সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুলসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবিএম তাজুল ইসলামসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তাজুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান।
এছাড়া, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৬ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আবসার, টিএনজি গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহিদা হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন শামীম, ম্যাক্সিম এক্সপো এ্যাপারেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শফিকুর রহমান, অলিম্পিক ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক মো. গোলাম মাওলা মজুমদার, রেদওয়ান বিন কিবরিয়া, রিফাত বিন কিবরিয়া, টিআরজেড গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক হারুন অর রশীদ, নাসিমা রশীদ, খান টেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ হোসেন খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবীর সেলিম, পরিচালক লুবনা কবীর সেলিম, পরিচালক, সিফাত হোসেন খান, ডুকাটি এ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ আহমেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খায়ের মিয়া।
এর আগে, তাজুল ইসলামসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পৃথক আবেদন করে দুদক।
আবেদনে বলা হয়, উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তারা দেশত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিতকরণের নিষেধাজ্ঞা অতীব জরুরি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়াসহ ছয়জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।সোমবার (১৯ মে) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন- নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী হালিমা সুলতানা জিনিয়া ও তাদের তিন সন্তান। তিন সন্তানের নাম হলো- সাদ আল জাবির আব্দুল্লাহ, লাবিবা আব্দুল্লাহ ও মোসাম্মৎ হাবিবুন নাহার।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক সাজিদুর রোমান দুটি আবেদনে এ পরিবারটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার এ আবেদন করেন। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। এসময় যেন তারা বিদেশে পালাতে না পারেন তাই দুদক থেকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়েছে। আদালত তা মঞ্জুর করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
বজ্রপাতে প্রাণহানি এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।একই সঙ্গে বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন ফলনামা আকারে দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহামমদ কাউছারের করা এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এই আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও সিকদার মাহমুদ রাজির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিট আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার ও নাঈম সরদার। এ ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশসচিব, পরিকল্পনাসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিট আবেদনে বলা হয়, বজ্রপাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিশেষত কৃষক ও জেলেরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বজ্রপাতে ১৭৭ জনের মধ্যে ১২২ জনই কৃষক। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও গাইবান্ধা দেশের সবচেয়ে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা। বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা এখন অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন সাইক্লোন, বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যার চেয়ে বেশি। গ্রামীণ এলাকার বিস্তৃত জমি, খোলা মাঠ ও খেলার মাঠ এখন বজ্রপাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যদিও সরকার বজ্রপাতকে ২০১৬ সাল থেকে একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে, তবু বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত গৃহীত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।আরও বলা হয়, বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা এড়াতে পাশের দেশ নেপাল ইতিমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বজ্রপাতের ফলে হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। পদক্ষেপগুলোর মধ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও সচেতনতা তৈরি, আগাম সতর্কতামূলক টেলিযোগাযোগব্যবস্থা তৈরি, হাওর-বাঁওড় এলাকায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, তালগাছ রোপণ, মোবাইলে খুদে বার্তা প্রেরণ, বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং বজ্রপাত থেকে বাঁচার বিভিন্ন কৌশল লিফলেট আকারে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকায় বিতরণ করা উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া বজ্রপাত ও প্রতিরোধসংক্রান্ত যেসব যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে হবে, সেসব সরঞ্জাম সহজলভ্য করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ এর নির্দেশনা ও চাওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক মানুষের জীবনের অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। মানুষের জীবন রক্ষায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সাংবিধানিক এবং আইনি দায়িত্ব। একই সাথে বজ্রপাতে নিহত এবং আহতদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সুবিধা এবং ক্ষতিপূরণ দেয়াও রাষ্ট্রের দায়িত্ব।স্বাভাবিক অর্থে বজ্রপাত প্রকৃতির একটি অমোঘ নিয়তি হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে আধুনিক গবেষণা এবং প্রযুক্তির বিকাশের ফলে বজ্রপাত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষের প্রাণহানি এবং ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। এই বিষয়ে রাষ্ট্রকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গবেষণালব্ধ উপাত্ত থেকে দেখা যায়, বজ্রপাতে অধিকাংশ গরিব কৃষক ও জেলেরা আক্রান্ত হয় যেহেতু তারা বিস্তীর্ণ ভূমিতে এবং নদী অঞ্চলে বসবাস করেন এবং পেশায় কর্মরত থাকেন। ফলে রাষ্ট্রের ধণিক সমাজ তাদের কথা একেবারেই ভুলে থাকে। এটি রাষ্ট্রের বৈষম্যমূলক আচরণ। ইতিপূর্বে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদেরকে কয়েকবার নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব না পেয়ে ওই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।ভোরের আকাশ/জাআ
সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় আইনজীবীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় আওয়ামীপন্থি ৬১ জন আইনজীবীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।একইসঙ্গে তাদের জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৯ মে) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান ও আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ওই ৬১ জন আইনজীবীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৫ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ওই আদেশ দেন।গত ২২ এপ্রিল সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় আইনজীবীদের মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় আওয়ামীপন্থি ৬১ জন আইনজীবীকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের ওপর হামলা, আইনজীবীদের চেম্বার ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আওয়ামীপন্থি ১৪৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে ১১৫ আইনজীবী উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক।এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা ১০টার পর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তার জামিন বিষয়ে আরও শুনানির জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেন।এর আগে রোববার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে ভাটারা থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ