বিনোদন প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৫ ১১:০২ এএম
সংগৃহীত ছবি
নজরুল চর্চা ও গবেষণায় অবদান রাখার জন্য এবার তিনজনকে সম্মাননা দিয়েছে নজরুল চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র ‘আমিই নজরুল’।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ‘আমিই নজরুল’ নামের নজরুল চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র আয়োজন করে ‘নজরুল স্মরণে’ অনুষ্ঠান।
আয়োজকরা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ওই আয়োজনে কাজী নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কবির নাতনি খিলখিল কাজী, নজরুলসংগীতশিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী ও গবেষক ও লেখক অনুপম হায়াৎকে সম্মাননা দেওয়া হয়। তবে অনুপম হায়াতের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার ছেলে ইশতিয়াক রহমান।
অনুষ্ঠানে খিলখিল কাজী কবির শেষ দিনগুলোর কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এই সম্মাননা পেয়ে গর্বিত বোধ করছি। আমাদের পরিবারে হাসি-গান ছিল জীবনের অংশ। দাদু ১৯৪২ সালে অসুস্থ হয়ে স্তব্ধ হয়ে যান।’
‘তারপর থেকে তিনি যেন শিশুর মতো হয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় দাদী প্রমীলা তার সব কাজে পাশে থেকেছেন। বাসায় সে সময় অনেকেই কবিকে দেখতে আসতেন। ছাত্রছাত্রীদের গান-বাজনার আসরও বসত। এতে কবি আনন্দ পেতেন, মনে হতো তিনি আবার কথা বলা শুরু করবেন। দাদু সারাজীবন অত্যাচার-অনাচারের বিরুদ্ধে লিখেছেন। মানুষকেই বড় করে দেখেছেন। মানুষের চেয়ে মহান কিছু নেই- এই জয়গান তিনি গেয়েছেন।’
ইয়াসমিন মুশতারী বলেন, বাংলাদেশকে ভালোবাসতে হবে- এই শিক্ষা নজরুল শিখিয়েছেন। ‘নজরুলকে ভালোবাসা মানেই বাংলাদেশকে ভালোবাসা। নজরুল মানেই বাংলাদেশ। তিনি যে অমূল্য লেখা ও সৃষ্টিকর্ম আমাদের জন্য রেখে গেছেন, সেগুলো ছড়িয়ে দিতে পারলেই বাংলাদেশ সঠিক পথে অগ্রসর হবে।’
অনুপম হায়াতের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘নজরুল সংগঠনের নাম উচ্চারণ করলেই আমি নজরুলের উপস্থিতি অনুভব করি। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে নজরুলচর্চা আরও বিকশিত হবে। কাজী নজরুল ইসলাম একজন মহাসমুদ্র। সাহিত্য থেকে চলচ্চিত্র - সকল শাখায় তিনি অনবদ্য অবদান রেখে গেছেন। মানবকবি নজরুল বেঁচে থাকলেই আমরা আমাদের অস্তিত্বে টিকে থাকব।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে দেন ‘আমিই নজরুল’-এর নির্বাহী পরিচালক আবু সাঈদ। তিনি বলেন, ‘আমিই নজরুল চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র ২০১৮ সাল থেকে নিয়মিত নজরুল নিয়ে অনলাইন ও অফলাইনে কাজ করে যাচ্ছে। সে বছরই এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তরুণ প্রজন্মের কাছে কবির সাম্যবাদী চিন্তা ও মানবিক ভাবনা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ কে এম শাহনাওয়াজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান মো. এমরান জাহান, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি, কবি রোকেয়া ইসলাম, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অনুবাদক ড. এলহাম হোসেন, নজরুল গবেষক নাসির আহমেদ, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ইয়াসমিন মুশতারী, উম্মে রুমা, শাহিনা পারভীন, শায়লা রহমান, সংগীতা পাল, ইশরাত জাহান, মো. সম্রাট, মোহনা রেজা, অদ্বিতীয়া। নাচ পরিবেশন করেন সেজুতি দাস।
ভোরের আকাশ/তা.কা