মঞ্চস্থ হলো থিয়েটার বাংলার নাটক "তক্ষক"
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের আয়োজনে একুশের আলোকে নাট্য প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে থিয়েটার বাংলা, সিলেট তাদের "তক্ষক" নাটকটি কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে মঞ্চস্থ করে আজ বুধবার।
নাটকের মহারাজ পরিক্ষিৎ চরিত্রে অভিনয় করেন জয়ন্ত কুমার দাস, তন্ত্রীপাল চরিত্রে মুর্শেদ তালুকদার, ঋষি শমিক চরিত্রে মোঃ তাজুদ মিয়া কামালী ও ঋষিপু্ত্র শৃঙ্গীর চরিত্রে গোপাল সূত্রধর। নাটকটি রচনা করেছেন মনোজ মিত্র ও নির্দেশনা দিয়েছেন অপু কুমার সেনাপতি।
জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যুবরণ করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা অনেকেই তা ভুলে যাই। ক্ষমতার অহংকার আমাদের এই অনিবার্য সত্যকে ভুলিয়ে দেয়। অথচ জীবন মৃত্যু একই রুপ। তারা একই দেহে লীন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এগোতে হয়। কেউ বা পরাজিত হই কেউ হয় জয়ী। কিন্তু এরই মধ্যে আমরা জীবনকে উপভোগ করতে ভুলে যাই। তাই আমাদের প্রতি মূহুর্তে সকল প্রতিবন্ধকতাকে পরাজিত করে আমাদের জীবনকে উপভোগ করতে হবে। সেটি এমনও হতে পারে আমাদের জীবন বা আমাদের বেচেঁ থাকার সময়সীমা সীমিত হয়ে পড়ে। হয়তো একমাস বা একবছর বা আরো কম-বেশী সেক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি সময় আমাকে বাচঁতে হবে বিরাট হয়ে। একটা দিন হবে একেকটা যুগের মতো। এই উপলব্ধি দর্শক মনে সৃষ্টি করাটাই এই নাটকের মূল উদ্দেশ্য।
মঞ্চায়ন শেষে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ থিয়েটার বাংলার সকলেট হাতে তুলে দেন সম্মাননা। নাট্য প্রদর্শনীকে উপভোগ করতে নানা বয়সের দর্শকের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে নাট্যাঙ্গন। প্রতিদিন নতুন কোন নাটক দেখতে অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে নাট্যমোদী দর্শকের উপস্থিতি উজ্জীবিত করছে আয়োজকদের।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মা হওয়ার পর বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন আবার ফিরছেন বড় পর্দায়। আর ফিরছেন স্বমহিমায়। আর এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে থাকছেন দক্ষিণের সুপারস্টার প্রভাস।গত বছর সেপ্টেম্বরে কন্যাসন্তান ‘দুয়া’র জন্ম দেন তিনি। মা হওয়ার পর কিছুদিন বিরতিতে ছিলেন। তবে এবার একের পর এক বড় প্রকল্পে ফিরছেন অভিনেত্রী। শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘কিং’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় থাকছেন তিনি।‘স্পিরিট’-এর মাধ্যমে দীপিকা হয়তো মা হওয়ার পর প্রথমবার বড় পর্দায় ফিরছেন। এই ছবির জন্য তিনি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন প্রায় ২০ কোটি রুপি। যদি এই তথ্য সত্য হয়, তবে এটি হবে দীপিকার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। একই সঙ্গে এটি তাঁকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের শীর্ষে তুলে দেবে।এখন পর্যন্ত বলিউডে শীর্ষ নায়িকাদের পারিশ্রমিক ১০ থেকে ১৫ কোটি রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ। আলিয়া ভাট, রাশমিকা মান্দানা ও প্রিয়াংকা চোপড়া রয়েছেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের তালিকায়। সেখানে দীপিকার এই ‘২০ কোটির’ দাবি এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে বলেই মনে করছেন অনেকে।‘পদ্মাবত’, ‘বাজিরাও মাস্তানি’, ‘পিকু’, পাঠান, ‘জওয়ান’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’-র মতো সুপারহিট ছবির নায়িকা তিনি। প্রতিটি ছবিতে দীপিকার অভিনয় ও পর্দা-উপস্থিতি তাঁকে দর্শকের কাছে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। দীপিকার অতীত ক্যারিয়ার দেখলে এই অঙ্ককে অস্বাভাবিক বলা চলে না।জানা গেছে, ‘স্পিরিট’ ছবির শুটিং শুরু হবে চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ের মধ্যে। ভোরের আকাশ/এসআই
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের আয়োজনে একুশের আলোকে নাট্য প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে থিয়েটার বাংলা, সিলেট তাদের "তক্ষক" নাটকটি কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে মঞ্চস্থ করে আজ বুধবার।নাটকের মহারাজ পরিক্ষিৎ চরিত্রে অভিনয় করেন জয়ন্ত কুমার দাস, তন্ত্রীপাল চরিত্রে মুর্শেদ তালুকদার, ঋষি শমিক চরিত্রে মোঃ তাজুদ মিয়া কামালী ও ঋষিপু্ত্র শৃঙ্গীর চরিত্রে গোপাল সূত্রধর। নাটকটি রচনা করেছেন মনোজ মিত্র ও নির্দেশনা দিয়েছেন অপু কুমার সেনাপতি।জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যুবরণ করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা অনেকেই তা ভুলে যাই। ক্ষমতার অহংকার আমাদের এই অনিবার্য সত্যকে ভুলিয়ে দেয়। অথচ জীবন মৃত্যু একই রুপ। তারা একই দেহে লীন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এগোতে হয়। কেউ বা পরাজিত হই কেউ হয় জয়ী। কিন্তু এরই মধ্যে আমরা জীবনকে উপভোগ করতে ভুলে যাই। তাই আমাদের প্রতি মূহুর্তে সকল প্রতিবন্ধকতাকে পরাজিত করে আমাদের জীবনকে উপভোগ করতে হবে। সেটি এমনও হতে পারে আমাদের জীবন বা আমাদের বেচেঁ থাকার সময়সীমা সীমিত হয়ে পড়ে। হয়তো একমাস বা একবছর বা আরো কম-বেশী সেক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্ত প্রতিটি সময় আমাকে বাচঁতে হবে বিরাট হয়ে। একটা দিন হবে একেকটা যুগের মতো। এই উপলব্ধি দর্শক মনে সৃষ্টি করাটাই এই নাটকের মূল উদ্দেশ্য।মঞ্চায়ন শেষে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ থিয়েটার বাংলার সকলেট হাতে তুলে দেন সম্মাননা। নাট্য প্রদর্শনীকে উপভোগ করতে নানা বয়সের দর্শকের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে নাট্যাঙ্গন। প্রতিদিন নতুন কোন নাটক দেখতে অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে নাট্যমোদী দর্শকের উপস্থিতি উজ্জীবিত করছে আয়োজকদের।ভোরের আকাশ/এসএইচ
তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র শাখার আপত্তির মুখে রোশান ও বুবলী অভিনীত ‘পুলসিরাত’ সিনেমার নতুন নাম। এ সিনেমার নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘সরদার বাড়ির খেলা’। সংবাদমাধ্যমকে খবরটি জানিয়েছেন পরিচালক রাখাল সবুজ।সিনেমাটি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ‘পুলসিরাত’ নামে সরকারি অনুদান পেয়েছিল। পরে যখন প্রিভিউ কমিটিতে জমা দেওয়া হয়, তখন নাম পরিবর্তন করতে বলা হয় বলে জানান পরিচালক রাখাল সবুজ।তিনি বলেন, ‘পুলসিরাত’ নামেই আমরা অনুদান পেয়েছিলাম। গল্পে ইসলামিক কিছু নেই। কিন্তু এখন প্রিভিউ কমিটি থেকে বলা হয়েছে নামটি ইসলামিক শব্দের। তাই এটি পরিবর্তন করতে হবে। আমরা সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’দুই সপ্তাহ আগে সার্টিফিকেশন বোর্ড ‘সরদার বাড়ির খেলা’ নামে ছবিটিকে সেন্সর দিয়েছে। আগামী কোরবানির ঈদে সিনেমাটি মুক্তি পাবে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিচালক। তিনি মনে করছেন, এতদিন ছবিটি ‘পুলসিরাত’ নামে পরিচিত ছিল। হঠাৎ নাম পরিবর্তন হওয়ায় মুক্তির পর কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে।নির্মাতা বলেন, ‘পুলসিরাত’ নামটা আকর্ষণীয় ছিল। নামের উপর একটি গানও রয়েছে সিনেমাতে। সেটা থাকবে এবং একটি ট্যাগ লাইন রেখেছি ‘বাহাত খবরদার, পুলসিরাত হইমু পার’। ভোরের আকাশ/এসআই
সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পীমঞ্চ সম্প্রতি আয়োজন করেছিল এক অপূর্ব সাহিত্য ও সংগীত সন্ধ্যার—"এই বৈশাখে"। রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে কবিতা, গান ও আবৃত্তির যুগলবন্দী উপভোগ করেন উপস্থিত শ্রোতারা।অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সংগঠনের আহ্বায়ক শওকত হোসেন-এর স্বাগত বক্তব্য দিয়ে। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কবি ও কণ্ঠশিল্পী হাসান মাহমুদ, যিনি পরিপাটি ও আবেগঘন উপস্থাপনায় পুরো অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করে তোলেন।প্রথমেই পরিবেশিত হয় সমবেত সংগীত, যেখানে শিল্পীমঞ্চের নিয়মিত শিল্পীরা কণ্ঠে তোলেন "আমার খাতায় প্রতি পাতায় প্রতি কবিতায়" ও "পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়"—এই দুই জনপ্রিয় গান। গান দুটি শ্রোতাদের মনে জাগিয়ে তোলে মুগ্ধতা আর হৃদয়ছোঁয়া আবেগ।এরপর মঞ্চে একে একে আবৃত্তি পরিবেশন করেন রেজিনা, বাবলী ও কামরুন নাহার। সংগীত পরিবেশন করেন মোঃ ফারুক, শেখ ইমন, অরুনিমা ইসলাম, শওকত হোসেন, লুৎফুন্নেসা মেহেক, উত্তম ও হাসান মাহমুদ। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল উত্তম ও তার কন্যা অন্তরা-র যুগল পরিবেশনা "আয় খুকু আয়"—যা শ্রোতাদের মধ্যে স্মৃতিকাতর আবেগের সৃষ্টি করে।উল্লেখ্য, শিল্পীমঞ্চ প্রতি দুই মাস অন্তর ঋতু বরণ উপলক্ষে এমনই শিল্প-সাহিত্যের আয়োজন করে থাকে, যেখানে আবৃত্তি ও সংগীতের মাধ্যমে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়।এই আয়োজনটি নিঃসন্দেহে ছিল এক মননশীল ও আবেগঘন সন্ধ্যা, যেখানে কবিতা ও গানে একাকার হয়ে উঠেছিল বাংলা নববর্ষের উচ্ছ্বাস।ভোরের আকাশ/মি