সংগৃহীত ছবি
শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায় কিশমিশ। শুকনো কিশমিশ খাওয়ার পরিবর্তে ভিজিয়ে খেলে উপকার বেশি।
প্রতিদিন কিশমিশের পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পাবেন ওষুধ ছাড়াই। এ ছাড়া কিশমিশ হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল। কিশমিশে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ আছে। আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা সহজে রোগমুক্তির কারণ। আর রয়েছে প্রচুর আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার।
ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা-
১. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি কিশমিশ। এর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম হাই উচ্চ রক্তচাপ বশে রাখে।
২. রক্ত স্বল্পতা কমায়
রক্ত স্বল্পতা কমাতে কিশমিশ যথেষ্ট উপকারী। নিয়মিত কিশমিশ খেলে এর মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এ ছাড়া এর মধ্যে আছে তামা, যা রক্তে লাল রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
৩. হজমশক্তি বাড়ায়
সুস্থ থাকার জন্য ভালো হজমশক্তি জরুরি। এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রোজ রাতে একগ্লাস পানিতে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভোরে সেই কিশমিশ খান। নিজেই তারপর তফাত খেয়াল করুন দিন ১৫ পরেই।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান তবে ভেজা কিশমিশ ও তার পানি নিয়মিত খান। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. বিষমুক্ত শরীর
শরীরকে দূষণমুক্ত করতে কিশমিশ খান নিয়মিত। চারদিকের দূষণে আপনি যখন জেরবার তখন সকালে খালি পেটে ভেজানো কিশমিশ খেলে শরীর বিষমুক্ত হবে। ভেজানো কিশমিশের পাশাপাশি কিশমিশ ভেজানো পানিও খেতে পারেন।
৬. কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
নিয়মিত কিশমিশ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। আপনি যদি পেটের সমস্যায় নিয়মিত ভোগেন তাহলে প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ভেজানো কিশমিশ খান। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পান তারা ওষুধের বদলে নিয়মিত কিশমিশ খেয়ে দেখতে পারেন।
ভোরের আকাশ/তা.কা
সংশ্লিষ্ট
অনেকেই দিন শুরু করেন এক গ্লাস টাটকা কমলার রস দিয়ে। সকালের নাস্তায় এটি একপ্রকার ঐতিহ্যেই পরিণত হয়েছে। ভিটামিন ‘সি’-সমৃদ্ধ কমলার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক সুন্দর রাখে, এমনকি হৃদযন্ত্রেরও সুরক্ষা দেয়—এমনটাই সাধারণ ধারণা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সকালে খালি পেটে কমলার রস পান করা কি আসলেই নিরাপদ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তরটা এতটা সরল নয়।কমলার রসে কী কী পুষ্টি থাকে?কমলার রস পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে আছে ভিটামিন ‘সি’, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম, ফোলেটসহ নানা প্রয়োজনীয় উপাদান। মার্কিন কৃষি বিভাগ (USDA)-এর তথ্য অনুযায়ী, এক কাপ (প্রায় ২৫০ গ্রাম) কমলার রসে থাকে প্রায় ১২২ ক্যালোরি, ২১ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি, ১.৭ গ্রাম প্রোটিন এবং ৪৪৩ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম।এই রস কোষের ক্ষতি রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে, এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন হার্ট অ্যাটাক, ডায়াবেটিস বা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। তাছাড়া, যাদের কিডনিতে পাথর রয়েছে, তাদের জন্যও এটি উপকারী হতে পারে—কারণ এটি প্রস্রাবকে কম অ্যাসিডিক করে, যা কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।খালি পেটে কমলার রস খাওয়া কতটা নিরাপদ?বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পেটে কমলার রস পান করলে অনেকের হজমে সমস্যা হতে পারে। কারণ এতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটির মাত্রা বাড়ায়, বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা অম্বলের সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি ক্ষতিকর।‘Roczniki Państwowego Zakładu Higieny’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কমলা ও আঙুরের রস খালি পেটে পান করলে GERD (গ্যাস্ট্রো-ওইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ) হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এতে পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালিতে ফিরে আসে, যা বুক জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি তৈরি করে। ডায়াবেটিস রোগীরা কি সকালের নাস্তায় কমলার রস খেতে পারেন?কমলা ফল হিসেবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সাধারণত নিরাপদ, কারণ এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৪৩। কিন্তু কমলার রস খাওয়া একেবারে আলাদা বিষয়। রস বানানোর সময় ফাইবার বাদ পড়ে যায়, ফলে এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি (ফ্রুক্টোজ) সরাসরি রক্তে শর্করা বাড়িয়ে দেয়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খালি পেটে কমলার রস পান করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগী বা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকর।ফল না রস—কোনটি ভালো?পুষ্টিবিদদের মতে, পুরো কমলা খাওয়া সব সময়ই রসের চেয়ে বেশি উপকারী। পুরো ফলে ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হজমেও সাহায্য করে। এছাড়া আস্ত কমলা খেলে পেটও ভালোভাবে ভরে, ফলে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের আশঙ্কা কমে যায়।অতিরিক্ত সেবনের ঝুঁকিকমলা বা কমলার রস—দুটিই উপকারী, তবে পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত সেবনে দেখা দিতে পারে বুক জ্বালাপোড়া, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, এমনকি দাঁতের এনামেল ক্ষয়ও। নিয়মিত অতিরিক্ত কমলার রস খেলে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি এবং হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাহলে কীভাবে খাবেন?বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন—খালি পেটে নয়, খাবারের পর বা মাঝেমধ্যে কমলার রস পান করা ভালো।চিনি ছাড়া টাটকা রসই সর্বোত্তম।দিনে এক গ্লাসের বেশি না খাওয়াই উত্তম।কমলার রস স্বাস্থ্যকর হলেও সময়, পরিমাণ ও অভ্যাসের ওপরই নির্ভর করে এটি উপকারী না ক্ষতিকর হবে। খালি পেটে নয়, বরং সঠিক সময়ে পরিমিত পরিমাণে কমলার রস পান করলেই পাওয়া যায় এর আসল উপকারিতা।ভোরের আকাশ//হর
বরিশালের চিংড়ি মাছের জলভরা বা জলটোবা তৈরি করতে, খোসা ছাড়ানো চিংড়িকে ডাল বাটা, মশলা ও বেসন দিয়ে মেখে বড়ার আকারে ভেজে নেওয়া হয়। এই ভাজা বড়াগুলো সুস্বাদু ঝোলে দেওয়া হয়, যা "জল" তৈরি করে। এই ঝোল বা গ্রেভি মূলত নারকেল দুধ ও অন্যান্য মশলার মিশ্রণে তৈরি করা হয়, যা বড়াগুলোকে নরম করে এবং একটি বিশেষ স্বাদ দেয়চিংড়ি দিয়ে সুস্বাদু সব খাবার তৈরি করা যায়। তার একটি হলো চিংড়ির জল বড়া। এটি তৈরি করা যেমন সহজ, খেতেও দারুণ স্বাদ। তবে সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে চিংড়ি বড়া তৈরি করা যাবে না। কারণ এটি সতর্কতার সঙ্গে তৈরি না করলে বড়ার আকৃতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অতিথি আপ্যায়নে বা ঘরোয়া রান্নায় রাখতে পারেন চিংড়ির এই পদ। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক চিংড়ির জল বড়া তৈরির রেসিপি-তৈরি করতে যা লাগবেছোট চিংড়ি- ১ কাপনারিকেলের দুধ- ১ কাপলবণ- স্বাদমতোকাঁচা মরিচ কুচি- ৪-৫টাসরিষার তেল- ৫ চা চামচতেজপাতা- ১টিজিরা- ১/২ চা চামচদারুচিনি- ১ টুকরাএলাচ- ২টিপেঁয়াজ কুচি- ১টিআদা রসুন বাটা- ২ চা চামচহলুদের গুঁড়া- ১ চা চামচমরিচের গুঁড়া- ১ চা চামচজিরা গুঁড়া- ১ চা চামচঘি- ১ চা চামচ।সংগৃহীত ছবিযেভাবে তৈরি করবেনপ্রথমে ছোট চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে বেটে বা ব্লেন্ড করে নিন। এবার তাতে লবণ ও ২-৩টি কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে ভালোভাবে মেখে ছোট ছোট বলের মতো তৈরি করে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, জিরা, আস্ত গরম মসলা ও পেঁয়াজ কুচি ভাজুন। এবার একে একে আদা রসুন বাটা, লবণ, হলুদ, মরিচের গুঁড়া, জিরা গুঁড়া দিয়ে কষাতে হবে।মসলা কষানো হলে নারিকেলের দুধ দিয়ে নেড়ে আগে থেকে তৈরি করা চিংড়ির বলগুলো দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। ৫-৬ মিনিট পর বলগুলো শক্ত হয়ে ঝোল ঘন হলে, কাঁচা মরিচ কুচি ও ঘি দিয়ে নামিয়ে নিন। এবার গরম গরম ভাত, পোলাও, খিচুড়ি, রুটি কিংবা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন সুস্বাদু চিংড়ির জল বড়া।ভোরের আকাশ/তা.কা
বর্তমানে অ্যাপল সিডার ভিনেগার বা আপেল ভিনেগার স্বাস্থ্যসচেতনদের অন্যতম প্রিয় প্রাকৃতিক উপাদান। শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়াতেই নয়, বরং এটি শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমকে সঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিপাক প্রক্রিয়া বাড়ানো থেকে শুরু করে হজমে সহায়তা—সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব স্পষ্ট।বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পেটে অ্যাপল সিডার ভিনেগার পান করলে এর উপকারিতা আরও বেড়ে যায়। এটি শরীরের পুষ্টি শোষণকে বাড়ায়, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং সামগ্রিক সুস্থতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চলুন জেনে নিই, খালি পেটে অ্যাপল সিডার ভিনেগার পান করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা—০১. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে:অ্যাপল সিডার ভিনেগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরের কার্বোহাইড্রেট নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি খাবার হজমের গতি কমিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। ডায়াবেটিস কেয়ার-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে ঘুমানোর আগে ভিনেগার সেবন করেন, তাদের পরদিন সকালে রক্তে শর্করার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে।০২. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:সকালে অ্যাপল সিডার ভিনেগার পান করলে তা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। BMJ Nutrition, Prevention & Health জার্নালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ভিনেগার সেবনকারীদের ওজন কিছুটা কমে এবং বিপাকীয় কার্যকারিতা উন্নত হয়।০৩. হজমশক্তি বাড়ায়:ভিনেগারের প্রাকৃতিক অম্লতা পেটের অ্যাসিড উৎপাদন বাড়ায়, যা খাবার দ্রুত ভাঙতে সাহায্য করে। এটি পুষ্টি শোষণ উন্নত করে, পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি কমায়। এছাড়া অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটিয়ে হজমতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।০৪. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে:সকালে নিয়মিত অ্যাপল সিডার ভিনেগার খাওয়া ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (LDL) এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এটি হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে ও ধমনীতে চর্বি জমার ঝুঁকি কমায়।০৫. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়:অ্যাপল সিডার ভিনেগারে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ও pH ভারসাম্য রক্ষাকারী গুণ। এটি শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করতে সহায়তা করে, ফলে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও সতেজ। নিয়মিত সেবনে ত্বকের প্রদাহ বা একনে নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।ওজন কমাতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার সঠিকভাবে পান করার উপায়:ওজন কমানোর জন্য এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে ১–২ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। প্রয়োজনে পরিমাণ ধীরে ধীরে ১–২ টেবিল চামচ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে, তবে অবশ্যই পানি মিশিয়ে নিতে হবে।সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:যদিও পরিমিত পরিমাণে অ্যাপল সিডার ভিনেগার সাধারণত নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত সেবন বিপরীত ফল দিতে পারে।দাঁতের এনামেল ক্ষয়পেটে অস্বস্তি, বুকজ্বালা বা বমি বমি ভাবঘন অবস্থায় খেলে গলায় জ্বালাপোড়াকিছু ওষুধের (যেমন ইনসুলিন বা ডাইইউরেটিক) সঙ্গে মিথস্ক্রিয়াতাই সবসময় পানি দিয়ে মিশিয়ে পান করুন এবং যাদের পূর্ববর্তী কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে, তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।বাড়িতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার তৈরি করার সহজ পদ্ধতি:আপেল টুকরো করে একটি কাচের জারে নিন, তার সঙ্গে চিনি ও পানি যোগ করে কাপড়ে ঢেকে দিন। মিশ্রণটি উষ্ণ ও অন্ধকার স্থানে ৩–৪ সপ্তাহ রেখে দিন এবং মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। এরপর তরলটি ছেঁকে আরও ৩–৪ সপ্তাহ রেখে দিন যতক্ষণ না এতে ভিনেগারের টক গন্ধ তৈরি হয়।সতর্ক থাকুন, সচেতনভাবে খান, আর প্রাকৃতিক উপায়ে রাখুন শরীরকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত।ভোরের আকাশ//হ.র
লাইফস্টাইল ডেস্কবারবার চেষ্টা করেও কি ওজন কমাতে পারছেন না? ডায়েট শুরু করলেও কিছুদিন পরেই ছেড়ে দেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন—জীবনযাপনে সামান্য পরিবর্তন আনলেই স্বাস্থ্যকর উপায়ে মাত্র এক মাসে ৩ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব। এজন্য তিনটি সহজ অভ্যাস মেনে চলতে হবে।১. প্রোটিন সমৃদ্ধ সকালের নাস্তাদিনের শুরুটা হোক প্রোটিনভিত্তিক খাবার দিয়ে। ডিম, টক দই কিংবা ফলের সঙ্গে প্রোটিন যুক্ত খাবার খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। ফলে অপ্রয়োজনীয় খাবারের প্রবণতা কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রোটিন বিপাক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং শরীরের চর্বি ভাঙনে সহায়তা করে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকর্ষণও কমায়।২. পর্যাপ্ত পানি পানপ্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার অভ্যাস ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পানি শরীরের বিপাকীয় হার বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। খাবারের আগে এক গ্লাস পানি ক্ষুধা কমায়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা রোধ হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত এবং সব ধরনের চিনিযুক্ত পানীয় বাদ দিয়ে কেবল বিশুদ্ধ পানি খাওয়াই শ্রেয়।৩. নিয়মিত ব্যায়ামওজন কমানো ও সুস্থ থাকার মূল চাবিকাঠি হলো শারীরিক ব্যায়াম। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হালকা-ফুলকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, দৌড়, সাইকেল চালানো বা ঘরে বসে জাম্পিং জ্যাক ও প্ল্যাঙ্ক করলে কার্যকরভাবে ক্যালোরি পোড়ে। সকালের ব্যায়াম সারা দিনের রক্তে শর্করা ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রোটিনভিত্তিক নাস্তা, যথেষ্ট পানি পান আর নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস যদি একসাথে করা যায়, তবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে দ্রুত ওজন কমানো সম্ভব।ভোরের আকাশ//হ.র