। তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে রেখে গেছেন। ঢাকার খিলক্ষেত বটতলা জামে মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে তাকে পটুয়াখালী জেলাধীন বাউফল উপজেলার নিজ গ্রামে দ্বিতীয় জানাজার পর পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।উল্লেখ্য, এর আগে গত ২ অক্টোবর শহীদ রানার পিতা মৃত্যুবরণ করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকার রিপোর্টিং বিভাগের ‘মাসিক (সেপ্টেম্বর) সেরা রিপোর্টার’ নির্বাচিত হয়েছেন বিশেষ প্রতিনিধি নিখিল মানখিন।এক মাসে প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনসমূহ সাতটি বিষয়ের ওপর পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) পুরস্কারটি প্রদান করা হয়েছে।পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীর হাতে পুরস্কারের নগদ অর্থসহ একটি প্রশংসাপত্র তুলে দেন পত্রিকাটির সম্পাদক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।অনুষ্ঠানে ভোরের আকাশ পত্রিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদের সভায় অবিলম্বে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন, সাংবাদিক সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন, সাংবাদিকদের সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন নির্ধারণ, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যার বিচার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সব কালা কানুন বাতিল, ডিএফপিকে দুর্নীতিমুক্ত করা এবং সরকারি বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র প্রদানে স্বচ্ছতা আনয়নসহ ১০ দফা দাবি জানানো হয়েছে।শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এসব দাবি জানানো হয়।বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীনের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে সহসভাপতি মুহাম্মদ খায়রুল বাশার, একেএম মোহসীন, সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন ও এহতেশামুল হক শাওন, কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক মো. আবু বকর, প্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহান সাজু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মোদাব্বের হোসেন, অর্পনা রায়, মুহাম্মদ আবু হানিফ, ম. হামিদুল হক মানিক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনা সভাপতি আনিসুজ্জামান আনিস, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি গনেশ দাশ, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম হেলালী, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল জলিল ভূঁইয়া, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুর সাধারণ সম্পাদক মাহফুজের রহমান রিপন, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর সভাপতি এইচ এম দেলোয়ার, সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত উল্লাহ, সাংবাদিক ইউনিয়ন ফেনী সভাপতি সিদ্দিক আল মামুন, বরিশাল জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আযাদ আলাউদ্দিন, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন মানিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।সভার এক প্রস্তাবে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও কার্যত তা হচ্ছে না। অথচ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলেছে। তাই বর্তমান সরকারকে দ্রুত নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন এবং দশম ওয়েজ বোর্ড গঠনের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে সংবাদপত্র, অনলাইন, টেলিভিশন, রেডিও ও মাল্টিমিডিয়ার জন্য অভিন্ন ওয়েজবোর্ড করতে হবে। অপর এক প্রস্তাবে বলা হয়, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে যেমন পুঁতে রাখা হয় স্থলমাইন, তেমনি সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধে নানা ধরনের স্থল মাইন ছড়িয়ে আছে। এই স্থলমাইন হচ্ছে বিভিন্ন নিপীড়নমূলক আইন। সাংবাদিকদের ধরতে অন্তত ২০টি আইন আছে। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এমন আইন রয়েছে ৩২টি। এমতাবস্থায় সাংবাদিকরা কিছু লিখতে গেলে, বলতে গেলে ৩২ বার ভাবেন। আইনের ফাঁদে পড়ার ভয়ে অনেকে সেলফ সেন্সরশিপ করতে বাধ্য হন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ রানার বাবা চান গাজী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর খিলক্ষেতে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ আসর তার প্রথম নামাজের জানাজা খিলক্ষেত বটতলা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ